ঢাকা ১১:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নাসিরনগরে বজ্রপাতে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু শহীদ নিজামীর খুনিদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ -মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান আজমিরীগঞ্জে বজ্রপাতে এক যুবকের মৃত্যু নাওজোড় হাইওয়ে পুলিশের অবহেলায় মহাসড়ক অনিরাপদ, জনদুর্ভোগ চরমে ভাঙ্গুড়ায় চার নিয়োগে অর্ধ কোটি টাকা ঘুস আদায় আ.লীগ নেতার মা-তুমি অনন্ত, তুমি মহাসমুদ্র, তুমি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ গাজীপুরের কাশিমপুরে অস্ত্রসহ ডাকাতির প্রস্তুতি কালে ২জন ও ধর্ষণ মামলায় ১ জনকে গ্রেফতার করেছে কাশিমপুর থানা পুলিশ নিজেকে কতটুকু জানি? আমাদের অবস্থার ভিত্তি কী? গেজেট প্রকাশের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত: সিইসি মগবাজারে বিজয় উৎসবে আমীরে জামায়াতের দৃপ্ত ভাষণ

বদলে যাওয়া জীবনের গল্প ভূমিহীন-গৃহহীন সামাদ শেখের

তারিকুল ইসলাম সিন্টু নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ১২:৩৪:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩
  • / ৩৩০ ১৫০০০.০ বার পাঠক

পিরোজুরের নাজিরপুরে ভ’মিহীন-গৃহহীনরা আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পেয়ে বদলে গেছে অনেকেরই জীবন মান। তবে শেখমাটিয়া ইউনিয়নের বুইচাকাঠী গ্রামের হানিফ শেখের পুত্র মো. সামাদ শেখ আশ্রয়ন প্রকল্পের একটি ঘর পেয়ে রাতারাতি বদলে যায় তার জীবন মান।

মোঃ সামাদ শেখ জানান, আমি একজন ভ্যান চালক । বাবার কোন জমিজমা না থাকায় সারাজীবনই অন্যের বাড়ীতে থাকতাম,সময় মত ভাড়া না দিতে পারায় বাড়ীয়ালা প্রায়ই বলতেন আমার বাড়ী থেকে চলে যান, অনেক অপমান হওয়া স্বত্বেও তাদের বাড়ীতে থাকতে হতো ।
পরবর্তীতে মানুষের মুখে শুনলাম সরকার জমিসহ ঘর দিচ্ছে, তাই আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার,নাজিরপুর পিরোজপুর মহোদয়ের নিকট একটি জমিসহ ঘর পাইবার আবেদন করি । আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসনের অনেকই আমার বিষয়ে আমার এলাকায় অনেক খোঁজখবর নিয়ে আমাকে “ক শ্রেণির উপকারভোগীর তালিকায় নাম অর্ন্তভূক্ত করেন এবং তার কিছুদিন পরই ২৫ এপ্রিল ২০২২ খ্রি. তারিখে আমতলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২০ নম্বর ঘরটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজিরপুর পিরোজপুর মহোদয় আমাকে বুঝিয়ে দেন ।
তিনি আরো জানান,আশ্রয়ণের ঘর ও জমি পেয়ে তিনি তার পরিবার নিয়ে সেখানে বসবাস করা শুরু করেন এবং ঘরের পিছন অংশে অবশিষ্ট জায়গায় কৃষি অফিসের সহযোগীতায় সবজি চাষ শুরু করি এবং স্থানীয় একটি এনজিও হতে লোন নিয়ে আমার ঘরের সামনে মুদি দোকান দিয়েছি সেখানে এখন আমি মুদির দোকানদারী করে সংসার চালাচ্ছি । এবার শীত মৌসুমে সবজী চাষ করে নিজের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত সবজি বাজারে বিক্রি করে প্রায় ৬৫০০/- টাকা আয় করেছি । মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণের ঘর পেয়ে আমি ভ্যান চালক থেকে মুদি দোকানদার হয়েছি এবং বর্তমান আমি আর ভ্যান চালাই না । আমি মুদির ব্যবসা করে আমার পরিবার নিয়ে অনেক সুখে আছি । আমার মতো এমন ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে মাথা গোজার জন্য ঘরসহ জমি দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বদলে যাওয়া জীবনের গল্প ভূমিহীন-গৃহহীন সামাদ শেখের

আপডেট টাইম : ১২:৩৪:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

পিরোজুরের নাজিরপুরে ভ’মিহীন-গৃহহীনরা আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পেয়ে বদলে গেছে অনেকেরই জীবন মান। তবে শেখমাটিয়া ইউনিয়নের বুইচাকাঠী গ্রামের হানিফ শেখের পুত্র মো. সামাদ শেখ আশ্রয়ন প্রকল্পের একটি ঘর পেয়ে রাতারাতি বদলে যায় তার জীবন মান।

মোঃ সামাদ শেখ জানান, আমি একজন ভ্যান চালক । বাবার কোন জমিজমা না থাকায় সারাজীবনই অন্যের বাড়ীতে থাকতাম,সময় মত ভাড়া না দিতে পারায় বাড়ীয়ালা প্রায়ই বলতেন আমার বাড়ী থেকে চলে যান, অনেক অপমান হওয়া স্বত্বেও তাদের বাড়ীতে থাকতে হতো ।
পরবর্তীতে মানুষের মুখে শুনলাম সরকার জমিসহ ঘর দিচ্ছে, তাই আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার,নাজিরপুর পিরোজপুর মহোদয়ের নিকট একটি জমিসহ ঘর পাইবার আবেদন করি । আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসনের অনেকই আমার বিষয়ে আমার এলাকায় অনেক খোঁজখবর নিয়ে আমাকে “ক শ্রেণির উপকারভোগীর তালিকায় নাম অর্ন্তভূক্ত করেন এবং তার কিছুদিন পরই ২৫ এপ্রিল ২০২২ খ্রি. তারিখে আমতলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২০ নম্বর ঘরটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজিরপুর পিরোজপুর মহোদয় আমাকে বুঝিয়ে দেন ।
তিনি আরো জানান,আশ্রয়ণের ঘর ও জমি পেয়ে তিনি তার পরিবার নিয়ে সেখানে বসবাস করা শুরু করেন এবং ঘরের পিছন অংশে অবশিষ্ট জায়গায় কৃষি অফিসের সহযোগীতায় সবজি চাষ শুরু করি এবং স্থানীয় একটি এনজিও হতে লোন নিয়ে আমার ঘরের সামনে মুদি দোকান দিয়েছি সেখানে এখন আমি মুদির দোকানদারী করে সংসার চালাচ্ছি । এবার শীত মৌসুমে সবজী চাষ করে নিজের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত সবজি বাজারে বিক্রি করে প্রায় ৬৫০০/- টাকা আয় করেছি । মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণের ঘর পেয়ে আমি ভ্যান চালক থেকে মুদি দোকানদার হয়েছি এবং বর্তমান আমি আর ভ্যান চালাই না । আমি মুদির ব্যবসা করে আমার পরিবার নিয়ে অনেক সুখে আছি । আমার মতো এমন ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে মাথা গোজার জন্য ঘরসহ জমি দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।