ঢাকা ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ Logo মহম্মদপুরে বিএনপি’র নির্বাচনী পথ সভা অনুষ্ঠিত Logo পীরগঞ্জে বিএনপির উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo দেশের ধন্যাঢ্য ব্যক্তিরাও প্রতারণার শিকার অনিক ও সোহেলের ভুয়া “প্রাচীন পিলার ও কয়েন” চক্র Logo দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই প্রায় অর্ধশত বদলি বানিজ্য পিএইচডি জালিয়াতি-বদলি বানিজ্য-ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের মূলহোতা খালেকুজ্জামান চৌধুরী Logo কাচিঘাটা রেঞ্জে গাছকাটা সিন্ডিকেটের তাণ্ডব রাতে চার–পাঁচশ গাছ উজাড়—বন রক্ষাকারীরাই অভিযুক্ত!** স্থানীয়দের অভিযোগ: “৫ আগস্টের পর এলাকা একেবারে মগের মুল্লুক—বন কেটে লুটে খাচ্ছে সবাই Logo চীনে ট্রেন দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত Logo ১২ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া Logo প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলা জয় ও পুতুলের ৫ বছরের কারাদণ্ড Logo তিন মামলায় হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড

পিত্তথলিতে পাথর কেন হয়, কারা বেশি ঝুঁকিতে?

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:১৯:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৫৫ ১৮৪৪.০০০ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত

পিত্তথলিতে পাথর বা গলব্লাডার স্টোন আজকাল একটি বহুল পরিচিত স্বাস্থ্যসমস্যা। যকৃত থেকে নিঃসৃত পিত্তরস চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে এবং সেই পিত্তরস জমা থাকে একটি ছোট থলিতে, যাকে বলা হয় পিত্তথলি। কিন্তু পিত্তরসের রাসায়নিক উপাদানের ভারসাম্য নষ্ট হলে সেখানেই জমাট বাঁধতে শুরু করে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাথরের সৃষ্টি হয়।

কেন হয়? কারা বেশি ঝুঁকিতে

পিত্তরসে থাকে পানি, কোলেস্টেরল, বিলিরুবিনসহ বিভিন্ন লবণ। এদের মধ্যে কোনো একটি উপাদান অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে বা পিত্তথলি সঠিকভাবে খালি না হলে পিত্ত ঘন হয়ে জমাট বাঁধে। গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের মধ্যে এই রোগ পুরুষদের তুলনায় বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী, স্থূলতা আছে এমন ব্যক্তি, চল্লিশোর্ধ্ব নারী ও পুরুষ, কম শারীরিক পরিশ্রম করেন বা দীর্ঘ সময় উপবাসে থাকেন- তাঁদের ঝুঁকি বেশি।

লক্ষণ ও করণীয়

পিত্তথলিতে পাথরকে অনেক সময় ‘নীরব রোগ’ বলা হয়, কারণ প্রাথমিক অবস্থায় কোনো স্পষ্ট উপসর্গ থাকে না। অনেকেই জানতেও পারেন না যে তাঁর পিত্তথলিতে পাথর রয়েছে। তবে চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়ার পর হঠাৎ তীব্র ব্যথা, ডান দিকের উপরের পেট বা মাঝপেটে অস্বস্তি, বমি, হজমের সমস্যা, জ্বর কিংবা চোখ-চামড়ায় হলদে ভাব দেখা দিতে পারে। অনেক সময় এই ব্যথাকে সাধারণ গ্যাস্ট্রিক ধরে নিয়ে অবহেলা করা হয়, ফলে চিকিৎসায় দেরি হয়ে যায়।

প্রতিরোধে করণীয়

পিত্তথলির পাথর এড়াতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন জরুরি। প্রতিদিন হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করা, চর্বি কম খাওয়া, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, পর্যাপ্ত পানি পান এবং সুষম খাবার গ্রহণ করলে ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

চিকিৎসা পদ্ধতি

পিত্তথলিতে পাথর হলে সবচেয়ে প্রচলিত চিকিৎসা হলো অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ, যা ‘ল্যাপারোস্কোপিক কোলেসিস্টেকটোমি’ নামে পরিচিত। এটি নিরাপদ ও আধুনিক একটি শল্যচিকিৎসা। উপসর্গবিহীন পাথর অনেক সময় শুধু নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তবে তীব্র ব্যথা বা জটিলতা দেখা দিলে অবশ্যই সার্জনের পরামর্শ নিতে হবে।

হোমিওপ্যাথি বা ভেষজ চিকিৎসায় ভরসা করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। তাই এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই উত্তম।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ

পিত্তথলিতে পাথর কেন হয়, কারা বেশি ঝুঁকিতে?

আপডেট সময় ১১:১৯:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

পিত্তথলিতে পাথর বা গলব্লাডার স্টোন আজকাল একটি বহুল পরিচিত স্বাস্থ্যসমস্যা। যকৃত থেকে নিঃসৃত পিত্তরস চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে এবং সেই পিত্তরস জমা থাকে একটি ছোট থলিতে, যাকে বলা হয় পিত্তথলি। কিন্তু পিত্তরসের রাসায়নিক উপাদানের ভারসাম্য নষ্ট হলে সেখানেই জমাট বাঁধতে শুরু করে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাথরের সৃষ্টি হয়।

কেন হয়? কারা বেশি ঝুঁকিতে

পিত্তরসে থাকে পানি, কোলেস্টেরল, বিলিরুবিনসহ বিভিন্ন লবণ। এদের মধ্যে কোনো একটি উপাদান অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে বা পিত্তথলি সঠিকভাবে খালি না হলে পিত্ত ঘন হয়ে জমাট বাঁধে। গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের মধ্যে এই রোগ পুরুষদের তুলনায় বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী, স্থূলতা আছে এমন ব্যক্তি, চল্লিশোর্ধ্ব নারী ও পুরুষ, কম শারীরিক পরিশ্রম করেন বা দীর্ঘ সময় উপবাসে থাকেন- তাঁদের ঝুঁকি বেশি।

লক্ষণ ও করণীয়

পিত্তথলিতে পাথরকে অনেক সময় ‘নীরব রোগ’ বলা হয়, কারণ প্রাথমিক অবস্থায় কোনো স্পষ্ট উপসর্গ থাকে না। অনেকেই জানতেও পারেন না যে তাঁর পিত্তথলিতে পাথর রয়েছে। তবে চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়ার পর হঠাৎ তীব্র ব্যথা, ডান দিকের উপরের পেট বা মাঝপেটে অস্বস্তি, বমি, হজমের সমস্যা, জ্বর কিংবা চোখ-চামড়ায় হলদে ভাব দেখা দিতে পারে। অনেক সময় এই ব্যথাকে সাধারণ গ্যাস্ট্রিক ধরে নিয়ে অবহেলা করা হয়, ফলে চিকিৎসায় দেরি হয়ে যায়।

প্রতিরোধে করণীয়

পিত্তথলির পাথর এড়াতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন জরুরি। প্রতিদিন হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করা, চর্বি কম খাওয়া, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, পর্যাপ্ত পানি পান এবং সুষম খাবার গ্রহণ করলে ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

চিকিৎসা পদ্ধতি

পিত্তথলিতে পাথর হলে সবচেয়ে প্রচলিত চিকিৎসা হলো অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ, যা ‘ল্যাপারোস্কোপিক কোলেসিস্টেকটোমি’ নামে পরিচিত। এটি নিরাপদ ও আধুনিক একটি শল্যচিকিৎসা। উপসর্গবিহীন পাথর অনেক সময় শুধু নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তবে তীব্র ব্যথা বা জটিলতা দেখা দিলে অবশ্যই সার্জনের পরামর্শ নিতে হবে।

হোমিওপ্যাথি বা ভেষজ চিকিৎসায় ভরসা করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। তাই এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই উত্তম।


প্রিন্ট