ঢাকা ১১:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রায়পুরে চিকিৎসকের বিচার দাবীতে মানববন্ধন বিরামপুরে এক পা ওয়ালা শিশু সহ জমজ শিশু জন্ম দিলো এক প্রসুতি মা সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে দুই চোরাকারবারি গ্রেফতার,ট্রাকসহ ২১ লক্ষ টাকার ভারতীয় চিনি জব্দ ভন্ড ও দুর্নীতিবাজদের আড্ডাখানা রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ আজমিরীগঞ্জে আউট অব স্কুল চিল্ড্রেন এডুকেশন এর উদ্যেগে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ইবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রস্তুত, দ্রুত হতে পারে ঘোষণা হল-অনুষদ সম্মেলন ঈদের পর মোংলায় ছাত্রদলের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ইবি সাইন্স ক্লাবের সভাপতি নিরব, সম্পাদক জুনাইদ ইবিতে স্বাধীনতা দিবসে বিনামূল্যে উন্নতমানের খাবার পাচ্ছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা পঞ্চগড়ের সুগারমিল চালু হলে কর্মসংস্থান ফিরে পাবে শ্রমিকরা, সচল হবে জেলার অর্থনীতি

পঞ্চগড়ে বাংলাদেশের  নতুন প্রজাতির সাপ।  

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৮:২৬:৫৪ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১
  • ৪৩৮ ০.০০০ বার পাঠক

আব্দুল্লাহ আল সুমন বিশেষ  প্রতিনিধি,ঠাকুরগাঁও।।।

ফেব্রুয়ারি ২০২১ দিনটি রৌদ্র্যজ্বল কিন্তু বেশ ঠান্ডা অনুভুত হচ্ছে এখনো । তীব্র ঠান্ডায় পঞ্চগড় কে কাঁপিয়ে শীত যাই যাই করছে । ধীরে ধীরে ভারী কুয়াশার চাদর সরে যাচ্ছে । সাত সকালেই সুর্য্যের দেখা মেলে।  শীতের বিবর্ণতা শেষে প্রকৃতিতে বসন্ত এলো বলে । এমন একটি সুন্দর দিনে পঞ্চগড়ের ঝলইশালশিরির কালিয়াগঞ্জ বাজারের পাশের ক্ষেতে অনেক মানুষের জটলা , হৈ হুল্লোড় ।

যান্ত্রিক হাতি দেখতে এসেছে সবাই । সেই যান্ত্রিক হাতির শুর  সেখানে পতিত ঝোপঝাড় , বাশঝাড় কাটা হচ্ছে , সমতল করে সেখানে চাষাবাদ করা হবে । দুই শতাংশের মত জায়গা হবে হয়ত   । এই জায়গাটুকুরই অভাব ছিলো মানব জাতির । ঝোপঝাড় কেটে ফসল না হলে অনেকে না খেয়ে মারা যেত মনে হয় ।

বন জঙ্গল কমতে কমতে এখন প্রায় নিশ্চিহ্ন। ক্ষেতের মাঝে যেখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ঝোপঝাড় । পুরনো মাটির ঢিপি গুলোই এখন বিভিন্ন প্রানীর শেষ আবাস । সাপ, গুইসাপ,শেয়াল ,গিরগিটি, ব্যাঙ ,বেজিরা এখনো অস্তিত্ব কোন রকমে টিকিয়ে রেখেছে । এই ঝোপ ঝাড় গুলো ছাড়া আর তাদের কোন যাওয়ার নেই । বের হলেই মানুষের পৈশাচিকতার শিকার হতে হবে ।

সেখানে এস্কেভেটর এর জান্তব শব্দে এলাকা প্রকম্পিত। সবাই সোৎসাহে সে দৃশ্য উপভোগ করছেন । যেন সেখানে মেলা বসেছে ।  এস্কেভেটর দিয়ে ঝোপঝাড় আর মাটি কাটা হচ্ছে আর মাটির ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে সাপ ,গুইসাপ , শেয়াল । একে একে মাটি ভেতর থেকে বেড়িয়ে এলো গুইসাপ । কৃষ্ণ কালাচ , দাড়াশ , হেলে সাপ । পালিয়ে বাঁচল কয়েকটা শেয়াল , বেজি ।

সেখান থেকে খবর পেয়ে মোঃ সহিদুল ভাই ছুটে গিয়ে সাপগুলোর উদ্ধার করে চলছেন একে একে । শতগ্রামবাসী চাক্ষুষ করছে সেই রুদ্ধকর উদ্ধারাভিযান । খবর পাচ্ছি আর আমার মন পড়ে আছে সেখানে ।কিন্তু আমি তখন দূরে ।

চক্ষু ছানাবড়া হলো তখন , ইতিহাস রচনা হলো তখন যখন মাটির নিচ থেকে বেড়িয়ে এলো একটি সাপ ! অসাধারণ উজ্ঝল কমলা রঙয়ের সাপটি দেখে চোখ ধাধিয়ে গেল উপস্থিত জনতার । পঞ্চগড় পেল একটি নতুন প্রজাতির সাপ।  বাংলাদেশ পেল একটি নতুন প্রজাতির সাপ । যে সাপ এর আগে বাংলাদেশে রেকর্ড হয়নি । এবং এই সাপটি পৃথিবীর দুর্লভ সাপদের একটি । পৃথিবীতে শুধু মাত্র নেপাল ও ভারতের পর এই প্রথম বাংলাদেশে পাওয়া গেল  । সাপটি সফলতার সাথে উদ্ধার করলেন মোঃসহিদুল  ইসলাম ভাই (স্নেক রেসকিউয়ার , বোদা পঞ্চগড়) । তিনিই প্রথম বাংলাদেশে এই সাপ স্পট করলেন ও উদ্ধার করলেন ।

অতি দুর্লভ এই সাপটি পৃথিবীর ইতিহাসে ২০/২২ টির মত দেখা গেছে এই পর্যন্ত । যার মধ্যে একটি প্রথমবার এর মতো পঞ্চগড়,বাংলাদেশে ! রোমাঞ্চকর ব্যাপার বটে !

উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশের নতুন প্রজাতির দুর্দান্ত সুন্দর সাপটির নাম Red Coral Kukri / aligodon kheriensis .উজ্জল কমলা ও লাল প্রবাল রঙ সাপটিকে করেছে মোহনীয় সৌন্দর্যের অধিকারী । দেখলেই চোখ ধাধিয়ে যায় । রেসকিউ এর পর যখন ছবি তুলছিলাম অবাক হয়ে ভাবছিলাম সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি কত সুন্দর কত বৈচিত্র্যময় । কত কিছুই দেখিনি । আমাদের জন্য নতুন এই প্রজাতির সাপটি দেখা ছিল আমার জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা ।  সাপটির নাম এ কুকরি আছে শুনেই বিখ্যাত নেপালী কুকরির ছুড়ির কথা মনে হল । কুকরি নেপালের জাতীয় অস্ত্রের নাম ।  গোর্খাদের গৌরব ও আভিজাত্যের প্রতীক ।  জটায়ু ফেলুদার হাতে  এই কুকরী দেখেই অবাক হয়েছিলেন । এই সাপের দাঁত ঠিক কুকরি ছুড়ির  মত তাই এমন নামকরন Red Coral Kukri . কি অসাধারণ !!

 

সর্বপ্রথম এই সাপের দেখা মেলে ১৯৩৬ সালে ভারতের উত্তরপ্রদেশের Kheri Division এ। সেই নামানুসারেই জুওলোজিক্যাল নামকরন করা হয়েছে oligodon kheriensis .দীর্ঘ ৮২ বছর পর  ২০১৯ সালে আবার ঊত্তর প্রদেশের খেরি জেলায় দেখা গিয়েছিল লাল প্রবাল সাপটি ।এছাড়াও নেপালের মহেন্দ্রনগর , চিতোয়ান ন্যাশনাল পার্ক ।  ভারতের নৈনিতাল ,  জলপাইগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময়ে দেখা যায় । এর মধ্যে একটি সাইটিং বাংলাবান্ধা থেকে মাত্র ২৭ কিলোমিটার দূরে ।

 

ঝলমলে চোখ ধাধানো লাল প্রবাল সাপটি নির্বিষ ও অত্যন্ত নিরীহ । মনে করা হয় সাপটি নিশাচর এবং বেশির ভাগ সময় মাটির নিচেই থাকে এবং সম্ভবত মাটির নিচে কেঁচো ও লার্ভা খেয়ে জীবন ধারন করে । এবং সাপটি মাটি খননে অত্যান্ত পারদর্শী । মাটিতে থাকলেই মাটি খুঁড়ে ভিতরে চলে যাওয়ার প্রবণতা দেখেছি । মাটির ভিতরে থাকার জন্য রোসট্রাল স্কেল ব্যাবহার করে সাপটি । রোসট্রাল স্কেল হলো সাপের মুখের সম্মুখ ভাগে অবস্থিত বিশেষ অঙ্গবিশেষ যার সাহায্যে মাটি খনন করে । সাপটির অত্যান্ত দুর্লভ বিধায় সাপটি নিয়ে গবেষণা তেমন নেই ।

 

উদ্ধারকৃত সাপটি একটু আঘাত পেয়েছিল , প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সহিদুল ভাই আজ সকালে রাজশাহী থেকে আগত ভেনম রিসার্চ সেন্টার ,রাজশাহী  প্রতিনিধির কাছে  হস্তান্তর করেছেন ।

ধারনা করছি উদ্ধারকৃত এলাকায় এইসাপ আরো আছে । তাদের রক্ষার দায়িত্ব্য আমাদের সকলের । সকল বন্যপ্রানী সহ এমন দুর্লভ প্রজাতির সাপ আমাদের অমুল্য সম্পদ । উন্নয়নের নামে বন্যপ্রানীর আবাস ধ্বংস বন্ধ করুন । বন্যপ্রানী সংরক্ষনে সচেতন হউন ।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

রায়পুরে চিকিৎসকের বিচার দাবীতে মানববন্ধন

পঞ্চগড়ে বাংলাদেশের  নতুন প্রজাতির সাপ।  

আপডেট টাইম : ০৮:২৬:৫৪ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১

আব্দুল্লাহ আল সুমন বিশেষ  প্রতিনিধি,ঠাকুরগাঁও।।।

ফেব্রুয়ারি ২০২১ দিনটি রৌদ্র্যজ্বল কিন্তু বেশ ঠান্ডা অনুভুত হচ্ছে এখনো । তীব্র ঠান্ডায় পঞ্চগড় কে কাঁপিয়ে শীত যাই যাই করছে । ধীরে ধীরে ভারী কুয়াশার চাদর সরে যাচ্ছে । সাত সকালেই সুর্য্যের দেখা মেলে।  শীতের বিবর্ণতা শেষে প্রকৃতিতে বসন্ত এলো বলে । এমন একটি সুন্দর দিনে পঞ্চগড়ের ঝলইশালশিরির কালিয়াগঞ্জ বাজারের পাশের ক্ষেতে অনেক মানুষের জটলা , হৈ হুল্লোড় ।

যান্ত্রিক হাতি দেখতে এসেছে সবাই । সেই যান্ত্রিক হাতির শুর  সেখানে পতিত ঝোপঝাড় , বাশঝাড় কাটা হচ্ছে , সমতল করে সেখানে চাষাবাদ করা হবে । দুই শতাংশের মত জায়গা হবে হয়ত   । এই জায়গাটুকুরই অভাব ছিলো মানব জাতির । ঝোপঝাড় কেটে ফসল না হলে অনেকে না খেয়ে মারা যেত মনে হয় ।

বন জঙ্গল কমতে কমতে এখন প্রায় নিশ্চিহ্ন। ক্ষেতের মাঝে যেখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ঝোপঝাড় । পুরনো মাটির ঢিপি গুলোই এখন বিভিন্ন প্রানীর শেষ আবাস । সাপ, গুইসাপ,শেয়াল ,গিরগিটি, ব্যাঙ ,বেজিরা এখনো অস্তিত্ব কোন রকমে টিকিয়ে রেখেছে । এই ঝোপ ঝাড় গুলো ছাড়া আর তাদের কোন যাওয়ার নেই । বের হলেই মানুষের পৈশাচিকতার শিকার হতে হবে ।

সেখানে এস্কেভেটর এর জান্তব শব্দে এলাকা প্রকম্পিত। সবাই সোৎসাহে সে দৃশ্য উপভোগ করছেন । যেন সেখানে মেলা বসেছে ।  এস্কেভেটর দিয়ে ঝোপঝাড় আর মাটি কাটা হচ্ছে আর মাটির ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে সাপ ,গুইসাপ , শেয়াল । একে একে মাটি ভেতর থেকে বেড়িয়ে এলো গুইসাপ । কৃষ্ণ কালাচ , দাড়াশ , হেলে সাপ । পালিয়ে বাঁচল কয়েকটা শেয়াল , বেজি ।

সেখান থেকে খবর পেয়ে মোঃ সহিদুল ভাই ছুটে গিয়ে সাপগুলোর উদ্ধার করে চলছেন একে একে । শতগ্রামবাসী চাক্ষুষ করছে সেই রুদ্ধকর উদ্ধারাভিযান । খবর পাচ্ছি আর আমার মন পড়ে আছে সেখানে ।কিন্তু আমি তখন দূরে ।

চক্ষু ছানাবড়া হলো তখন , ইতিহাস রচনা হলো তখন যখন মাটির নিচ থেকে বেড়িয়ে এলো একটি সাপ ! অসাধারণ উজ্ঝল কমলা রঙয়ের সাপটি দেখে চোখ ধাধিয়ে গেল উপস্থিত জনতার । পঞ্চগড় পেল একটি নতুন প্রজাতির সাপ।  বাংলাদেশ পেল একটি নতুন প্রজাতির সাপ । যে সাপ এর আগে বাংলাদেশে রেকর্ড হয়নি । এবং এই সাপটি পৃথিবীর দুর্লভ সাপদের একটি । পৃথিবীতে শুধু মাত্র নেপাল ও ভারতের পর এই প্রথম বাংলাদেশে পাওয়া গেল  । সাপটি সফলতার সাথে উদ্ধার করলেন মোঃসহিদুল  ইসলাম ভাই (স্নেক রেসকিউয়ার , বোদা পঞ্চগড়) । তিনিই প্রথম বাংলাদেশে এই সাপ স্পট করলেন ও উদ্ধার করলেন ।

অতি দুর্লভ এই সাপটি পৃথিবীর ইতিহাসে ২০/২২ টির মত দেখা গেছে এই পর্যন্ত । যার মধ্যে একটি প্রথমবার এর মতো পঞ্চগড়,বাংলাদেশে ! রোমাঞ্চকর ব্যাপার বটে !

উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশের নতুন প্রজাতির দুর্দান্ত সুন্দর সাপটির নাম Red Coral Kukri / aligodon kheriensis .উজ্জল কমলা ও লাল প্রবাল রঙ সাপটিকে করেছে মোহনীয় সৌন্দর্যের অধিকারী । দেখলেই চোখ ধাধিয়ে যায় । রেসকিউ এর পর যখন ছবি তুলছিলাম অবাক হয়ে ভাবছিলাম সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি কত সুন্দর কত বৈচিত্র্যময় । কত কিছুই দেখিনি । আমাদের জন্য নতুন এই প্রজাতির সাপটি দেখা ছিল আমার জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা ।  সাপটির নাম এ কুকরি আছে শুনেই বিখ্যাত নেপালী কুকরির ছুড়ির কথা মনে হল । কুকরি নেপালের জাতীয় অস্ত্রের নাম ।  গোর্খাদের গৌরব ও আভিজাত্যের প্রতীক ।  জটায়ু ফেলুদার হাতে  এই কুকরী দেখেই অবাক হয়েছিলেন । এই সাপের দাঁত ঠিক কুকরি ছুড়ির  মত তাই এমন নামকরন Red Coral Kukri . কি অসাধারণ !!

 

সর্বপ্রথম এই সাপের দেখা মেলে ১৯৩৬ সালে ভারতের উত্তরপ্রদেশের Kheri Division এ। সেই নামানুসারেই জুওলোজিক্যাল নামকরন করা হয়েছে oligodon kheriensis .দীর্ঘ ৮২ বছর পর  ২০১৯ সালে আবার ঊত্তর প্রদেশের খেরি জেলায় দেখা গিয়েছিল লাল প্রবাল সাপটি ।এছাড়াও নেপালের মহেন্দ্রনগর , চিতোয়ান ন্যাশনাল পার্ক ।  ভারতের নৈনিতাল ,  জলপাইগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময়ে দেখা যায় । এর মধ্যে একটি সাইটিং বাংলাবান্ধা থেকে মাত্র ২৭ কিলোমিটার দূরে ।

 

ঝলমলে চোখ ধাধানো লাল প্রবাল সাপটি নির্বিষ ও অত্যন্ত নিরীহ । মনে করা হয় সাপটি নিশাচর এবং বেশির ভাগ সময় মাটির নিচেই থাকে এবং সম্ভবত মাটির নিচে কেঁচো ও লার্ভা খেয়ে জীবন ধারন করে । এবং সাপটি মাটি খননে অত্যান্ত পারদর্শী । মাটিতে থাকলেই মাটি খুঁড়ে ভিতরে চলে যাওয়ার প্রবণতা দেখেছি । মাটির ভিতরে থাকার জন্য রোসট্রাল স্কেল ব্যাবহার করে সাপটি । রোসট্রাল স্কেল হলো সাপের মুখের সম্মুখ ভাগে অবস্থিত বিশেষ অঙ্গবিশেষ যার সাহায্যে মাটি খনন করে । সাপটির অত্যান্ত দুর্লভ বিধায় সাপটি নিয়ে গবেষণা তেমন নেই ।

 

উদ্ধারকৃত সাপটি একটু আঘাত পেয়েছিল , প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সহিদুল ভাই আজ সকালে রাজশাহী থেকে আগত ভেনম রিসার্চ সেন্টার ,রাজশাহী  প্রতিনিধির কাছে  হস্তান্তর করেছেন ।

ধারনা করছি উদ্ধারকৃত এলাকায় এইসাপ আরো আছে । তাদের রক্ষার দায়িত্ব্য আমাদের সকলের । সকল বন্যপ্রানী সহ এমন দুর্লভ প্রজাতির সাপ আমাদের অমুল্য সম্পদ । উন্নয়নের নামে বন্যপ্রানীর আবাস ধ্বংস বন্ধ করুন । বন্যপ্রানী সংরক্ষনে সচেতন হউন ।