জেলার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৫ আসন। আগামী সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
২৯ বছর পর ৩ নভেম্বর এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দেওয়া হয় সাবেক সংসদ-সদস্য ও বিসিবির সাবেক সভাপতি আলী আজগর লবিকে। তবে মনোনয়ন ঘোষণার পরও এ আসনে সরব রয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি শফি মোহাম্মদ খান। তার এমন ভূমিকায় ভোটারসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকার ভোটারদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, এ আসনের ৩ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি ভোটারের বড় অংশ হিন্দু সম্প্রদায়। আগামী নির্বাচনে হিন্দু সম্প্রদায় এবং আওয়ামী লীগের সমর্থকরা যাকে ভোট দেবে তিনিই নির্বাচিত হবেন। এখন পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী রয়েছেন।
বিএনপির দল থেকে আলী আজগর লবিকে মনোনয়ন দিলেও অন্য একজন প্রচারণা চালাচ্ছেন। ৮ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা শফি মোহাম্মদ খান ধানের শীষের পক্ষে সভা করেছেন। তখন তিনি আলী আজগর লবিকে উদ্দেশ করে অনেক কটূক্তি করেছেন। এ নিয়ে বিএনপির হাইকমান্ডের নিশ্চুপ থাকার বিষয়টি জনমনে নানা প্রশ্ন তুলেছে।
শফি মোহাম্মদ খান যুগান্তরকে বলেন, আমি দীর্ঘ ৩৬ বছর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এই আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী। দলের হাইকমান্ডের নির্দেশনা ছিল, যারা মনোনয়ন পাবেন তারা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নিয়ে একসঙ্গে কাজ করবেন। কিন্তু আমার আসন থেকে যিনি মনোনয়ন পেয়েছেন, তিনি আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি। আমি এক সপ্তাহ অপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ধানের শীষের প্রচারণায় কাজ শুরু করেছি। আমি আশা করি এই আসনে মনোনয়ন পুনরায় বিবেচনা করা হবে। আমি মনোনয়ন না পাওয়ায় সমর্থকরা হতাশায় পড়েছিল। তাই ৮ নভেম্বর ডুমুরিয়া উপজেলার ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা করি। তাছাড়া আলী আজগর লবি ও তার এক মহিলা সহকারীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক কথা উঠেছে। লবির সঙ্গে নানা সময়ে আলোচিত মোল্লা মোশাররফ হোসেন মফিজ, রুবায়েত হোসেন থাকে।
মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে সভা করার বিষয়ে তিনি বলেন, এই সভাটা এক প্রকার কৈফিয়ত বলতে পারেন। আমাকে যারা সমর্থন করেছিল তারা হতাশায় ভুগছিল। তাই আমি সভা করেছি। প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার আগ পর্যন্ত আমি ধানের শীষের পক্ষে নিজের প্রচারণা করে যাব।?
এদিকে আলী আজগর লবি যুগান্তরকে বলেন, দল থেকে আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এরপরও কেউ যদি ধানের শীষের পক্ষে নিজের প্রচারণা নিজে করে সেক্ষেত্রে আমার বলার কিছু নেই। ৩০ মে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাকে এ আসনে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর থেকে আমি মাঠে নেমেছি।
খুলনা জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পি যুগান্তরকে বলেন, খুলনা-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী দেওয়া হয়েছে আলী আজগর লবিকে। এরপরও যদি কেউ ধানের শীষের হয়ে নিজের প্রচারণা করে তবে সেটা সঠিক হবে না। এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় বিএনপিকে জানানো হবে।
প্রিন্ট
খুলনা অফিস বাবুল হাওলাদার 




















