ঢাকা ০২:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৪৫ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ Logo ঢাবি ভিসির সঙ্গে ছাত্রদল নেতাদের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় Logo আসন পুনর্বিন্যাস বাতিলের দাবিতে উত্তাল মোংলা Logo উত্তরা ইপিজেডে পরিস্থিতি পুরো শান্ত চলছে স্বাভাবিক কর্মতৎপরতা বাম চক্রান্তে ফের অশান্তির শংকা Logo ডাকসু নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকের মৃত্যু Logo সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগে কারাগারে থাকা সাবেক ডিসি সুলতানাকে হাইকোর্টের জামিন Logo মৌসুমী-ঋতুপর্ণাকে নিয়ে প্রকাশ্যে এলেন ফেরদৌস Logo দৌলতদিয়ার ২টি ফেরি ঘাটে কচ্ছপের গতিতে যানবাহন পারাপার, ৭নং ফেরি ঘাট বন্ধ: ভোগান্তি চরমে Logo উৎসব ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ শেষ, ফলের অপেক্ষা Logo কাঠমান্ডু থেকে হেলিকপ্টারে কোথায় যাচ্ছেন ওলি

গোপালগঞ্জে ছাত্রলীগের নৈরাজ্যে উত্তাল চট্টগ্রাম—জামায়াতের রণভাষ্য: এবার শেষ লড়াই!

গোপালগঞ্জে ছাত্রলীগের নামে ভয়াবহ সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ, হত্যাকাণ্ড এবং রক্তাক্ত নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগরীতে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় নগরীর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের উত্তর গেট থেকে বিশাল মিছিল শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে রূপ নেয়।

“ফ্যাসিবাদী শক্তির ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করতেই হবে”—মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম,প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের চট্টগ্রাম মহানগরী ভারপ্রাপ্ত আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন—
“স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও দেশ আজ আগুনে পুড়ছে, রক্তে রাঙা হচ্ছে রাজপথ। গোপালগঞ্জে ছাত্রলীগের নামে পরিচালিত অরাজকতা জাতিকে ফের দুঃস্বপ্নের পথে ঠেলে দিচ্ছে।”

তিনি ১৬ জুলাই শাহাদতবরণকারী শহীদ আবু সাঈদসহ চট্টগ্রাম ও ঢাকার রাজপথে নিহতদের স্মরণ করে বলেন,
“ওই দিনই ফ্যাসিবাদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে গেছে। জাতির সামনে এখন শেষ লড়াইয়ের সময়।”
‘জুলাই বিপ্লবের বারুদের গন্ধে কাপছে ফ্যাসিবাদ’

সমাবেশে মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম আরও বলেন—
“১৯৪৭ থেকে শুরু করে ২০২৪—প্রতিবারই মুসলিম জনতার জাগরণই ইতিহাস লিখেছে। কিন্তু স্বাধীনতার নামে, ভোটের নামে, উন্নয়নের নামে দেশটাকে তুলে দেওয়া হয়েছে বিদেশি প্রভুদের হাতে।”
“লগি-বৈঠার জিঘাংসা, ১/১১-এর ষড়যন্ত্র, নিশিরাতের ভোট, আমি-ডামি নাটক—সবই জনগণের ঘৃণায় ধুলিসাৎ হবে।”

“১৯ জুলাই জাতীয় মহাসমাবেশ হবে গণফাঁসির মঞ্চ”—কেন্দ্রীয় নেতাদের ঘোষণা,সমাবেশে বক্তব্য রাখেন—
অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন (চট্টগ্রাম-২, মনোনীত প্রার্থী)
ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস (এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি)
ডা. এ কে এম ফজলুল হক (চট্টগ্রাম-১০, মনোনীত প্রার্থী)
হামেদ হাসান ইলাহী, আমির হোসাইন, জামায়াত নেতা ফারুকে আজম, ইসমাইল, সিসিএ সভাপতি সেলিম জামান, শহীদ ফারুকের পিতা মোহাম্মদ দুলাল প্রমুখ।

নেতারা বলেন— এই আন্দোলন শুধু জামায়াতের নয়—এটি জনগণের লড়াই, এটি শহীদদের রক্তের দায় শোধের লড়াই। সাত দফা দাবিতে ১৯ জুলাইয়ের জাতীয় মহাসমাবেশ হবে অবৈধ শাসকদের গণফাঁসির প্ল্যাটফর্ম!”

গোপালগঞ্জে হামলা নয়—বিপ্লবের গায়ে ছুরিকাঘাত
বক্তারা অভিযোগ করেন—গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে চলমান জনতার আন্দোলনকে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু পুরো জাতি এখন ফুঁসে উঠেছে।
“শহীদের রক্ত বৃথা যাবে না। সেনা-জনতার ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপেই দেশ ফিরবে সুবিচারে।”

চট্টগ্রাম রাজপথের বার্তা: ‘ফাঁসিবাদের পতন অনিবার্য’
এই প্রতিবাদ ছিল শুধু রাজপথে হেঁটে যাওয়ার মিছিল নয়, বরং এটি ছিল এক গর্জে ওঠা হুঙ্কার—যেখানে চট্টগ্রাম বলছে: “এবার আর ফিরে যাওয়া নয়—জয় না হওয়া পর্যন্ত পিছু হটা নয়!”


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৪৫ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ

গোপালগঞ্জে ছাত্রলীগের নৈরাজ্যে উত্তাল চট্টগ্রাম—জামায়াতের রণভাষ্য: এবার শেষ লড়াই!

আপডেট সময় ১২:৪৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

গোপালগঞ্জে ছাত্রলীগের নামে ভয়াবহ সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ, হত্যাকাণ্ড এবং রক্তাক্ত নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগরীতে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় নগরীর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের উত্তর গেট থেকে বিশাল মিছিল শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে রূপ নেয়।

“ফ্যাসিবাদী শক্তির ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করতেই হবে”—মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম,প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের চট্টগ্রাম মহানগরী ভারপ্রাপ্ত আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন—
“স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও দেশ আজ আগুনে পুড়ছে, রক্তে রাঙা হচ্ছে রাজপথ। গোপালগঞ্জে ছাত্রলীগের নামে পরিচালিত অরাজকতা জাতিকে ফের দুঃস্বপ্নের পথে ঠেলে দিচ্ছে।”

তিনি ১৬ জুলাই শাহাদতবরণকারী শহীদ আবু সাঈদসহ চট্টগ্রাম ও ঢাকার রাজপথে নিহতদের স্মরণ করে বলেন,
“ওই দিনই ফ্যাসিবাদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে গেছে। জাতির সামনে এখন শেষ লড়াইয়ের সময়।”
‘জুলাই বিপ্লবের বারুদের গন্ধে কাপছে ফ্যাসিবাদ’

সমাবেশে মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম আরও বলেন—
“১৯৪৭ থেকে শুরু করে ২০২৪—প্রতিবারই মুসলিম জনতার জাগরণই ইতিহাস লিখেছে। কিন্তু স্বাধীনতার নামে, ভোটের নামে, উন্নয়নের নামে দেশটাকে তুলে দেওয়া হয়েছে বিদেশি প্রভুদের হাতে।”
“লগি-বৈঠার জিঘাংসা, ১/১১-এর ষড়যন্ত্র, নিশিরাতের ভোট, আমি-ডামি নাটক—সবই জনগণের ঘৃণায় ধুলিসাৎ হবে।”

“১৯ জুলাই জাতীয় মহাসমাবেশ হবে গণফাঁসির মঞ্চ”—কেন্দ্রীয় নেতাদের ঘোষণা,সমাবেশে বক্তব্য রাখেন—
অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন (চট্টগ্রাম-২, মনোনীত প্রার্থী)
ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস (এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি)
ডা. এ কে এম ফজলুল হক (চট্টগ্রাম-১০, মনোনীত প্রার্থী)
হামেদ হাসান ইলাহী, আমির হোসাইন, জামায়াত নেতা ফারুকে আজম, ইসমাইল, সিসিএ সভাপতি সেলিম জামান, শহীদ ফারুকের পিতা মোহাম্মদ দুলাল প্রমুখ।

নেতারা বলেন— এই আন্দোলন শুধু জামায়াতের নয়—এটি জনগণের লড়াই, এটি শহীদদের রক্তের দায় শোধের লড়াই। সাত দফা দাবিতে ১৯ জুলাইয়ের জাতীয় মহাসমাবেশ হবে অবৈধ শাসকদের গণফাঁসির প্ল্যাটফর্ম!”

গোপালগঞ্জে হামলা নয়—বিপ্লবের গায়ে ছুরিকাঘাত
বক্তারা অভিযোগ করেন—গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে চলমান জনতার আন্দোলনকে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু পুরো জাতি এখন ফুঁসে উঠেছে।
“শহীদের রক্ত বৃথা যাবে না। সেনা-জনতার ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপেই দেশ ফিরবে সুবিচারে।”

চট্টগ্রাম রাজপথের বার্তা: ‘ফাঁসিবাদের পতন অনিবার্য’
এই প্রতিবাদ ছিল শুধু রাজপথে হেঁটে যাওয়ার মিছিল নয়, বরং এটি ছিল এক গর্জে ওঠা হুঙ্কার—যেখানে চট্টগ্রাম বলছে: “এবার আর ফিরে যাওয়া নয়—জয় না হওয়া পর্যন্ত পিছু হটা নয়!”


প্রিন্ট