ঢাকা ০৩:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ফরিদপুরে চেয়ারম্যানের শেল্টারে চায়না দুয়ারি জালের কারখানার রমরমা ব্যবসা, প্রশাসনের অভিযানে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা Logo রয়টার্সের প্রতিবেদন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিশের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আদানি গ্রুপ Logo টানা কমছে দেশের রপ্তানি আয়, সামনে আরও কমার আশঙ্কা Logo বিএনপির ফাঁকা রাখা ৬৩ আসনে অগ্রাধিকার পাবেন যারা Logo আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে Logo আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ৬ দলিল লেখক বরখাস্ত Logo সাভারে ট্রলি ভ্যানের ব্রেক ফেল আয়ারল্যান্ডের ওপরে এসে গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ Logo তৌহিদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ Logo ৪৮ তম বিসিএস পরীক্ষায় উওীর্ণদের নিয়োগ এর দাবি তে মানববন্ধন Logo বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই রুমিন ফারহানার পদত্যাগ করেন

গাজার একই এলাকায় দেড় মাসে ১৩৩ বার হামলা, নিহত ১৯০৩

গাজায় কথিত ‘মানবিক নিরাপদ অঞ্চলেই’ বারবার ইসরায়েলি হামলার ঘটনা ঘটছে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এসব হামলায় অন্তত ৯১ জন নিহত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক সমালোচনা উপেক্ষা করেই অবরুদ্ধ উপত্যকায় স্থল অভিযান আরও জোরদার করেছে দখলদার সেনারা।

গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল জোর করে গাজা সিটি থেকে দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নিতে এসব এলাকাকে ‘নিরাপদ’ বলে প্রচার করছে। অথচ গত ১১ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত দক্ষিণ ও মধ্য গাজায় অন্তত ১৩৩ দফা হামলায় ১ হাজার ৯০৩ জন নিহত হয়েছেন, যা গাজার মোট প্রাণহানির প্রায় ৪৬ শতাংশ। সংস্থাটির দাবি, এসব হামলা প্রমাণ করে বেসামরিক নাগরিকদের সরাসরি টার্গেট করা হচ্ছে। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেছে এবং সতর্ক করেছে, বিশ্ব নীরব থাকলে তা আরও হত্যাযজ্ঞ চালানোর জন্য ‘সবুজ সংকেত’ হিসেবে কাজ করবে।

হাসপাতালেও হামলা
গাজা সিটিতে চলমান হামলার কারণে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। তীব্র গোলাবর্ষণের জেরে জর্ডান ফিল্ড হাসপাতাল থেকে ১০৭ রোগী ও সব চিকিৎসক-কর্মীকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। বহু আগে থেকেই সংকটে থাকা গাজার হাসপাতালগুলোতে এখন অ্যানাস্থেসিয়া ও অ্যান্টিবায়োটিকের মতো মৌলিক ওষুধ নেই। ক্ষুধার্ত চিকিৎসকেরা রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। দক্ষিণাঞ্চলের কিছু হাসপাতাল আংশিকভাবে চালু থাকলেও উত্তর দিক থেকে আসা আহতদের ঢল নামায় সেখানে চরম চাপ তৈরি হয়েছে।

আল-আকসা হাসপাতালের চিকিৎসক খলিল দিগরান অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েলি সেনারা শিশুদের একমাত্র বিশেষায়িত রান্তিসি হাসপাতালকে ইচ্ছাকৃতভাবে টার্গেট করেছে। তিনি সতর্ক করেছেন, হামলা অব্যাহত থাকলে দক্ষিণাঞ্চলের হাসপাতালগুলোর কার্যক্রমও সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া ও যুদ্ধবিরতির আলোচনা
শনিবার জার্মানির বার্লিন ও যুক্তরাজ্যের লিভারপুলসহ বিভিন্ন শহরে যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, গাজা যুদ্ধবিরতিতে শিগগিরই সমঝোতা হতে যাচ্ছে। তবে হামাস জানিয়েছে, তাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো প্রস্তাব পৌঁছায়নি। হামাসের এক কর্মকর্তা আল-জাজিরাকে বলেছেন, ‘আমাদের কাছে কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।’

আগামী সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ট্রাম্পের সঙ্গে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বৈঠকের কথা রয়েছে।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদপুরে চেয়ারম্যানের শেল্টারে চায়না দুয়ারি জালের কারখানার রমরমা ব্যবসা, প্রশাসনের অভিযানে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা

গাজার একই এলাকায় দেড় মাসে ১৩৩ বার হামলা, নিহত ১৯০৩

আপডেট সময় ১১:৫৭:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গাজায় কথিত ‘মানবিক নিরাপদ অঞ্চলেই’ বারবার ইসরায়েলি হামলার ঘটনা ঘটছে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এসব হামলায় অন্তত ৯১ জন নিহত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক সমালোচনা উপেক্ষা করেই অবরুদ্ধ উপত্যকায় স্থল অভিযান আরও জোরদার করেছে দখলদার সেনারা।

গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল জোর করে গাজা সিটি থেকে দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নিতে এসব এলাকাকে ‘নিরাপদ’ বলে প্রচার করছে। অথচ গত ১১ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত দক্ষিণ ও মধ্য গাজায় অন্তত ১৩৩ দফা হামলায় ১ হাজার ৯০৩ জন নিহত হয়েছেন, যা গাজার মোট প্রাণহানির প্রায় ৪৬ শতাংশ। সংস্থাটির দাবি, এসব হামলা প্রমাণ করে বেসামরিক নাগরিকদের সরাসরি টার্গেট করা হচ্ছে। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেছে এবং সতর্ক করেছে, বিশ্ব নীরব থাকলে তা আরও হত্যাযজ্ঞ চালানোর জন্য ‘সবুজ সংকেত’ হিসেবে কাজ করবে।

হাসপাতালেও হামলা
গাজা সিটিতে চলমান হামলার কারণে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। তীব্র গোলাবর্ষণের জেরে জর্ডান ফিল্ড হাসপাতাল থেকে ১০৭ রোগী ও সব চিকিৎসক-কর্মীকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। বহু আগে থেকেই সংকটে থাকা গাজার হাসপাতালগুলোতে এখন অ্যানাস্থেসিয়া ও অ্যান্টিবায়োটিকের মতো মৌলিক ওষুধ নেই। ক্ষুধার্ত চিকিৎসকেরা রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। দক্ষিণাঞ্চলের কিছু হাসপাতাল আংশিকভাবে চালু থাকলেও উত্তর দিক থেকে আসা আহতদের ঢল নামায় সেখানে চরম চাপ তৈরি হয়েছে।

আল-আকসা হাসপাতালের চিকিৎসক খলিল দিগরান অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েলি সেনারা শিশুদের একমাত্র বিশেষায়িত রান্তিসি হাসপাতালকে ইচ্ছাকৃতভাবে টার্গেট করেছে। তিনি সতর্ক করেছেন, হামলা অব্যাহত থাকলে দক্ষিণাঞ্চলের হাসপাতালগুলোর কার্যক্রমও সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া ও যুদ্ধবিরতির আলোচনা
শনিবার জার্মানির বার্লিন ও যুক্তরাজ্যের লিভারপুলসহ বিভিন্ন শহরে যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, গাজা যুদ্ধবিরতিতে শিগগিরই সমঝোতা হতে যাচ্ছে। তবে হামাস জানিয়েছে, তাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো প্রস্তাব পৌঁছায়নি। হামাসের এক কর্মকর্তা আল-জাজিরাকে বলেছেন, ‘আমাদের কাছে কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।’

আগামী সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ট্রাম্পের সঙ্গে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বৈঠকের কথা রয়েছে।


প্রিন্ট