মাসুদ-আমরুল্লাহ পালাননি, আফগানিস্তানেই আছেন
- আপডেট টাইম : ০১:২৩:৪৯ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ২২৮ ৫০০০.০ বার পাঠক
পাঞ্জশিরের তালেবানবিরোধী বিদ্রোহী নেতা আহমদ মাসুদ এবং আমরুল্লাহ সালেহ আফগানিস্তান ছেড়ে পালাননি। তারা দেশেই আছেন।
তাজিকিস্তানে নিযুক্ত আফগানিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত সরকারের রাষ্ট্রদূত জহির আগবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেছেন। তিনি বলেন, মাসুদ ও সালেহ আফগানিস্তানেই আছেন। তারা দেশ ছেড়ে পালাননি।
রোববার রাতে তালেবান যোদ্ধারা পাঞ্জশিরের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রথমে খবর প্রকাশ হয় মাসুদ তাজিকিস্তানেন পালিয়ে গেছেন। পরবর্তীতে আরেকটি খবরে বলা হয়, মাসুদ সুইজারল্যান্ডে আছেন।
তাজিকিস্তানে ক্ষমতাচ্যুত আফগান রাষ্ট্রদূত জহির আগবর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সালেহর সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ আছে। নিরাপত্তার কারণে সালেহসহ তালেবানবিরোধী যোদ্ধারা স্বাভাবিক যোগাযোগের বাইরে আছেন। আহমদ মাসুদ পাঞ্জশির ছেড়ে চলে গেছেন বলে যে খবর বেরিয়েছে, তা সত্য নয়। তিনি আফগানিস্তানের ভেতরে আছেন।
আফগানিস্তানের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহও পাঞ্জশিরে আছেন দাবি করে জহির আগবর বলেন, সালেহ ইসলামিক প্রজাতন্ত্র আফগানিস্তান সরকার পরিচালনা করছেন। জহিরের দাবি, পাঞ্জশিরের প্রতিরোধ বাহিনী এখনো তালেবানের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে।
গত ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখলের পর পাঞ্জশির প্রদেশে আহমদ মাসুদ বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। তার সঙ্গে যুক্ত হন আফগান সরকারের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিসমিল্লাহ মোহাম্মদী। তালেবান সরকারে তাদের জায়গা না হলে তারা কঠোর প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
তিন সপ্তাহ যুদ্ধের পর রোববার রাতে তালেবান যোদ্ধারা পাঞ্জশিরের নিয়ন্ত্রণ নেয়। সোমবার সকালে তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ পাঞ্জশির বিজয়ের ঘোষণা দেন। তবে গতকাল মঙ্গলবার অজ্ঞাত জায়গা থেকে একটি বিবৃতি পাঠান আহমদ মাসুদ। এই বিবৃতিতে তিনি তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি না দিতে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর প্রতি আহ্বান জানান।
এএফপির এক খবরে বলা হয়েছে, আহমদ মাসুদ বর্তমানে সুইজারল্যান্ডে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে তিনি বলেছেন, তাদের হাজার হাজার যোদ্ধা প্রস্তুত আছে। যেকোনো সময় তারা পাঞ্জশিরে ফিরে আসবে।
পাঞ্জশিরে তালেবানের এক কমান্ডার তুরস্কের আনাদোলু এজেন্সির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বিদ্রোহীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আমরা তাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের নেতারা তাদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। কিন্তু আত্মসমর্পণ না করলে তাদের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে।