ঢাকা ০১:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বিশ্ব কেন ফিলিস্তিনিদের কান্না দেখতে পায় না? Logo কক্সবাজারে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে একই পরিবারের ৫ জন নিহত Logo উগান্ডা থেকে নিউইয়র্ক—সর্বকনিষ্ঠ ও প্রথম মুসলিম মেয়র মামদানির অভূতপূর্ব উত্থান Logo হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ডা: শাখায়াত হাসান জীবন আজমিরীগঞ্জ বানিয়াচংয়ে উচ্ছ্বাস Logo পটুয়াখালী-২ আসনে এনসিপি-জামায়াতে উচ্ছ্বাস, বিএনপিতে বিষাদ Logo ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন মাগুরা-২ আসনে ধানের শীষের কান্ডারী এ্যাড. নিতাই রায় চৌধুরী Logo ফরিদপুরে চেয়ারম্যানের শেল্টারে চায়না দুয়ারি জালের কারখানার রমরমা ব্যবসা, প্রশাসনের অভিযানে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা Logo রয়টার্সের প্রতিবেদন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিশের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আদানি গ্রুপ Logo টানা কমছে দেশের রপ্তানি আয়, সামনে আরও কমার আশঙ্কা Logo বিএনপির ফাঁকা রাখা ৬৩ আসনে অগ্রাধিকার পাবেন যারা

বিশ্ব কেন ফিলিস্তিনিদের কান্না দেখতে পায় না?

গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালে রাতভর ইসরাইলি হামলায় নিহত প্রিয়জনদের মৃত্যুতে শোকাহত ফিলিস্তিনিরা। ছবি: মিডল ইস্ট আই

গাজায় কোনো শান্ত রাত নেই; যুদ্ধবিরতির আগেও নয়, শার্ম আল শেখে শান্তি ঘোষণার পরেও নয়। অবরোধ শিথিল করলেও ক্ষুধা-তৃষ্ণায় মারা যাচ্ছে নিরীহ অসহায় ফিলিস্তিনি নারী-শিশুরা।

সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক শান্তি আলোচনা ও মধ্যস্থতাকারী সাংবাদিক ‘লাবনা মাসারোওয়া’র একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই।

ওই নিবন্ধে তিনি লিখেছেন— মিশরের সমুদ্রতীরবর্তী রিসোর্ট শার্ম-আল-শেখে যখন বিশ্ব নেতারা হাসছিলেন এবং গাজায় যুদ্ধের সমাপ্তি সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে করমর্দন করছিলেন, তখন ইসরাইলি সেনাবাহিনী থেমে থেমে গাজায় বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছিল; যেন তারা নিঃশ্বাস নেওয়ারও বিরতি দিতে চায়নি।

যুদ্ধবিরতির ঠিক একদিন পরেই ইহুদিবাদী সরকার ১০৪ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে; যার মধ্যে ৪৬ জন শিশু এবং একই পরিবারের ১৮ জন সদস্য রয়েছে। নিহতদের অনেকের নামও জানা যায়নি; তারা নীরবে এবং বেনামে শহীদ হয়েছেন।

বিশ্বের কাছে, ফিলিস্তিনিরা আর মানুষ নেই; তারা আবেগহীন, অতীতহীন, গল্পহীন এবং ভবিষ্যৎহীন প্রাণী হয়ে উঠেছে। ইসরাইলি গণমাধ্যম তাদের বন্দীদের জীবন সম্পর্কে, তাদের প্রিয় খাবার থেকে শুরু করে পরিবারের কাছে ফিরে আসার মুহূর্ত পর্যন্ত বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করলেও, গাজার শহীদ শিশুদের জন্য কেউ চোখের জল ফেলে না।

আরও পড়ুন
যুদ্ধবিরতি থাকা সত্ত্বেও ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা, ক্ষুধা-দুর্ভোগে কাতর ফিলিস্তিনিরা
যুদ্ধবিরতি থাকা সত্ত্বেও ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা, ক্ষুধা-দুর্ভোগে কাতর ফিলিস্তিনিরা
যুদ্ধবিরতির দিন, ইসরাইলি টেলিভিশন একটি দৃশ্য সম্প্রচার করে; একজন ইসরাইলি বন্দির স্ত্রী তার পাঁচ বছরের ছেলেকে জাগিয়ে তুলে বলেন, তার বাবা ফিরে এসেছেন। এ সময় টিভি উপস্থাপকদের চোখে পানি ছিল। কিন্তু একই দিনে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি বন্দিদের বাড়িতে অভিযান চালায়; যারা সেদিনই মুক্তি পেতে যাচ্ছিল। পরিবারগুলোকে হুমকি দেওয়া হয় যে, তাদের প্রিয়জনকে মুক্তি দেওয়া হলেও তাদের আনন্দ উদযাপন করার কোনো অধিকার নেই।

এক ফিলিস্তিনি বন্দির মেয়ে রাজান বলেন, সৈন্যরা আমাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে, আমাদের হুমকি দিয়েছে এবং কাউকে আমার বাবাকে অভিনন্দন জানাতেও দেয়নি! ওই অভিযানে এক যুবক আহত হয় এবং আরও বেশ কয়েকজনকে মারধর করা হয়।

হাইসাম সালেম নামে গাজার এক ফিলিস্তিনি বন্দি তার মুক্তির পর জানতে পারেন যে, তার স্ত্রী এবং তিন সন্তান ইসরাইলি হামলায় শহীদ হয়েছেন। হাসপাতালে গিয়ে তিনি চিৎকার করে বললেন, ‘আমার বাচ্চারা কি বেঁচে আছে? না… তারা মারা গেছে। অথচ আমার মেয়েটার জন্মদিন ছিল চার দিন পরে।’

আরও পড়ুন
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হলেন জোহরান মামদানি
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হলেন জোহরান মামদানি
তিনি কারাগারে বসে তার মেয়ের জন্য একটি ব্রেসলেটটি তৈরি করেছিলেন। সেটি তুলে ধরে বললেন, ‘আমি এটা তার জন্য তৈরি করেছি, নিজের হাতে।’

হাইসাম সালেমের মেয়েটি তার ছেলের সমান বয়সি ছিল। কয়েকদিন আগে ছেলেটি তার জন্মদিন উদযাপনও করেছিল। কিন্তু তার এখন কেউই জীবিত নেই। সেই সঙ্গে পরিবার-পরিজন হারানো সালেমের জন্য কেউ এক ফোঁটা চোখের পানিও ফেলল না এবং তার মুক্তিকে স্বাগত জানাতেও কেউ বাকি রইল না।

ইসরাইল যখন তার ‘আত্মরক্ষার অধিকার’ নিয়ে কথা বলছে, তখন কেউ গাজা বা পশ্চিম তীরের মানুষকে রক্ষা করছে না। এমনকি ২০,০০০ শিশুসহ ৬৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির জীবনও বিশ্বকে নাড়া দিতে যথেষ্ট নয়।

যে ইসরাইল এক রাতে বোমা মেরে শত শত মানুষের জীবন কেড়ে নিতে পারে। সেই ইসরাইল আক্রমণের আগে কেবল যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করে এবং পরের দিন শিশুদের লাশ দাফন করার আগেই আবার ‘যুদ্ধবিরতি’ ঘোষণা দেয়।

‘আমেরিকা-ইসরাইল ৩০ লাখ মুসলিমকে হত্যা করেছে’
অন্যদিকে শার্ম আল-শেখ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরকারী সরকারগুলো ফিলিস্তিনিদের পরামর্শ দেয় যে, স্বাধীনতা অর্জনের একমাত্র উপায় হলো আলোচনা, প্রতিরোধ নয়। কিন্তু ইসরাইল দেখিয়েছে যে তারা কোনো চুক্তি মেনে চলবে না।

এদিকে গাজায় ‘যুদ্ধোত্তর’ একটি নতুন মডেল রূপ নিচ্ছে; ইসরাইল দ্বারা পরিকল্পিত এবং আরব ও মুসলিম নেতাদের দ্বারা অনুমোদিত একটি মডেল, যেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে হাসিমুখে করমর্দন করা হবে। এই মডেলে ‘প্রতিরক্ষার অধিকার’ কেবল ‘জানার অধিকার’-এর স্থানে প্রতিস্থাপিত হয়েছে।

যার অর্থ বাস্তবে ইসরাইল যখনই চাইবে তখনই ফিলিস্তিনিদের হত্যা করবে, তবে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা কিছু করা তো দূরে থাক, বলতেও পারবে না।

গাজা ফিলিস্তিনি যুদ্ধবিরতি ডোনাল্ড ট্রাম্প হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ

ঘটনাপ্রবাহ: হামাস ইসরাইল যুদ্ধ
০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম
বিশ্ব কেন ফিলিস্তিনিদের কান্না দেখতে পায় না?
০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৭ পিএম
যুদ্ধবিরতি থাকা সত্ত্বেও ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা, ক্ষুধা-দুর্ভোগে কাতর ফিলিস্তিনিরা
০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০৩ এএম
‘আমেরিকা-ইসরাইল ৩০ লাখ মুসলিমকে হত্যা করেছে’
৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০১:২৯ পিএম
এক সেনা নিহতের বদলায় ১০৪ জনকে হত্যা!
২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম
গাজায় নতুন করে ইসরাইলি হামলায় নিহত বেড়ে ১০০
আরও পড়ুন


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্ব কেন ফিলিস্তিনিদের কান্না দেখতে পায় না?

বিশ্ব কেন ফিলিস্তিনিদের কান্না দেখতে পায় না?

আপডেট সময় ০১:২৬:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালে রাতভর ইসরাইলি হামলায় নিহত প্রিয়জনদের মৃত্যুতে শোকাহত ফিলিস্তিনিরা। ছবি: মিডল ইস্ট আই

গাজায় কোনো শান্ত রাত নেই; যুদ্ধবিরতির আগেও নয়, শার্ম আল শেখে শান্তি ঘোষণার পরেও নয়। অবরোধ শিথিল করলেও ক্ষুধা-তৃষ্ণায় মারা যাচ্ছে নিরীহ অসহায় ফিলিস্তিনি নারী-শিশুরা।

সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক শান্তি আলোচনা ও মধ্যস্থতাকারী সাংবাদিক ‘লাবনা মাসারোওয়া’র একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই।

ওই নিবন্ধে তিনি লিখেছেন— মিশরের সমুদ্রতীরবর্তী রিসোর্ট শার্ম-আল-শেখে যখন বিশ্ব নেতারা হাসছিলেন এবং গাজায় যুদ্ধের সমাপ্তি সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে করমর্দন করছিলেন, তখন ইসরাইলি সেনাবাহিনী থেমে থেমে গাজায় বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছিল; যেন তারা নিঃশ্বাস নেওয়ারও বিরতি দিতে চায়নি।

যুদ্ধবিরতির ঠিক একদিন পরেই ইহুদিবাদী সরকার ১০৪ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে; যার মধ্যে ৪৬ জন শিশু এবং একই পরিবারের ১৮ জন সদস্য রয়েছে। নিহতদের অনেকের নামও জানা যায়নি; তারা নীরবে এবং বেনামে শহীদ হয়েছেন।

বিশ্বের কাছে, ফিলিস্তিনিরা আর মানুষ নেই; তারা আবেগহীন, অতীতহীন, গল্পহীন এবং ভবিষ্যৎহীন প্রাণী হয়ে উঠেছে। ইসরাইলি গণমাধ্যম তাদের বন্দীদের জীবন সম্পর্কে, তাদের প্রিয় খাবার থেকে শুরু করে পরিবারের কাছে ফিরে আসার মুহূর্ত পর্যন্ত বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করলেও, গাজার শহীদ শিশুদের জন্য কেউ চোখের জল ফেলে না।

আরও পড়ুন
যুদ্ধবিরতি থাকা সত্ত্বেও ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা, ক্ষুধা-দুর্ভোগে কাতর ফিলিস্তিনিরা
যুদ্ধবিরতি থাকা সত্ত্বেও ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা, ক্ষুধা-দুর্ভোগে কাতর ফিলিস্তিনিরা
যুদ্ধবিরতির দিন, ইসরাইলি টেলিভিশন একটি দৃশ্য সম্প্রচার করে; একজন ইসরাইলি বন্দির স্ত্রী তার পাঁচ বছরের ছেলেকে জাগিয়ে তুলে বলেন, তার বাবা ফিরে এসেছেন। এ সময় টিভি উপস্থাপকদের চোখে পানি ছিল। কিন্তু একই দিনে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি বন্দিদের বাড়িতে অভিযান চালায়; যারা সেদিনই মুক্তি পেতে যাচ্ছিল। পরিবারগুলোকে হুমকি দেওয়া হয় যে, তাদের প্রিয়জনকে মুক্তি দেওয়া হলেও তাদের আনন্দ উদযাপন করার কোনো অধিকার নেই।

এক ফিলিস্তিনি বন্দির মেয়ে রাজান বলেন, সৈন্যরা আমাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে, আমাদের হুমকি দিয়েছে এবং কাউকে আমার বাবাকে অভিনন্দন জানাতেও দেয়নি! ওই অভিযানে এক যুবক আহত হয় এবং আরও বেশ কয়েকজনকে মারধর করা হয়।

হাইসাম সালেম নামে গাজার এক ফিলিস্তিনি বন্দি তার মুক্তির পর জানতে পারেন যে, তার স্ত্রী এবং তিন সন্তান ইসরাইলি হামলায় শহীদ হয়েছেন। হাসপাতালে গিয়ে তিনি চিৎকার করে বললেন, ‘আমার বাচ্চারা কি বেঁচে আছে? না… তারা মারা গেছে। অথচ আমার মেয়েটার জন্মদিন ছিল চার দিন পরে।’

আরও পড়ুন
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হলেন জোহরান মামদানি
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হলেন জোহরান মামদানি
তিনি কারাগারে বসে তার মেয়ের জন্য একটি ব্রেসলেটটি তৈরি করেছিলেন। সেটি তুলে ধরে বললেন, ‘আমি এটা তার জন্য তৈরি করেছি, নিজের হাতে।’

হাইসাম সালেমের মেয়েটি তার ছেলের সমান বয়সি ছিল। কয়েকদিন আগে ছেলেটি তার জন্মদিন উদযাপনও করেছিল। কিন্তু তার এখন কেউই জীবিত নেই। সেই সঙ্গে পরিবার-পরিজন হারানো সালেমের জন্য কেউ এক ফোঁটা চোখের পানিও ফেলল না এবং তার মুক্তিকে স্বাগত জানাতেও কেউ বাকি রইল না।

ইসরাইল যখন তার ‘আত্মরক্ষার অধিকার’ নিয়ে কথা বলছে, তখন কেউ গাজা বা পশ্চিম তীরের মানুষকে রক্ষা করছে না। এমনকি ২০,০০০ শিশুসহ ৬৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির জীবনও বিশ্বকে নাড়া দিতে যথেষ্ট নয়।

যে ইসরাইল এক রাতে বোমা মেরে শত শত মানুষের জীবন কেড়ে নিতে পারে। সেই ইসরাইল আক্রমণের আগে কেবল যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করে এবং পরের দিন শিশুদের লাশ দাফন করার আগেই আবার ‘যুদ্ধবিরতি’ ঘোষণা দেয়।

‘আমেরিকা-ইসরাইল ৩০ লাখ মুসলিমকে হত্যা করেছে’
অন্যদিকে শার্ম আল-শেখ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরকারী সরকারগুলো ফিলিস্তিনিদের পরামর্শ দেয় যে, স্বাধীনতা অর্জনের একমাত্র উপায় হলো আলোচনা, প্রতিরোধ নয়। কিন্তু ইসরাইল দেখিয়েছে যে তারা কোনো চুক্তি মেনে চলবে না।

এদিকে গাজায় ‘যুদ্ধোত্তর’ একটি নতুন মডেল রূপ নিচ্ছে; ইসরাইল দ্বারা পরিকল্পিত এবং আরব ও মুসলিম নেতাদের দ্বারা অনুমোদিত একটি মডেল, যেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে হাসিমুখে করমর্দন করা হবে। এই মডেলে ‘প্রতিরক্ষার অধিকার’ কেবল ‘জানার অধিকার’-এর স্থানে প্রতিস্থাপিত হয়েছে।

যার অর্থ বাস্তবে ইসরাইল যখনই চাইবে তখনই ফিলিস্তিনিদের হত্যা করবে, তবে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা কিছু করা তো দূরে থাক, বলতেও পারবে না।

গাজা ফিলিস্তিনি যুদ্ধবিরতি ডোনাল্ড ট্রাম্প হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ

ঘটনাপ্রবাহ: হামাস ইসরাইল যুদ্ধ
০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম
বিশ্ব কেন ফিলিস্তিনিদের কান্না দেখতে পায় না?
০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৭ পিএম
যুদ্ধবিরতি থাকা সত্ত্বেও ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা, ক্ষুধা-দুর্ভোগে কাতর ফিলিস্তিনিরা
০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০৩ এএম
‘আমেরিকা-ইসরাইল ৩০ লাখ মুসলিমকে হত্যা করেছে’
৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০১:২৯ পিএম
এক সেনা নিহতের বদলায় ১০৪ জনকে হত্যা!
২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম
গাজায় নতুন করে ইসরাইলি হামলায় নিহত বেড়ে ১০০
আরও পড়ুন


প্রিন্ট