যে আইনে আ.লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে বৈঠকে বসছে উপদেষ্টা পরিষদ

- আপডেট টাইম : ০২:১৭:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
- / ৩ ১৫০০০.০ বার পাঠক
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকাসহ সারা দেশে আন্দোলন করছে ছাত্র-জনতা।এরমধ্যে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) অ্যাক্টে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রস্তাবনা নিয়ে আজ (১০ মে) রাতে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন ।
প্রেস সচিব বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে আমরা আমাদের সরকারের বিবৃতি দিয়েছি। আজ রাতে মিটিং আছে, সেখানে আইসিটি অ্যাক্টের অধ্যাদেশ প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা করতেই আজ রাতে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি মিটিং।
শনিবার বিকালে যশোরের কেশবপুর পাথরা পল্লী উন্নয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪২বছর পূর্তি উপলক্ষে পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় প্রেস সচিব বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় কারা জড়িত সে ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাকি জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
শফিকুল আলম আরও বলেন, বাংলাদেশে ফ্যাসিস্টের পতনে তাদের (ভারতের) মাথা খারাপ হয়ে গেছে। সে কারণে তারা আমাদের কয়েকটি মিডিয়ার সম্প্রচার সেদেশে বন্ধ করেছে। আমরা তা করতে চাই না। আমরা অনেক দিন থেকে দেখছি তারা আমাদের নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। ভারতীয় গণমাধ্যমে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা নেই, বরং জোরে কথা বলে নাটক করে বিনোদন দেওয়াটা যেন তাদের সাংবাদিকতা। সেক্ষেত্রে আমাদের সাংবাদিকতা অনেক দায়িত্বশীল ও প্রশংসনীয়। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের যে মিডিয়াগুলো বন্ধ করা হয়েছে, তারা অনেক ভালো নিউজ করে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।
কিছু মিডিয়া স্বেরাচারী শাসকের টুলস ছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে কিছু কিছু মিডিয়া মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। বিরোধী দলের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। অনেক মিডিয়া আওয়ামী লীগের টুলস হিসেবে কাজ করেছে। এখন আমরা চাই আমাদের সাংবাদিকতা দায়িত্বশীল ও প্রশংসনীয় হোক। যাতে মিডিয়ার লাভ। কেননা সামনে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসবে, তখন স্বাধীন সাংবাদিকতা করতে পারবেন। এখনই আপনারা আপনাদের জায়গা গড়ে নেন।’
ভুয়া মামলা প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, আমরা কাউকে কোনো মামলা দিয়ে হয়রানি করতে বিশ্বাসী না। আমরা কি কোনো মামলা দিচ্ছি, মামলা তো দিচ্ছে রাজনৈতিক দল। আমাদের সরকার বলে দিয়েছে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। কাউকে কোনো হয়রানি করা আমাদের কোনো উদ্দেশ্য নয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সদস্য ও পাথরা পল্লী উন্নয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি এসএম রাশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন।