জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচিতে রোববার চট্টগ্রাম নগরীতে দেখা গেছে এক ভিন্ন চিত্র।
নগরীর রাস্তায় রাস্তায় ঢোল, স্লোগান আর ব্যানারে ভরে উঠেছিলো জনতার মিছিল।
এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে বিপ্লব উদ্যান থেকে দুই নম্বর গেট পর্যন্ত দীর্ঘ পদযাত্রায় অংশ নেয় হাজারো নেতাকর্মী।
বিপ্লব উদ্যান থেকে দুই নম্বর গেট পর্যন্ত রঙিন ব্যানারে, স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পথচলা
রোববার সকালেই চট্টগ্রাম শহরের মোটেল সৈকতে শহীদ পরিবারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এনসিপি নেতারা। শনিবার রাতেই বান্দরবান থেকে চট্টগ্রামে পৌঁছে সকালের এই আনুষ্ঠানিকতা সারেন তারা।
দুপুরে রাঙামাটির কর্মসূচি শেষে বিকেল ৩টা থেকে বিপ্লব উদ্যানে শুরু হয় মিছিলের জমায়েত।
স্লোগানে কাঁপে নগরী,,বহদ্দারহাট মোড় থেকে বিকেল সাড়ে ৬টায় শুরু হয় মূল বর্ণাঢ্য পদযাত্রা। স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে পুরো পথ:“মুজিববাদ—মুর্দাবাদ”“আপোষ নয়, সংগ্রাম সংগ্রাম”“ক্ষমতা নয়, জনতা জনতা”
নাহিদ ইসলাম-সহ কেন্দ্রীয় নেতাদের অভিনন্দনে বারবার উত্তাল হয়ে ওঠে মিছিলের সামনের সারি।
বিভিন্ন সংগঠনের একাত্মতা
এনসিপির এই কর্মসূচিতে জাতীয় যুব শক্তি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ-এর নেতাকর্মীরাও অংশ নেন। বিশেষ করে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে বের হওয়া বিশাল মিছিল চোখে পড়ে সবার।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে দুই নম্বর গেট পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়।
প্রস্তুত রাখা হয় গোয়েন্দা ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড।
পুলিশের টহল দল পুরো সময়জুড়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করেছে।
চট্টগ্রাম কর্মসূচি শেষ করে আজ সোমবার সকালে এনসিপি নেতারা খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন, যেখানে একই কর্মসূচি পালিত হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, চট্টগ্রামে এনসিপির এই পদযাত্রা ছিল তাদের সংগঠনের নতুন ধারার জনসম্পৃক্ততা ও সাংগঠনিক শক্তিমত্তার প্রমাণ। এনসিপি’র জনসম্পৃক্ততা ও সুশৃঙ্খল উপস্থিতি রাজনীতির মাঠে তাদের সক্রিয় অবস্থানকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
“চট্টগ্রামে এনসিপির জনসম্পৃক্ত এই আয়োজন একদিকে যেমন নতুন রাজনীতির ইঙ্গিত দেয়, তেমনি জনভিত্তিক রাজনীতির চর্চায় ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবেও স্থান করে নিচ্ছে।”
শেষ হোক শোষণের রাজনীতি, শুরু হোক গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতা—এমন প্রত্যাশা নিয়েই পা ফেলেছে জুলাই পদযাত্রা।
প্রিন্ট