ঢাকা ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা কোনাবাড়ি পল্লী বিদ্যুৎ পাওয়ার সাবস্টেশনে আগুন তামাক হচ্ছে মাদকের মূল লক্ষ্য -ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম কিরাটন ইউনিয়নের পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম আমাদের মাঝে আর নেই শিবগঞ্জে সানামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু গাজীপুরবাসীর জন্য চরম “সৌভাগ্য’ বর্তমান ডিসি এডিসি রেভিনিউ চৌকস ও মেধাবী দুই কর্মকর্তার চিন্তা,চেতনায় কর্মে, সর্বোপরিভাবে সততাকে প্রাধাণ্য দিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন জামালপুরে ভোজ্য তেল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রনে কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের পর ছাত্রলীগ নেতার গলিত মরদেহ উদ্ধার চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টির জন্য চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় মঠবাড়ীয়া তীব্র তাপদাহের হাত থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ। প্রার্থনা

বদলে যাওয়া জীবনের গল্প ভূমিহীন-গৃহহীন সামাদ শেখের

পিরোজুরের নাজিরপুরে ভ’মিহীন-গৃহহীনরা আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পেয়ে বদলে গেছে অনেকেরই জীবন মান। তবে শেখমাটিয়া ইউনিয়নের বুইচাকাঠী গ্রামের হানিফ শেখের পুত্র মো. সামাদ শেখ আশ্রয়ন প্রকল্পের একটি ঘর পেয়ে রাতারাতি বদলে যায় তার জীবন মান।

মোঃ সামাদ শেখ জানান, আমি একজন ভ্যান চালক । বাবার কোন জমিজমা না থাকায় সারাজীবনই অন্যের বাড়ীতে থাকতাম,সময় মত ভাড়া না দিতে পারায় বাড়ীয়ালা প্রায়ই বলতেন আমার বাড়ী থেকে চলে যান, অনেক অপমান হওয়া স্বত্বেও তাদের বাড়ীতে থাকতে হতো ।
পরবর্তীতে মানুষের মুখে শুনলাম সরকার জমিসহ ঘর দিচ্ছে, তাই আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার,নাজিরপুর পিরোজপুর মহোদয়ের নিকট একটি জমিসহ ঘর পাইবার আবেদন করি । আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসনের অনেকই আমার বিষয়ে আমার এলাকায় অনেক খোঁজখবর নিয়ে আমাকে “ক শ্রেণির উপকারভোগীর তালিকায় নাম অর্ন্তভূক্ত করেন এবং তার কিছুদিন পরই ২৫ এপ্রিল ২০২২ খ্রি. তারিখে আমতলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২০ নম্বর ঘরটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজিরপুর পিরোজপুর মহোদয় আমাকে বুঝিয়ে দেন ।
তিনি আরো জানান,আশ্রয়ণের ঘর ও জমি পেয়ে তিনি তার পরিবার নিয়ে সেখানে বসবাস করা শুরু করেন এবং ঘরের পিছন অংশে অবশিষ্ট জায়গায় কৃষি অফিসের সহযোগীতায় সবজি চাষ শুরু করি এবং স্থানীয় একটি এনজিও হতে লোন নিয়ে আমার ঘরের সামনে মুদি দোকান দিয়েছি সেখানে এখন আমি মুদির দোকানদারী করে সংসার চালাচ্ছি । এবার শীত মৌসুমে সবজী চাষ করে নিজের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত সবজি বাজারে বিক্রি করে প্রায় ৬৫০০/- টাকা আয় করেছি । মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণের ঘর পেয়ে আমি ভ্যান চালক থেকে মুদি দোকানদার হয়েছি এবং বর্তমান আমি আর ভ্যান চালাই না । আমি মুদির ব্যবসা করে আমার পরিবার নিয়ে অনেক সুখে আছি । আমার মতো এমন ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে মাথা গোজার জন্য ঘরসহ জমি দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা

বদলে যাওয়া জীবনের গল্প ভূমিহীন-গৃহহীন সামাদ শেখের

আপডেট টাইম : ১২:৩৪:৫৫ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

পিরোজুরের নাজিরপুরে ভ’মিহীন-গৃহহীনরা আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পেয়ে বদলে গেছে অনেকেরই জীবন মান। তবে শেখমাটিয়া ইউনিয়নের বুইচাকাঠী গ্রামের হানিফ শেখের পুত্র মো. সামাদ শেখ আশ্রয়ন প্রকল্পের একটি ঘর পেয়ে রাতারাতি বদলে যায় তার জীবন মান।

মোঃ সামাদ শেখ জানান, আমি একজন ভ্যান চালক । বাবার কোন জমিজমা না থাকায় সারাজীবনই অন্যের বাড়ীতে থাকতাম,সময় মত ভাড়া না দিতে পারায় বাড়ীয়ালা প্রায়ই বলতেন আমার বাড়ী থেকে চলে যান, অনেক অপমান হওয়া স্বত্বেও তাদের বাড়ীতে থাকতে হতো ।
পরবর্তীতে মানুষের মুখে শুনলাম সরকার জমিসহ ঘর দিচ্ছে, তাই আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার,নাজিরপুর পিরোজপুর মহোদয়ের নিকট একটি জমিসহ ঘর পাইবার আবেদন করি । আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসনের অনেকই আমার বিষয়ে আমার এলাকায় অনেক খোঁজখবর নিয়ে আমাকে “ক শ্রেণির উপকারভোগীর তালিকায় নাম অর্ন্তভূক্ত করেন এবং তার কিছুদিন পরই ২৫ এপ্রিল ২০২২ খ্রি. তারিখে আমতলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২০ নম্বর ঘরটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজিরপুর পিরোজপুর মহোদয় আমাকে বুঝিয়ে দেন ।
তিনি আরো জানান,আশ্রয়ণের ঘর ও জমি পেয়ে তিনি তার পরিবার নিয়ে সেখানে বসবাস করা শুরু করেন এবং ঘরের পিছন অংশে অবশিষ্ট জায়গায় কৃষি অফিসের সহযোগীতায় সবজি চাষ শুরু করি এবং স্থানীয় একটি এনজিও হতে লোন নিয়ে আমার ঘরের সামনে মুদি দোকান দিয়েছি সেখানে এখন আমি মুদির দোকানদারী করে সংসার চালাচ্ছি । এবার শীত মৌসুমে সবজী চাষ করে নিজের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত সবজি বাজারে বিক্রি করে প্রায় ৬৫০০/- টাকা আয় করেছি । মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণের ঘর পেয়ে আমি ভ্যান চালক থেকে মুদি দোকানদার হয়েছি এবং বর্তমান আমি আর ভ্যান চালাই না । আমি মুদির ব্যবসা করে আমার পরিবার নিয়ে অনেক সুখে আছি । আমার মতো এমন ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে মাথা গোজার জন্য ঘরসহ জমি দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।