সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের ফেসবুক লাইভ করতে গিয়ে প্রাণ গেল এক তরুণ
- আপডেট টাইম : ০৭:৩০:৪০ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৫ জুন ২০২২
- / ২০৪ ৫০০০.০ বার পাঠক
চট্টগ্রাম ব্যুরো।।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রচারে ফেসবুকে লাইভে গিয়েছিলেন তরুণ অলিউর রহমান নয়ন।
আর লাইভ করতে গিয়েই প্রাণ গেল এ তরুণের।
তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) রয়েছে।
এ খবর নিশ্চিত করেছেন তার সহকর্মী রুয়েল ও পরিবার।
জানা গেছে, অলিউর রহমান মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ফটিগুলী গ্ৰামের আশিক মিয়ার ছেলে। তিনি সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর একজন শ্রমিক ছিলেন। পরিবারের ৪ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে সে সবার বড়। দরিদ্র পরিবারের বড় সন্তান হিসেবে ৪ মাস পূর্বে একই গ্রামের বাসিন্দা মামুন মিয়া ঠিকাদারের মাধ্যমে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড বিএম কনটেইনার ডিপোতে শ্রমিক হিসেবে যোগ দেন।
মৃত্যুর খবর জানার পর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। ভাগ্য বদলে ৪ মাস পূর্বে চট্টগ্রামে যাওয়া বড় ছেলে একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলের মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ বাবা আশিক আলী।
শনিবার রাতে আগুন লাগার সময় অক্ষত ও নিরাপদেই ছিলেন অলিউর। খাবারের জন্য ডিপো থেকে চলে আসায় রাত ৯টার বিস্ফোরণে ভয়াবহতা থেকে বেঁচে যান।
কিন্তু রাত ১১টা থেকে ফেসবুকে লাইভে যুক্ত হন তিনি। আর লাইভ চলাকালীন হঠাৎ আরেকটি ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর হাতের মোবাইল ছিটকে যায় অলিউরের। তখন থেকে তার লাইভটি অন্ধকার দেখা যাচ্ছিল। চারদিকের আহাজারি, চিৎকার শোনা গেলেও অলিউর রহমানের কোন খোঁজ মিলছিলো না।
অলিউরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তার সহকর্মী রুয়েল বলেন, আমরা ওই সময় খাবারের জন্য ডিপো থেকে চলে আসি। কিন্তু ফেসবুকে লাইভ করার জন্য অলিউর সেখানে থেকে যায়। যে কারণে মৃত্যু ঘটল তার। পরে আরেকটি বিস্ফোরণে তার মৃত্যু হয়েছে। তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ চমেকে রয়েছে। এখন তার মরদেহ নেওয়ার জন্য স্বজনরা চট্টগ্রাম যাচ্ছে।
অলিউর রহমানের চাচা সুন্দর আলী জানান, আমাদেরকে গাড়ি নিয়ে হাসপাতালে যাবার জন্য বলা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে অলিউরের লাশ আনতে আমরা রওনা দিয়েছি।
স্থানীয় কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের মরদেহ আনার জন্য চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে স্বজনরা রওনা হয়েছেন।