বিচারপ্রার্থী জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ, আইনি প্রক্রিয়ার বিকেন্দ্রীকরণ এবং প্রশাসনিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চট্টগ্রামে হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থাপনের জোর দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বিশিষ্ট আইনজীবী ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘হাইকোর্ট বেঞ্চ বাস্তবায়ন পরিষদ’ এবং চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মহানগরী এবং অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রামে এখনও হাইকোর্ট বেঞ্চ না থাকা গভীর বঞ্চনার বিষয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন হাইকোর্ট বেঞ্চ বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.এস.এম. বদরুল আনোয়ার। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাশেম কামাল এবং চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য সচিব ও দৈনিক আমার দেশ-এর আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন:
অ্যাডভোকেট বদরুল হুদা মামুন, অ্যাডভোকেট নাজিমউদ্দীন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জাহেদ হোসেন মীর, অ্যাডভোকেট মাহবুবউদ্দীন আহমেদ, মানবাধিকার সংগঠক অ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান, অ্যাডভোকেট বদরুল রিয়াজ, অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ, ব্যবসায়ী নেতা এ.এম. মাহবুব চৌধুরী, জানে আলম সেলিম, অভীক ওসমান, আবদুল গাফফার মিয়াজী, মুস্তাফা নঈম, সালেহ নোমান, মিয়া মোহাম্মদ আরিফ, সাংবাদিক কামরুল হুদা ও এম.এ. কাদের।
অর্থনৈতিক গুরুত্ব, কিন্তু ন্যায়বিচারে বঞ্চনা
বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগে রয়েছে ১১টি জেলা, ১০৩টি উপজেলা এবং ১২০টি থানা। দেশের আমদানি-রপ্তানির ৮০ শতাংশ ও জাতীয় রাজস্ব আয়ের প্রায় ৬০ শতাংশ আসে এই অঞ্চল থেকে। এখানে রয়েছে দেশের বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর, ইপিজেড, শিল্পকারখানা ও বহু বহুজাতিক কোম্পানি। এত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চলে এখনো হাইকোর্ট বেঞ্চ না থাকা চট্টগ্রামবাসীর প্রতি অবিচার।
সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট বদরুল আনোয়ার বলেন—
“হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থাপন শুধু আবেগের নয়, এটি আইনি অধিকার ও প্রশাসনিক প্রয়োজন। চট্টগ্রামে বেঞ্চ স্থাপন হলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমবে, বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে এবং রাজধানীকেন্দ্রিক চাপ হ্রাস পাবে।” সময় এসেছে সিদ্ধান্ত গ্রহণের
বক্তারা আরও বলেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হলে বিচারসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। এজন্য চট্টগ্রামে হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থাপন সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। তাঁরা এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি এবং আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
প্রিন্ট