ঢাকা ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আশুগঞ্জে পুলিশের বড় সাফল্য সাড়ে ৩৪ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড ভ্যানসহ আটক ২ মাদক কারবারি Logo চেইন চুরির সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা Logo ভোটের গাড়ির যাত্রা শুরুর উদ্বোধনে ভিডিও বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনে ভয় থাকবে না, থাকবে নির্ভীক মত প্রকাশ Logo যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা Logo এবার এনসিপি নেতাকে প্রকাশ্যে গুলি Logo একের পর হামলা-হত্যাকাণ্ড, প্রশাসন ‘নির্লিপ্ত’ কেন? Logo নাহিদ হাসনাতসহ গানম্যান পেলেন যারা Logo বারকোনা একতা ক্রীড়া সংঘ এর উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত Logo হাদিকে গুলি করে হত্যা: ফয়সালের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা Logo হাদি হত্যা: ফয়সালদের ব্যাংকে ১২৭ কোটি টাকা লেনদেন

মায়ের গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিল আহত বাবা, মেয়ে পুলিশ হেফাজতে

ঘটনা স্থলে স্থানীয় উৎসুক জনতা। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর মহানগরীর একটি বাসা থেকে গলাকাটা অবস্থায় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় ওই নারীর স্বামীকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে এ ঘটনায় দম্পতির ১৬ বছরের মেয়েকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে মহানগরীর কোনাবাড়ী নওয়াব আলী মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নারীর নাম রহিমা বেগম (৩৮)। তিনি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বিনোয়াটি গ্রামের শাজাহান সরকারের মেয়ে। তার স্বামী ইমরান হোসেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার আমতৈল গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইমরান হোসেন ও রহিমা বেগম তাদের মেয়েকে নিয়ে কোনাবাড়ীর নওয়াব আলী মার্কেট এলাকার একটি ভবনের পাঁচতলায় ভাড়া থাকতেন। ইমরান কোনাবাড়ী এলাকায় মাংস বিক্রির কাজ করতেন, স্ত্রী ঘর সামলাতেন। আজ সকালে পুলিশ খবর পায়, স্বামী-স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে কোনাবাড়ী থানা থেকে পুলিশ ভোরে তাদের লাশের সুরতহাল করতে যান। এ সময়ে পুলিশ অর্ধগলাকাটা ইমরান হোসেনকে হাত নাড়াচাড়া করতে দেখেন। পরে তাকে দ্রুত গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘এই দম্পতির মেয়ে বন্ধুদের নিয়ে টিকটক করে। সে জানিয়েছে, তার বাবা প্রথমে মাকে হত্যা করেন এবং পরে তিনি নিজেই নিজের গলা কাটেন। এটা সে নিজের চোখেই নাকি দেখেছে। কিন্তু তার কথা আমাদের বিশ্বাস হচ্ছে না। যার কারণে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।’

ওসি জানান, নিহত রহিমা বেগমের লাশ শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার স্বামীকে একই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আশুগঞ্জে পুলিশের বড় সাফল্য সাড়ে ৩৪ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড ভ্যানসহ আটক ২ মাদক কারবারি

মায়ের গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিল আহত বাবা, মেয়ে পুলিশ হেফাজতে

আপডেট সময় ১২:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

ঘটনা স্থলে স্থানীয় উৎসুক জনতা। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর মহানগরীর একটি বাসা থেকে গলাকাটা অবস্থায় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় ওই নারীর স্বামীকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে এ ঘটনায় দম্পতির ১৬ বছরের মেয়েকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে মহানগরীর কোনাবাড়ী নওয়াব আলী মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নারীর নাম রহিমা বেগম (৩৮)। তিনি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বিনোয়াটি গ্রামের শাজাহান সরকারের মেয়ে। তার স্বামী ইমরান হোসেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার আমতৈল গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইমরান হোসেন ও রহিমা বেগম তাদের মেয়েকে নিয়ে কোনাবাড়ীর নওয়াব আলী মার্কেট এলাকার একটি ভবনের পাঁচতলায় ভাড়া থাকতেন। ইমরান কোনাবাড়ী এলাকায় মাংস বিক্রির কাজ করতেন, স্ত্রী ঘর সামলাতেন। আজ সকালে পুলিশ খবর পায়, স্বামী-স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে কোনাবাড়ী থানা থেকে পুলিশ ভোরে তাদের লাশের সুরতহাল করতে যান। এ সময়ে পুলিশ অর্ধগলাকাটা ইমরান হোসেনকে হাত নাড়াচাড়া করতে দেখেন। পরে তাকে দ্রুত গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘এই দম্পতির মেয়ে বন্ধুদের নিয়ে টিকটক করে। সে জানিয়েছে, তার বাবা প্রথমে মাকে হত্যা করেন এবং পরে তিনি নিজেই নিজের গলা কাটেন। এটা সে নিজের চোখেই নাকি দেখেছে। কিন্তু তার কথা আমাদের বিশ্বাস হচ্ছে না। যার কারণে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।’

ওসি জানান, নিহত রহিমা বেগমের লাশ শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার স্বামীকে একই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


প্রিন্ট