আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনে স্থানীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে আগামী ৮ নভেম্বর (শনিবার) বিকেল ৩টায় চাটমোহর বালুচর মাঠে সমাবেশের ডাক দিয়েছেন চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক পৌর মেয়র ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. হাসাদুল ইসলাম হীরা। বুধবার (৫ নভেম্বর) রাত ৯টায় ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এই সমাবেশের ঘোষণা দেন।
ফেসবুক লাইভে হীরা বলেন, “গত দেড় যুগ ধরে ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতনে আমরা হামলা-মামলা, জেল-জুলুম ও অন্যায়-অত্যাচারের শিকার হয়েছি। আমার কর্মীরা কেউই লুটপাট বা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত ছিল না। অথচ আসন্ন নির্বাচনে পাবনা-৩ আসনে একজন বহিরাগতকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, যার এলাকায় কোনো জনসমর্থন নেই মাত্র ৫ শতাংশ সমর্থন তার পক্ষে।”
তিনি আরও বলেন, “বহিরাগত প্রার্থী ঘোষণার পর পাবনা-৩ আসনের জনগণ ক্ষুব্ধ। প্রমাণ হিসেবে দেখা গেছে, মনোনয়ন ঘোষণার পর খুব অল্পসংখ্যক লোক ফুল ও মিষ্টি নিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। তাদের বেশিরভাগই আগে থেকেই ঐ ব্যক্তির অনুসারী ছিল। বহিরাগত কিছু লোক এসে প্রচারণা চালাচ্ছে, কিন্তু তারা ভোটার নয়। ভোট দেবে এখানকার মানুষ।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হীরা বলেন, এখনও সময় আছে। মাঠ জরিপ করে স্থানীয় জনপ্রিয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দিন। বহিরাগতকে প্রার্থী করলে এই আসনে জয় সম্ভব নয়। বরং এতে জামায়াত নেতাকর্মীরা খুশি হয়ে মিষ্টি বিতরণ করেছে। সরকার গঠনের জন্য প্রতিটি আসন পুনরুদ্ধার করতে হবে। বহিরাগত প্রার্থীর পক্ষে পাবনা-৩ থেকে বিজয়ী হওয়া অসম্ভব।
হীরা শনিবারের সমাবেশে চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার যুব সমাজ, ছাত্র সমাজ, সুধীজন ও সাধারণ জনগণকে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “সমাবেশ থেকে ‘চাটমোহরের প্রার্থী চাই’ দাবিতে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”
এদিকে, একই দাবিতে বিএনপির অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কে. এম. আনোয়ারুল ইসলামও একই দিন, একই সময় ও একই স্থানে পৃথক সমাবেশের ডাক দিয়েছেন।
ছবি: চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক পৌর মেয়র ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. হাসাদুল ইসলাম হীরা
প্রিন্ট
মো:আরিফুর ইসলাম ভাঙ্গুড়া(পাবনা): 



















