ঢাকা ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
গরু বহনকারী ভটভটির ধাক্কায় প্রাণ হারালো  দুই যুবক ইবিতে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য থাকছে না কোন পরিবহন সেবা নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকের সঙ্গে ওসির সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৪ মামলার পরোয়ানাভূক্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা কোনাবাড়ি পল্লী বিদ্যুৎ পাওয়ার সাবস্টেশনে আগুন তামাক হচ্ছে মাদকের মূল লক্ষ্য -ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম কিরাটন ইউনিয়নের পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম আমাদের মাঝে আর নেই শিবগঞ্জে সানামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু গাজীপুরবাসীর জন্য চরম “সৌভাগ্য’ বর্তমান ডিসি এডিসি রেভিনিউ চৌকস ও মেধাবী দুই কর্মকর্তার চিন্তা,চেতনায় কর্মে, সর্বোপরিভাবে সততাকে প্রাধাণ্য দিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন

ব্র্যাথওয়েট-হোল্ডারের দারুণ ব্যাটিংয়ে লঙ্কানদের সামনে পরীক্ষা

ক্রিকেট রিপোর্টার।।

প্রথম ইনিংসে বড় লিড। দ্বিতীয় ইনিংসে দ্রুত রান তুলে জয়ের ক্ষেত্র তৈরি করা। চাওয়া মতোই সব পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট করলেন সেটাই, যা তিনি সবচেয়ে ভালো করেন! এক প্রান্ত আগলে দলের ইনিংস এক সুতোয় গাঁথলেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক। জেসন হোল্ডার ও কাইল মেয়ার্স মেটালেন সময়ের দাবি।

এই ত্রয়ীর সৌজন্যে অ্যান্টিগা টেস্টের চতুর্থ দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ৪ উইকেটে ২৮০ রান তুলে। শেষ ইনিংসে ৩৭৭ রানের লক্ষ্যে ছুটে শ্রীলঙ্কা দিন শেষ করে বিনা উইকেটে ২৯ রান নিয়ে।

দারুণ খেলেও একটুর জন্য একটি মাইলফলক হাতছাড়া করেন ব্র্যাথওয়েট। সম্ভাবনা জাগিয়েও পাননি ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর এবার তিনি খেলেন ৫ ঘণ্টায় ৮৫ রানের ইনিংস।

মেয়ার্স ও হোল্ডার ছিলেন উল্টো। অনেকটা ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিংয়ে মেয়ার্স ৭৬ বলে করেন ৫৫, হোল্ডার ৮৮ বলে অপরাজিত ৭১।

উইকেট এ দিনও ছিল ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো। তবে আগের চেয়ে খানিকটা শুষ্ক। শ্রীলঙ্কা সেটুকুও কাজে লাগাতে পারেনি, তাদের মূল স্পিনারই যে ছিল না! ফিল্ডিংয়ের সময় পায়ে চোট পেয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন লাসিথ এম্বুলদেনিয়া। একটি ওভারও করতে পারেননি বাঁহাতি এই স্পিনার। বাধ্য হয়ে ব্যাটিং অলরাউন্ডার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার নির্বিষ অফ স্পিন চালাতে হয় ২৮ ওভার। ক্যারিবিয়ানদের কাজ তাতে হয়ে ওঠে সহজ।

বৃহস্পতিবার দিনের শুরু থেকেই লাগাম নেয় ক্যারিবিয়ানরা। ৮ উইকেটে ২৫০ রান নিয়ে ব্যাটিং শুরু করা লঙ্কানদের শেষ দুই উইকেট তারা তুলে নেয় কেবল আট রানের মধ্যে। দুটিই নেন কেমার রোচ। পাথুম নিসানকা আউট হন ৫১ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ পায় ৯৬ রানের লিড।

লিড বাড়ানোর অভিযানে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরুতে হারায় ওপেনার জন ক্যাম্পবেলকে। এনক্রুমা বনারের পিঠের সমস্যার কারণে তিনে প্রমোশন পেয়ে জার্মেইন ব্ল্যাকউড পারেননি সুযোগ কাজে লাগাতে (১৮)।

দলকে এগিয়ে নেয় ব্র্যাথওয়েট ও মেয়ার্সের জুটি। তৃতীয় উইকেটে ৮২ রান যোগ করেন দুজন। দারুণ সব শটে ৬৩ বলেই ফিফটি স্পর্শ করেন মেয়ার্স।

ব্র্যাথওয়েট ছিলেন নিজের ঘরানায়ই। ফিফটি পেতে তার লাগে ১৩৭ বল, যেখানে চার ছিল কেবল একটি। ৩৩তম বলে প্রথম বাউন্ডারির পর টানা ১৩৫ বল আর বাউন্ডারিই মারেননি!

৫৫ রানে মেয়ার্সকে থামান সুরাঙ্গা লাকমল। ব্র্যাথওয়েট ও হোল্ডার এরপর গড়েন ৮৭ রানের জুটি।

ব্র্যাথওয়েটের আরেকটি ধৈর্যশীল ইনিংস থামে দুশমন্থ চামিরার বলে আলসে শটে বোল্ড হয়ে। ১৯৬ বলে আসে তার ৮৫।

পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে এরপর ৪২ বলে ৫৩ রানের জুটি গড়েন হোল্ডার ও জশুয়া দা সিলভা।

ইনিংস ঘোষণা করে শেষ বিকেলে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৯ ওভারের সেই চ্যালেঞ্জ ভালোভাবেই উতরে যান দুই লঙ্কান ওপেনার। তবে তাদের আসল পরীক্ষা শেষ দিনে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস : ৩৫৪

শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস : ২৫৮

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস : ৭২.৪ ওভারে ২৮০/৪ (ডি.) (ব্র্যাথওয়েট ৮৫, ক্যাম্পবেল ১০, ব্ল্যাকউড ১৮, মেয়ার্স ৫৫, হোল্ডার ৭১*, জশুয়া ২০*; লাকমল ১৪-২-৬২-২, বিশ্ব ১২.৪-১-৪৯-০, ধনাঞ্জয়া ২৮-৩-৮১-০, চামিরা ১৮-০-৭৪-২)।

শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস : (লক্ষ্য ৩৭৭) ৯ ওভারে ২৯/০ (থিরিমান্নে ১৭*, করুনারত্নে ১১*; রোচ ৪-০-১৮-০, হোল্ডার ৩-২-৩-০, কর্নওয়াল ২-০-৮-০)।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

গরু বহনকারী ভটভটির ধাক্কায় প্রাণ হারালো  দুই যুবক

ব্র্যাথওয়েট-হোল্ডারের দারুণ ব্যাটিংয়ে লঙ্কানদের সামনে পরীক্ষা

আপডেট টাইম : ০৭:৩৪:২০ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২ এপ্রিল ২০২১

ক্রিকেট রিপোর্টার।।

প্রথম ইনিংসে বড় লিড। দ্বিতীয় ইনিংসে দ্রুত রান তুলে জয়ের ক্ষেত্র তৈরি করা। চাওয়া মতোই সব পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট করলেন সেটাই, যা তিনি সবচেয়ে ভালো করেন! এক প্রান্ত আগলে দলের ইনিংস এক সুতোয় গাঁথলেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক। জেসন হোল্ডার ও কাইল মেয়ার্স মেটালেন সময়ের দাবি।

এই ত্রয়ীর সৌজন্যে অ্যান্টিগা টেস্টের চতুর্থ দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ৪ উইকেটে ২৮০ রান তুলে। শেষ ইনিংসে ৩৭৭ রানের লক্ষ্যে ছুটে শ্রীলঙ্কা দিন শেষ করে বিনা উইকেটে ২৯ রান নিয়ে।

দারুণ খেলেও একটুর জন্য একটি মাইলফলক হাতছাড়া করেন ব্র্যাথওয়েট। সম্ভাবনা জাগিয়েও পাননি ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর এবার তিনি খেলেন ৫ ঘণ্টায় ৮৫ রানের ইনিংস।

মেয়ার্স ও হোল্ডার ছিলেন উল্টো। অনেকটা ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিংয়ে মেয়ার্স ৭৬ বলে করেন ৫৫, হোল্ডার ৮৮ বলে অপরাজিত ৭১।

উইকেট এ দিনও ছিল ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো। তবে আগের চেয়ে খানিকটা শুষ্ক। শ্রীলঙ্কা সেটুকুও কাজে লাগাতে পারেনি, তাদের মূল স্পিনারই যে ছিল না! ফিল্ডিংয়ের সময় পায়ে চোট পেয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন লাসিথ এম্বুলদেনিয়া। একটি ওভারও করতে পারেননি বাঁহাতি এই স্পিনার। বাধ্য হয়ে ব্যাটিং অলরাউন্ডার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার নির্বিষ অফ স্পিন চালাতে হয় ২৮ ওভার। ক্যারিবিয়ানদের কাজ তাতে হয়ে ওঠে সহজ।

বৃহস্পতিবার দিনের শুরু থেকেই লাগাম নেয় ক্যারিবিয়ানরা। ৮ উইকেটে ২৫০ রান নিয়ে ব্যাটিং শুরু করা লঙ্কানদের শেষ দুই উইকেট তারা তুলে নেয় কেবল আট রানের মধ্যে। দুটিই নেন কেমার রোচ। পাথুম নিসানকা আউট হন ৫১ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ পায় ৯৬ রানের লিড।

লিড বাড়ানোর অভিযানে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরুতে হারায় ওপেনার জন ক্যাম্পবেলকে। এনক্রুমা বনারের পিঠের সমস্যার কারণে তিনে প্রমোশন পেয়ে জার্মেইন ব্ল্যাকউড পারেননি সুযোগ কাজে লাগাতে (১৮)।

দলকে এগিয়ে নেয় ব্র্যাথওয়েট ও মেয়ার্সের জুটি। তৃতীয় উইকেটে ৮২ রান যোগ করেন দুজন। দারুণ সব শটে ৬৩ বলেই ফিফটি স্পর্শ করেন মেয়ার্স।

ব্র্যাথওয়েট ছিলেন নিজের ঘরানায়ই। ফিফটি পেতে তার লাগে ১৩৭ বল, যেখানে চার ছিল কেবল একটি। ৩৩তম বলে প্রথম বাউন্ডারির পর টানা ১৩৫ বল আর বাউন্ডারিই মারেননি!

৫৫ রানে মেয়ার্সকে থামান সুরাঙ্গা লাকমল। ব্র্যাথওয়েট ও হোল্ডার এরপর গড়েন ৮৭ রানের জুটি।

ব্র্যাথওয়েটের আরেকটি ধৈর্যশীল ইনিংস থামে দুশমন্থ চামিরার বলে আলসে শটে বোল্ড হয়ে। ১৯৬ বলে আসে তার ৮৫।

পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে এরপর ৪২ বলে ৫৩ রানের জুটি গড়েন হোল্ডার ও জশুয়া দা সিলভা।

ইনিংস ঘোষণা করে শেষ বিকেলে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৯ ওভারের সেই চ্যালেঞ্জ ভালোভাবেই উতরে যান দুই লঙ্কান ওপেনার। তবে তাদের আসল পরীক্ষা শেষ দিনে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস : ৩৫৪

শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস : ২৫৮

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস : ৭২.৪ ওভারে ২৮০/৪ (ডি.) (ব্র্যাথওয়েট ৮৫, ক্যাম্পবেল ১০, ব্ল্যাকউড ১৮, মেয়ার্স ৫৫, হোল্ডার ৭১*, জশুয়া ২০*; লাকমল ১৪-২-৬২-২, বিশ্ব ১২.৪-১-৪৯-০, ধনাঞ্জয়া ২৮-৩-৮১-০, চামিরা ১৮-০-৭৪-২)।

শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস : (লক্ষ্য ৩৭৭) ৯ ওভারে ২৯/০ (থিরিমান্নে ১৭*, করুনারত্নে ১১*; রোচ ৪-০-১৮-০, হোল্ডার ৩-২-৩-০, কর্নওয়াল ২-০-৮-০)।