ঢাকা ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
গরু বহনকারী ভটভটির ধাক্কায় প্রাণ হারালো  দুই যুবক ইবিতে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য থাকছে না কোন পরিবহন সেবা নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকের সঙ্গে ওসির সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৪ মামলার পরোয়ানাভূক্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা কোনাবাড়ি পল্লী বিদ্যুৎ পাওয়ার সাবস্টেশনে আগুন তামাক হচ্ছে মাদকের মূল লক্ষ্য -ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম কিরাটন ইউনিয়নের পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম আমাদের মাঝে আর নেই শিবগঞ্জে সানামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু গাজীপুরবাসীর জন্য চরম “সৌভাগ্য’ বর্তমান ডিসি এডিসি রেভিনিউ চৌকস ও মেধাবী দুই কর্মকর্তার চিন্তা,চেতনায় কর্মে, সর্বোপরিভাবে সততাকে প্রাধাণ্য দিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন

বহুজাতিক কোম্পানির কর ফাঁকি ধরতে বৈশ্বিক তথ্যভান্ডারে যুক্ত হচ্ছে এনবিআর

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১২:১৩:১০ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২১
  • ২৩৮ ০.০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

দেশে কর্মরত বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর লেনেদেনের তথ্য নিতে এ সংক্রান্ত বৈশ্বিক তথ্যভান্ডারের যুক্ত হতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ ধরনের তথ্য সংরক্ষণকারী বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ তথ্যভান্ডারে যুক্ত হতে পারলে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর আন্তর্জাতিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে। ফলে এসব কোম্পানির যথাযথ অডিট করা তথা লেনদেন আইনানুগ উপায়ে পাঠানো কিংবা বেশি দাম দেখিয়ে কর ফাঁকি দিতে অর্থ পাঠানো হয়েছে কি না—তা উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে।

Nogod

আরও পড়ুন: এনবিআরকে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরির তাগিদ অর্থমন্ত্রীর

বহুজাতিক কোম্পানিসহ আন্তর্জাতিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত কর আদায়ের লক্ষ্যে সরকার ২০১২ সালে ট্রান্সফার প্রাইসিং আইন প্রণয়ন করে। তবে এটি কার্যক্রম শুরু করে ২০১৪ সালে। এ লক্ষ্যে ট্রান্সফার প্রাইসিং সেল গঠন করা হয়। অবশ্য আইন প্রণয়নের এত দিনেও বৈদেশিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলোর লেনদেনে স্বচ্ছতা আনার ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত অগ্রগতি হয়নি। ইস্যুটি এনবিআরের বিভিন্ন সভায়ও বিস্তর আলোচনা হচ্ছে। এনবিআরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এক্ষেত্রে অন্যতম বাধা ছিল আন্তর্জাতিক তথ্যভান্ডারে আয়কর বিভাগের প্রবেশাধিকার না থাকায় তথা সেখান থেকে তথ্য না পাওয়া। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তহবিলের অভাবে এটি শুরু করতে পারেনি এনবিআর। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত একটি কার্যক্রমের মাধ্যমে এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান মিলেছে। ‘সাপোর্টিং দ্য ইমপ্লিমেন্টেশন অব পিএফএম রিফর্ম স্ট্র্যাটেজিজ প্ল্যান’ শীর্ষক ঐ কার্যক্রমের সহায়তায় ট্রান্সফার প্রাইসিং সেলের সক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক : এনবিআর চেয়ারম্যান

বিদেশি কোম্পানিগুলোর শাখা কোম্পানি সুদ, মুনাফা, কোনো সম্পদ কিংবা পণ্যের মূল্য মূল কোম্পানিতে পাঠায়। এছাড়া পণ্য বা সেবা আমদানির মূল্যও মূল কোম্পানি বা অন্য কোনো কোম্পানিকে পাঠায়। এটি ট্রান্সফার প্রাইসিং হিসেবে পরিচিত। তবে পণ্যের দর কম বা বেশি দেখিয়ে কিংবা মুনাফার অর্থ প্রেরণে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার মাধ্যমে কর ফাঁকির পাশাপাশি অর্থপাচারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অভিযোগ রয়েছে, এর ফলে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে থাকে। কিন্তু কার্যকর কোনো উপায় না থাকায় এসব কর ফাঁকি অধরাই রয়ে যাচ্ছে। সাধারণত যেসব দেশে কর হার বেশি, সে দেশের প্রতিষ্ঠান থেকে নানা কৌশলে কর হার কম—এমন দেশের সহযোগী প্রতিষ্ঠানে অর্থ স্থানান্তর করা হয়। এতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে কর কম দিতে হয়, ফলে আয় বাড়ে। এটি একধরনের অর্থ পাচার। এতে প্রাপ্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অপেক্ষাকৃত বেশি কর রয়েছে—এমন দেশগুলো। এভাবে বিশ্বব্যাপী অনেক বহুজাতিক কোম্পানি কর এড়িয়ে যায় বা ফাঁকি দেয়। অতীতে এনবিআর এ ধরনের কিছু ফাঁকি উদ্ঘাটনও করেছে। শুধু শাখা কোম্পানি এবং মূল কোম্পানি ট্রান্সফার প্রাইসিংয়ের নামে কারসাজির সঙ্গে জড়িত, এমন নয়। অন্য কোনো কোম্পানি পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমেও মূল্য কারসাজি করে থাকে। এর ফলেও সংশ্লিষ্ট দেশ কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। এনবিআরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ট্রান্সফার প্রাইসিং সেল থেকে বেশকিছু বহুজাতিক কোম্পানির লেনদেনের বিশেষায়িত নিরীক্ষা করা হয়েছে। বছরে কমপক্ষে তিন কোটি টাকা আন্তর্জাতিক লেনদেন হয়, এমন শতাধিক কোম্পানির লেনদেনের তথ্য নিরীক্ষা করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, এমন ৯২১টি প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত এনবিআর। গত বছরের শুরুর দিকে এসব প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক লেনদেনের তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয় ট্রান্সফার প্রাইসিং সেল থেকে। তবে সূত্র জানিয়েছে, এক-পঞ্চমাংশ প্রতিষ্ঠানও তাদের এ সংক্রান্ত তথ্য পাঠায়নি।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

গরু বহনকারী ভটভটির ধাক্কায় প্রাণ হারালো  দুই যুবক

বহুজাতিক কোম্পানির কর ফাঁকি ধরতে বৈশ্বিক তথ্যভান্ডারে যুক্ত হচ্ছে এনবিআর

আপডেট টাইম : ১২:১৩:১০ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

দেশে কর্মরত বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর লেনেদেনের তথ্য নিতে এ সংক্রান্ত বৈশ্বিক তথ্যভান্ডারের যুক্ত হতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ ধরনের তথ্য সংরক্ষণকারী বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ তথ্যভান্ডারে যুক্ত হতে পারলে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর আন্তর্জাতিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে। ফলে এসব কোম্পানির যথাযথ অডিট করা তথা লেনদেন আইনানুগ উপায়ে পাঠানো কিংবা বেশি দাম দেখিয়ে কর ফাঁকি দিতে অর্থ পাঠানো হয়েছে কি না—তা উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে।

Nogod

আরও পড়ুন: এনবিআরকে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরির তাগিদ অর্থমন্ত্রীর

বহুজাতিক কোম্পানিসহ আন্তর্জাতিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত কর আদায়ের লক্ষ্যে সরকার ২০১২ সালে ট্রান্সফার প্রাইসিং আইন প্রণয়ন করে। তবে এটি কার্যক্রম শুরু করে ২০১৪ সালে। এ লক্ষ্যে ট্রান্সফার প্রাইসিং সেল গঠন করা হয়। অবশ্য আইন প্রণয়নের এত দিনেও বৈদেশিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলোর লেনদেনে স্বচ্ছতা আনার ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত অগ্রগতি হয়নি। ইস্যুটি এনবিআরের বিভিন্ন সভায়ও বিস্তর আলোচনা হচ্ছে। এনবিআরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এক্ষেত্রে অন্যতম বাধা ছিল আন্তর্জাতিক তথ্যভান্ডারে আয়কর বিভাগের প্রবেশাধিকার না থাকায় তথা সেখান থেকে তথ্য না পাওয়া। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তহবিলের অভাবে এটি শুরু করতে পারেনি এনবিআর। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত একটি কার্যক্রমের মাধ্যমে এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান মিলেছে। ‘সাপোর্টিং দ্য ইমপ্লিমেন্টেশন অব পিএফএম রিফর্ম স্ট্র্যাটেজিজ প্ল্যান’ শীর্ষক ঐ কার্যক্রমের সহায়তায় ট্রান্সফার প্রাইসিং সেলের সক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক : এনবিআর চেয়ারম্যান

বিদেশি কোম্পানিগুলোর শাখা কোম্পানি সুদ, মুনাফা, কোনো সম্পদ কিংবা পণ্যের মূল্য মূল কোম্পানিতে পাঠায়। এছাড়া পণ্য বা সেবা আমদানির মূল্যও মূল কোম্পানি বা অন্য কোনো কোম্পানিকে পাঠায়। এটি ট্রান্সফার প্রাইসিং হিসেবে পরিচিত। তবে পণ্যের দর কম বা বেশি দেখিয়ে কিংবা মুনাফার অর্থ প্রেরণে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার মাধ্যমে কর ফাঁকির পাশাপাশি অর্থপাচারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অভিযোগ রয়েছে, এর ফলে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে থাকে। কিন্তু কার্যকর কোনো উপায় না থাকায় এসব কর ফাঁকি অধরাই রয়ে যাচ্ছে। সাধারণত যেসব দেশে কর হার বেশি, সে দেশের প্রতিষ্ঠান থেকে নানা কৌশলে কর হার কম—এমন দেশের সহযোগী প্রতিষ্ঠানে অর্থ স্থানান্তর করা হয়। এতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে কর কম দিতে হয়, ফলে আয় বাড়ে। এটি একধরনের অর্থ পাচার। এতে প্রাপ্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অপেক্ষাকৃত বেশি কর রয়েছে—এমন দেশগুলো। এভাবে বিশ্বব্যাপী অনেক বহুজাতিক কোম্পানি কর এড়িয়ে যায় বা ফাঁকি দেয়। অতীতে এনবিআর এ ধরনের কিছু ফাঁকি উদ্ঘাটনও করেছে। শুধু শাখা কোম্পানি এবং মূল কোম্পানি ট্রান্সফার প্রাইসিংয়ের নামে কারসাজির সঙ্গে জড়িত, এমন নয়। অন্য কোনো কোম্পানি পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমেও মূল্য কারসাজি করে থাকে। এর ফলেও সংশ্লিষ্ট দেশ কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। এনবিআরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ট্রান্সফার প্রাইসিং সেল থেকে বেশকিছু বহুজাতিক কোম্পানির লেনদেনের বিশেষায়িত নিরীক্ষা করা হয়েছে। বছরে কমপক্ষে তিন কোটি টাকা আন্তর্জাতিক লেনদেন হয়, এমন শতাধিক কোম্পানির লেনদেনের তথ্য নিরীক্ষা করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, এমন ৯২১টি প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত এনবিআর। গত বছরের শুরুর দিকে এসব প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক লেনদেনের তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয় ট্রান্সফার প্রাইসিং সেল থেকে। তবে সূত্র জানিয়েছে, এক-পঞ্চমাংশ প্রতিষ্ঠানও তাদের এ সংক্রান্ত তথ্য পাঠায়নি।