ঢাকা ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভাঙ্গুড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শোকজে বিতর্ক Logo নুরের শর্টটাইম মেমোরি লস হচ্ছে: রাশেদ খাঁন Logo অননুমোদিত সিসা বার পরিচালনা ‘ক্যাসিনো ডন’ সেলিম প্রধানসহ গ্রেফতার ৯ Logo ভাঙ্গুড়া ইউএনও নাজমুন নাহারের স্বেচ্ছাচারিতা ও কোটি টাকার অনিয়ম: রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় অদৃশ্য প্রভাব Logo মোংলা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মানিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল Logo লক্ষীপুরের গ্রামগঞ্জে পারিবারিক বিরোধে চাচার হাতে বাতিজা খুন Logo জাতীয় পার্টির অফিস ভাঙচুর নিয়ে যা বলল বিএনপি Logo নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার আগ পর্যন্ত আমরা থামবো না: সাদিক কায়েম Logo দাবি মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রীর ‘ভারত দুই মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষমা চাইবে’ Logo শিল্পা–রাজের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা, পুলিশের লুকআউট নোটিশ

জলবায়ু হুমকি, প্রযুক্তি স্থানান্তর ও মানবসম্পদ রপ্তানিতে টরন্টো-চট্টগ্রাম কৌশলগত সংলাপ: মেয়র ডা. শাহাদাত

চট্টগ্রামের চসিক মেয়র ও এমপিপি ম্যাকমাহনের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা
টরন্টোর ড্যানফোর্থে অনুষ্ঠিত হলো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এবং অন্টারিও প্রাদেশিক সংসদের প্রভাবশালী সদস্য মেরি-মার্গারেট ম্যাকমাহনের মধ্যে এক গভীর কূটনৈতিক সংলাপ। আলোচনা হয়েছে বহুমাত্রিক—কিন্তু লক্ষ্য একটাই: উভয় শহরের উন্নয়ন অংশীদারিত্বকে আরও কাঠামোগত ও টেকসই রূপ দেওয়া।

কৌশলগত আলোচনার তিনটি স্তম্ভ:

১. জলবায়ু সহনশীলতা ও প্রযুক্তি হস্তান্তর
চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিজনিত হুমকি প্রসঙ্গে মেয়র বলেন—
“চট্টগ্রাম এখন টিকে থাকার সংগ্রামে। প্রয়োজন বিজ্ঞানভিত্তিক সমাধান ও কানাডিয়ান প্রযুক্তির হস্তান্তর।”
মেয়রের প্রস্তাব: নদী ও খাল পুনর্জীবনে কানাডার অভিজ্ঞতা প্রয়োগ, স্টর্মওয়াটার ম্যানেজমেন্টে টরন্টোর প্রযুক্তিগত সহায়তা।

২. স্টার্টআপ ইনকিউবেশন ও ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সংযোগ
চট্টগ্রামের তরুণ উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা কাজে লাগাতে মেয়র সরাসরি অনুরোধ করেন—
“মার্স ডিসকভারি ডিস্ট্রিক্ট-এর আদলে একটি আন্তর্জাতিক মানের ইনোভেশন হাব গঠন চাই চট্টগ্রামে।”
তিনি প্রস্তাব করেন: কানাডার স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হওয়া এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্ম খুলে দেওয়া।

৩. নার্সিং ও পিএসডব্লিউ পেশায় কর্মসংস্থান: বাংলাদেশের মানবসম্পদকে বিশ্বমানে রূপান্তরের প্রয়াস
বাংলাদেশের নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কানাডার মানদণ্ডে মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি প্রদান, যৌথ ইনস্টিটিউট স্থাপন—এসবই ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।> মেয়র বলেন, “আমাদের দক্ষতা আছে, কিন্তু দরকার প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি। কানাডা এই বন্ধুত্বে নেতৃত্ব দিতে পারে।”
ম্যাকমাহনের অবস্থান ছিল স্পষ্ট, দৃঢ় ও আশাব্যঞ্জক
“বাংলাদেশ আমার হৃদয়ের খুব কাছাকাছি। জলবায়ু হোক বা নার্সিং—আমি সবক্ষেত্রে সহযোগিতায় প্রস্তুত।”
তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন—টরন্টো বাংলাদেশের অংশীদার, শুধু প্রতীকী নয়, বাস্তব প্রয়োগে।

বিশ্লেষণমূলক মন্তব্য:
এই বৈঠক শুধু একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ নয়—এটি ভবিষ্যতের জন্য কৌশলগত নকশা। চট্টগ্রাম একটি ‘মেট্রোপলিটন ডিপ্লোম্যাসি’ রোডম্যাপে প্রবেশ করল, যেখানে নগর প্রশাসনই আন্তর্জাতিক উন্নয়নের বার্তাবাহক।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাঙ্গুড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শোকজে বিতর্ক

জলবায়ু হুমকি, প্রযুক্তি স্থানান্তর ও মানবসম্পদ রপ্তানিতে টরন্টো-চট্টগ্রাম কৌশলগত সংলাপ: মেয়র ডা. শাহাদাত

আপডেট সময় ০৯:১২:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

চট্টগ্রামের চসিক মেয়র ও এমপিপি ম্যাকমাহনের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা
টরন্টোর ড্যানফোর্থে অনুষ্ঠিত হলো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এবং অন্টারিও প্রাদেশিক সংসদের প্রভাবশালী সদস্য মেরি-মার্গারেট ম্যাকমাহনের মধ্যে এক গভীর কূটনৈতিক সংলাপ। আলোচনা হয়েছে বহুমাত্রিক—কিন্তু লক্ষ্য একটাই: উভয় শহরের উন্নয়ন অংশীদারিত্বকে আরও কাঠামোগত ও টেকসই রূপ দেওয়া।

কৌশলগত আলোচনার তিনটি স্তম্ভ:

১. জলবায়ু সহনশীলতা ও প্রযুক্তি হস্তান্তর
চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিজনিত হুমকি প্রসঙ্গে মেয়র বলেন—
“চট্টগ্রাম এখন টিকে থাকার সংগ্রামে। প্রয়োজন বিজ্ঞানভিত্তিক সমাধান ও কানাডিয়ান প্রযুক্তির হস্তান্তর।”
মেয়রের প্রস্তাব: নদী ও খাল পুনর্জীবনে কানাডার অভিজ্ঞতা প্রয়োগ, স্টর্মওয়াটার ম্যানেজমেন্টে টরন্টোর প্রযুক্তিগত সহায়তা।

২. স্টার্টআপ ইনকিউবেশন ও ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সংযোগ
চট্টগ্রামের তরুণ উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা কাজে লাগাতে মেয়র সরাসরি অনুরোধ করেন—
“মার্স ডিসকভারি ডিস্ট্রিক্ট-এর আদলে একটি আন্তর্জাতিক মানের ইনোভেশন হাব গঠন চাই চট্টগ্রামে।”
তিনি প্রস্তাব করেন: কানাডার স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হওয়া এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্ম খুলে দেওয়া।

৩. নার্সিং ও পিএসডব্লিউ পেশায় কর্মসংস্থান: বাংলাদেশের মানবসম্পদকে বিশ্বমানে রূপান্তরের প্রয়াস
বাংলাদেশের নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কানাডার মানদণ্ডে মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি প্রদান, যৌথ ইনস্টিটিউট স্থাপন—এসবই ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।> মেয়র বলেন, “আমাদের দক্ষতা আছে, কিন্তু দরকার প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি। কানাডা এই বন্ধুত্বে নেতৃত্ব দিতে পারে।”
ম্যাকমাহনের অবস্থান ছিল স্পষ্ট, দৃঢ় ও আশাব্যঞ্জক
“বাংলাদেশ আমার হৃদয়ের খুব কাছাকাছি। জলবায়ু হোক বা নার্সিং—আমি সবক্ষেত্রে সহযোগিতায় প্রস্তুত।”
তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন—টরন্টো বাংলাদেশের অংশীদার, শুধু প্রতীকী নয়, বাস্তব প্রয়োগে।

বিশ্লেষণমূলক মন্তব্য:
এই বৈঠক শুধু একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ নয়—এটি ভবিষ্যতের জন্য কৌশলগত নকশা। চট্টগ্রাম একটি ‘মেট্রোপলিটন ডিপ্লোম্যাসি’ রোডম্যাপে প্রবেশ করল, যেখানে নগর প্রশাসনই আন্তর্জাতিক উন্নয়নের বার্তাবাহক।


প্রিন্ট