চট্টগ্রামের পটিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আরিফুল ইসলাম ও পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর (জায়েদ নুর)–দুজনেই দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় বিএনপি নিধন, মাদক বাণিজ্য ও জমি দখলসহ নানা অনিয়মে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। নিম্নে অনিয়ম তুলে ধরা হলোঃ
🔴১) নির্বাচনী অনিয়ম:
২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটিয়ার বিভিন্ন কেন্দ্রে নৌকার পক্ষে সিল মারা ও বিএনপি কর্মীদের হয়রানির অভিযোগ রয়েছে এএসপি আরিফুলের বিরুদ্ধে। ওসি জায়েদ নুর সেই সময় ছিলেন ডিবি পুলিশের ওসি।
🔴২) খোলস পাল্টানো ও রাজনৈতিক দ্বিচারিতা:
ছাত্র জনতার আন্দোলনের পর নিজেদের বিএনপি-ঘেঁষা পরিচয় দিতে শুরু করেছেন দুজনেই। কিন্তু এখনো আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথেই গোপন সখ্যতা বজায় রেখে বিএনপি কর্মীদের হয়রানি করছেন।
🔴৩) অপরাধ সিন্ডিকেট ও দুর্নীতি:
তাদের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে মাদক পাচার, জায়গা দখল ও গরু চুরির সিন্ডিকেট। পটিয়া ও বোয়ালখালীর সীমান্ত এলাকায় ২০টি স্থানে “ক্যাশিয়ার” বসিয়ে মাসোহারা আদায় করা হচ্ছে।
🔴৪) পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ও পক্ষপাতিত্ব:
ছাত্রদের দাবি, গত ৪ মাসে কোনো আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়নি। অথচ রাজনৈতিক মামলায় নিরীহ অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের পটিয়া আজ এই দুজন স্বৈরাচারী পুলিশের হাতে জিম্মি!
একদিকে এএসপি আরিফুল ইসলাম, অন্যদিকে ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর (জায়েদ নুর)।
বিএনপি নিধনের নামে শুরু হয়েছিল নির্যাতন—আর এখন তা রূপ নিয়েছে মাদক সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি ও জমি দখলের ভয়ঙ্কর বাণিজ্যে!
🔴নির্বাচনকালে নৌকার পক্ষে প্রকাশ্যে সিল মারা,
🔴বিএনপি নেতাকর্মীদের রাতের অন্ধকারে ধরে নিয়ে নির্যাতন,
🔴নিরীহ খামারিদের গরু চুরি হলেও পুলিশের কোনো ভূমিকাই নেই,
🔴সীমান্ত দিয়ে মদ-ইয়াবা পাচার হচ্ছে, পুলিশ নিচ্ছে মাসোহারা,
🔴ছাত্র জনতার প্রতিবাদেও ওসি নুর কর্ণপাত করেননি—উল্টো হুমকি দিয়েছেন।
এটা কি স্বাধীন রাষ্ট্রে পুলিশের ভূমিকা?
রাষ্ট্রীয় বেতন নিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করার অধিকার কে দিয়েছে তাদের?
✊ আমরা দাবি জানাইঃ
✅ পটিয়া থানার ওসি জায়েদ নুর ও এএসপি আরিফুল ইসলামকে অবিলম্বে স্থায়ী বহিষ্কার করো!
✅ উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করো।
✅ বাংলাদেশ পুলিশে রাজনৈতিক দালালি ও অপরাধমূলক সিন্ডিকেট চিরতরে বন্ধ করো!
পুলিশ সংস্কার ছাড়া রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত নয়। আজ পটিয়া, কাল অন্য কোথাও।
প্রিন্ট