গাজীপুরের শ্রীপুরে অস্ত্রসহ মোশারফ হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করার পর র্যাব সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনাস্থলে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে দুই নারীসহ মোট ১৪ জনকে আটক করে। এছাড়া অভিযান থেকে একটি রিভলভার উদ্ধার করা হয়েছে বলে র্যাব জানিয়েছে।
র্যাবের দাবি, আটক মোশারফ হোসেন একজন অস্ত্র ব্যবসায়ী। তাদের হাতে থাকা সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং তাকে অস্ত্রসহ হাতেনাতে ধরা হয়। র্যাব সূত্র জানায়, অভিযানের সময় কয়েকজনকে আটক এবং একটি অবৈধ অস্ত্র জব্দ করা সম্ভব হয়েছে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়লে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনে এবং র্যাব সদস্যদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়।
রবিবার বিকেলে র্যাব-১ পোরাবাড়ী ক্যাম্পের একটি দল শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরামা চৌরাস্তা এলাকা থেকে মোশারফকে আটক করে। এ সময় তাঁর স্বজন ও স্থানীয়রা ‘পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে’ দাবি করে র্যাবের গাড়ি ঘেরাও করে। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে জনতা তাদেরও আটকে ফেলে। পরবর্তীতে র্যাবের আরও কয়েকটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সেগুলোতেও আক্রমণের চেষ্টা চালানো হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী লাঠিচার্জ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা উত্তেজনা চলার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাত পৌনে ৯টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
অভিযান শেষে যৌথবাহিনী ১৪ জনকে আটক করে শ্রীপুর থানায় হস্তান্তর করে। সোমবার দুপুরে র্যাব তাদের থানায় নিয়ে যায়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল বারিক জানান, ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। একটি অস্ত্র আইনে এবং আরেকটি সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে। মামলায় আটক ১৪ জন ছাড়াও নাম উল্লেখ করে আরও ৮ জন এবং অজ্ঞাতনামা প্রায় ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
প্রিন্ট