বগুড়ায় বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল চার জনের
- আপডেট টাইম : ০৬:৪০:৫৭ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১
- / ৩৫৫ ৫০০০.০ বার পাঠক
সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।
বগুড়ায় বাসের ধাক্কায় সিএনজি অটোরিকশার চালকসহ চার জন নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার ভোরে শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ নিহতদের উদ্ধার করেছেন। এ সময় অন্তত আধা ঘণ্টা যান চলাচল ব্যাহত হয়। বগুড়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার বজলুর রশিদ দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতদের দুই জন হলেন-বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ডেমাজানি গ্রামের ক্ষিতিশ চন্দ্র দাসের ছেলে কালী দাস (৭২) ও ধুনট উপজেলার আনারপুর গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে শাহ্ জামাল (৩৪)। নিহত সিএনজি চালক ও অপর যাত্রীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে বগুড়ার শেরপুর থেকে সিএনজি অটোরিকশা চালক তিন যাত্রী নিয়ে বগুড়া শহরের দিকে রওনা হন। ভোর ৬টার দিকে তিনি শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে পৌঁছান। এসময় ঢাকা ছেড়ে আসা গাইবান্ধাগামী শাওন পরিবহনের একটি বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিএনজি অটোরিকশাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেন। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই তিন জন নিহত হন। খবর পেয়ে বগুড়ায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের উদ্ধার করেন।
আহত একজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। বগুড়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার বজলুর রশিদ জানান, তাৎক্ষণিকভাবে অটোরিকশার নিহত চালক ও এক যাত্রীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সরকার ও আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বগুড়ায় দুটি মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধ হয়নি। দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসাধু সদস্যরা আর্থিক সুবিধা নিয়ে এসব অবৈধ যান চলাচলে সহযোগিতা করেন। গ্যাস তোলার অজুহাতে থ্রি-হুইলারগুলো দিনরাত মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়ায়। এতে মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে হাইওয়ে পুলিশ শেরপুর ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর বানিউল আনাম জানান, সকাল ৮টা পর্যন্ত গ্যাস তোলার অনুমতি থাকলেও থ্রি-হুইলারগুলো নির্দেশ অমান্য করে সারাদিনই মহাসড়কে চলাচল করে থাকে। প্রায় প্রতিদিন ১৫-২০টাসহ গত মাসে ৩৫০টি থ্রি-হুইলার জব্দ করা হয়েছিল। মালিকরা জরিমানা দিয়ে আবারও মহাসড়কে যাত্রী বহন করে থাকে। তিনি জানান, এসব অবৈধ যান ধ্বংস করার অনুমতি না থাকায় এদের রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
ইন্সপেক্টর বানিউল আনাম আরও জানান, দুর্ঘটনা যখন ঘটেছে, ওই সময়ে মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি ছিল।