ঢাকা ০৯:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভাঙ্গুড়ায় তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার প্রদর্শনী, নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস Logo ইলিশ রক্ষায় ব্যার্থ মৎস অধিদপ্তর সাংবাদিক দেখে দৌড়ে পালালেন ইলিশ বোঝায় ট্রলার Logo সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে নাগরিক প্লাটফর্ম ও যুব ফোরামের পরামর্শ সভা Logo মিরপুরে গার্মেন্টস ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন Logo মার্চ টু সচিবালয়’ এ অংশ নিতে শহীদ মিনারে শিক্ষকদের ঢল Logo রাজধানীতে জামায়াতসহ সাত দলের মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু Logo আমরা কারাগারে নয়, ছিলাম এক কসাইখানায় Logo হয়রানি নিরসনে চালু হচ্ছে অনলাইন জামিননামা: আইন উপদেষ্টা Logo আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা চেষ্টা মামলায় শ্রমিক নেতা গ্রেপ্তার Logo কালিয়াকৈরে প্রতারণা করে জমির মালিক হওয়ার চেষ্টা: প্রতারক থেকে জমি রক্ষা করতে ইউএনও’র নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের মালিকদের

পিত্তথলিতে পাথর কেন হয়, কারা বেশি ঝুঁকিতে?

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:১৯:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৮৮ ১০.০০০ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত

পিত্তথলিতে পাথর বা গলব্লাডার স্টোন আজকাল একটি বহুল পরিচিত স্বাস্থ্যসমস্যা। যকৃত থেকে নিঃসৃত পিত্তরস চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে এবং সেই পিত্তরস জমা থাকে একটি ছোট থলিতে, যাকে বলা হয় পিত্তথলি। কিন্তু পিত্তরসের রাসায়নিক উপাদানের ভারসাম্য নষ্ট হলে সেখানেই জমাট বাঁধতে শুরু করে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাথরের সৃষ্টি হয়।

কেন হয়? কারা বেশি ঝুঁকিতে

পিত্তরসে থাকে পানি, কোলেস্টেরল, বিলিরুবিনসহ বিভিন্ন লবণ। এদের মধ্যে কোনো একটি উপাদান অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে বা পিত্তথলি সঠিকভাবে খালি না হলে পিত্ত ঘন হয়ে জমাট বাঁধে। গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের মধ্যে এই রোগ পুরুষদের তুলনায় বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী, স্থূলতা আছে এমন ব্যক্তি, চল্লিশোর্ধ্ব নারী ও পুরুষ, কম শারীরিক পরিশ্রম করেন বা দীর্ঘ সময় উপবাসে থাকেন- তাঁদের ঝুঁকি বেশি।

লক্ষণ ও করণীয়

পিত্তথলিতে পাথরকে অনেক সময় ‘নীরব রোগ’ বলা হয়, কারণ প্রাথমিক অবস্থায় কোনো স্পষ্ট উপসর্গ থাকে না। অনেকেই জানতেও পারেন না যে তাঁর পিত্তথলিতে পাথর রয়েছে। তবে চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়ার পর হঠাৎ তীব্র ব্যথা, ডান দিকের উপরের পেট বা মাঝপেটে অস্বস্তি, বমি, হজমের সমস্যা, জ্বর কিংবা চোখ-চামড়ায় হলদে ভাব দেখা দিতে পারে। অনেক সময় এই ব্যথাকে সাধারণ গ্যাস্ট্রিক ধরে নিয়ে অবহেলা করা হয়, ফলে চিকিৎসায় দেরি হয়ে যায়।

প্রতিরোধে করণীয়

পিত্তথলির পাথর এড়াতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন জরুরি। প্রতিদিন হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করা, চর্বি কম খাওয়া, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, পর্যাপ্ত পানি পান এবং সুষম খাবার গ্রহণ করলে ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

চিকিৎসা পদ্ধতি

পিত্তথলিতে পাথর হলে সবচেয়ে প্রচলিত চিকিৎসা হলো অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ, যা ‘ল্যাপারোস্কোপিক কোলেসিস্টেকটোমি’ নামে পরিচিত। এটি নিরাপদ ও আধুনিক একটি শল্যচিকিৎসা। উপসর্গবিহীন পাথর অনেক সময় শুধু নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তবে তীব্র ব্যথা বা জটিলতা দেখা দিলে অবশ্যই সার্জনের পরামর্শ নিতে হবে।

হোমিওপ্যাথি বা ভেষজ চিকিৎসায় ভরসা করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। তাই এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই উত্তম।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাঙ্গুড়ায় তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার প্রদর্শনী, নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস

পিত্তথলিতে পাথর কেন হয়, কারা বেশি ঝুঁকিতে?

আপডেট সময় ১১:১৯:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

পিত্তথলিতে পাথর বা গলব্লাডার স্টোন আজকাল একটি বহুল পরিচিত স্বাস্থ্যসমস্যা। যকৃত থেকে নিঃসৃত পিত্তরস চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে এবং সেই পিত্তরস জমা থাকে একটি ছোট থলিতে, যাকে বলা হয় পিত্তথলি। কিন্তু পিত্তরসের রাসায়নিক উপাদানের ভারসাম্য নষ্ট হলে সেখানেই জমাট বাঁধতে শুরু করে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাথরের সৃষ্টি হয়।

কেন হয়? কারা বেশি ঝুঁকিতে

পিত্তরসে থাকে পানি, কোলেস্টেরল, বিলিরুবিনসহ বিভিন্ন লবণ। এদের মধ্যে কোনো একটি উপাদান অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে বা পিত্তথলি সঠিকভাবে খালি না হলে পিত্ত ঘন হয়ে জমাট বাঁধে। গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের মধ্যে এই রোগ পুরুষদের তুলনায় বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী, স্থূলতা আছে এমন ব্যক্তি, চল্লিশোর্ধ্ব নারী ও পুরুষ, কম শারীরিক পরিশ্রম করেন বা দীর্ঘ সময় উপবাসে থাকেন- তাঁদের ঝুঁকি বেশি।

লক্ষণ ও করণীয়

পিত্তথলিতে পাথরকে অনেক সময় ‘নীরব রোগ’ বলা হয়, কারণ প্রাথমিক অবস্থায় কোনো স্পষ্ট উপসর্গ থাকে না। অনেকেই জানতেও পারেন না যে তাঁর পিত্তথলিতে পাথর রয়েছে। তবে চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়ার পর হঠাৎ তীব্র ব্যথা, ডান দিকের উপরের পেট বা মাঝপেটে অস্বস্তি, বমি, হজমের সমস্যা, জ্বর কিংবা চোখ-চামড়ায় হলদে ভাব দেখা দিতে পারে। অনেক সময় এই ব্যথাকে সাধারণ গ্যাস্ট্রিক ধরে নিয়ে অবহেলা করা হয়, ফলে চিকিৎসায় দেরি হয়ে যায়।

প্রতিরোধে করণীয়

পিত্তথলির পাথর এড়াতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন জরুরি। প্রতিদিন হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করা, চর্বি কম খাওয়া, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, পর্যাপ্ত পানি পান এবং সুষম খাবার গ্রহণ করলে ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

চিকিৎসা পদ্ধতি

পিত্তথলিতে পাথর হলে সবচেয়ে প্রচলিত চিকিৎসা হলো অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ, যা ‘ল্যাপারোস্কোপিক কোলেসিস্টেকটোমি’ নামে পরিচিত। এটি নিরাপদ ও আধুনিক একটি শল্যচিকিৎসা। উপসর্গবিহীন পাথর অনেক সময় শুধু নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তবে তীব্র ব্যথা বা জটিলতা দেখা দিলে অবশ্যই সার্জনের পরামর্শ নিতে হবে।

হোমিওপ্যাথি বা ভেষজ চিকিৎসায় ভরসা করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। তাই এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই উত্তম।


প্রিন্ট