এতে গরুর গোয়ালঘর ভাঙচুর, শারীরিক হামলা এবং মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও মোছার চেষ্টা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২১ জুলাই) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে এই হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ অনুযায়ী, মেজ ভাই মোহাম্মদ নেছার হাওলাদার, তার জামাই আল-আমিন চৌকিদার, ছোট ভাই জাহিদুল এবং স্থানীয় কয়েকজন মিলে ছোট ভাই ওয়াহিদুল হাওলাদারের গোয়ালঘর ভেঙে দেন। এ সময় কুড়োর খড় ও অন্যান্য মালামাল ভাঙচুর করা হয়।
ওয়াহিদুল হাওলাদার ঘটনাস্থলে গেলে তার ওপর হামলা চালানো হয়। হামলার শিকার হন তার স্ত্রীও।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক সূত্র জানায়, হামলায় সরাসরি অংশ নেন আল-আমিন চৌকিদার, জাহিদুল চৌকিদার, তাসলিমা আক্তার (নেছারের স্ত্রী), ইমাম হোসেন চৌকিদার, শাহিন বয়াতি, তরিকুল চৌকিদার এবং বাদশা চৌকিদার।
ঘটনার সময় ওয়াহিদুল হাওলাদারের মেয়ে রেশমা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করলে হামলাকারীরা তার মোবাইলটি ছিনিয়ে নেয়। পরে ফোনটি ফিরিয়ে দিয়ে ভাঙচুরের ভিডিও যেন কারও কাছে না যায়, সেই শর্তে ২০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরেই পারিবারিক রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলছিল। নেছার হাওলাদার প্রায় ১০ বছর ধরে পুরনো পারিবারিক রাস্তার অংশ দখলে রেখেছেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মধ্যস্থতায় দুই ভাইয়ের জমির উপর দিয়ে নতুন রাস্তা তৈরি করা হলেও তা মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন নেছার। বরং তিনি জোরপূর্বক ছোট ভাইয়ের গোয়ালঘরের ভেতর দিয়ে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন।
ভুক্তভোগী ওয়াহিদুল হাওলাদার বলেন, “আমার গরুর ঘর ভেঙে দিছে, কুড়োর খড় নষ্ট করছে, আমার স্ত্রীকেও মেরেছে। আমি এর বিচার চাই।
প্রিন্ট