ঢাকা ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ Logo মহম্মদপুরে বিএনপি’র নির্বাচনী পথ সভা অনুষ্ঠিত Logo পীরগঞ্জে বিএনপির উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo দেশের ধন্যাঢ্য ব্যক্তিরাও প্রতারণার শিকার অনিক ও সোহেলের ভুয়া “প্রাচীন পিলার ও কয়েন” চক্র Logo দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই প্রায় অর্ধশত বদলি বানিজ্য পিএইচডি জালিয়াতি-বদলি বানিজ্য-ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের মূলহোতা খালেকুজ্জামান চৌধুরী Logo কাচিঘাটা রেঞ্জে গাছকাটা সিন্ডিকেটের তাণ্ডব রাতে চার–পাঁচশ গাছ উজাড়—বন রক্ষাকারীরাই অভিযুক্ত!** স্থানীয়দের অভিযোগ: “৫ আগস্টের পর এলাকা একেবারে মগের মুল্লুক—বন কেটে লুটে খাচ্ছে সবাই Logo চীনে ট্রেন দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত Logo ১২ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া Logo প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলা জয় ও পুতুলের ৫ বছরের কারাদণ্ড Logo তিন মামলায় হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড

গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে ঠাকুরগাঁওয়ে আন্তর্জাতিক গুম বিরোধী দিবস পালিত

৩০ আগস্ট, আন্তর্জাতিক গুম বিরোধী দিবস উপলক্ষে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মানবাধিকার সংস্থা “অধিকার”-এর ঠাকুরগাঁও জেলা নেটওয়ার্কের আয়োজনে শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় শহরের প্রাণকেন্দ্র চৌরাস্তা থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়, যা কোর্ট চত্বর ঘুরে পুনরায় চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে ঘন্টাব্যাপী এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গুম একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। অতীতের কর্তৃত্ববাদী শাসনের সময় গুমকে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। বহু রাজনৈতিক নেতাকর্মী, ভিন্নমতাবলম্বী ও সাধারণ মানুষ এ অপরাধের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকে আজও নিখোঁজ, কেউ কেউ ফিরলেও রয়েছেন মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে জেলহাজতে কিংবা মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত হয়ে কনডেমড সেলে। তাদের মধ্যে অনেকে আজও নিখোঁজ, কেউ কেউ ফিরলেও রয়েছেন মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে জেলহাজতে কিংবা মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত হয়ে কনডেমড সেলে।
২০০৬ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ‘গুম হওয়া থেকে সমস্ত ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক সনদ’ (আইসিপিপিইডি) গৃহীত হলেও দীর্ঘ সময় বাংলাদেশে তা বাস্তবায়িত হয়নি। তবে ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তবর্তীকালীন সরকার এই সনদটি অনুমোদন করে যা মানবাধিকারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।

এ সময় অধিকারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে সব গুমের ঘটনায় স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত, নিখোঁজদের অনুসন্ধানে জাতীয় কৌশল ও নীতিমালা প্রণয়ন, ফিরে আসা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ভুক্তভোগী ও সাক্ষী সুরক্ষায় আলাদা আইন প্রণয়ন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার সাথে জড়িত র‌্যাব বিলুপ্ত সহ ১০ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন “আমার দেশ”-এর জেলা প্রতিনিধি ফজলে ইমাম বুলবুল, মানবাধিকার কর্মী মাসুদ আহমেদ সুবর্ণ, “নয়া দিগন্ত”-এর প্রতিবেদক রাফিক সরকার প্রমুখ। পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা ও অধিকারের বক্তব্য তুলে ধরেন মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক নূর আফতাব রুপম।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ

গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে ঠাকুরগাঁওয়ে আন্তর্জাতিক গুম বিরোধী দিবস পালিত

আপডেট সময় ০৪:১৮:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫

৩০ আগস্ট, আন্তর্জাতিক গুম বিরোধী দিবস উপলক্ষে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মানবাধিকার সংস্থা “অধিকার”-এর ঠাকুরগাঁও জেলা নেটওয়ার্কের আয়োজনে শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় শহরের প্রাণকেন্দ্র চৌরাস্তা থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়, যা কোর্ট চত্বর ঘুরে পুনরায় চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে ঘন্টাব্যাপী এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গুম একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। অতীতের কর্তৃত্ববাদী শাসনের সময় গুমকে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। বহু রাজনৈতিক নেতাকর্মী, ভিন্নমতাবলম্বী ও সাধারণ মানুষ এ অপরাধের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকে আজও নিখোঁজ, কেউ কেউ ফিরলেও রয়েছেন মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে জেলহাজতে কিংবা মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত হয়ে কনডেমড সেলে। তাদের মধ্যে অনেকে আজও নিখোঁজ, কেউ কেউ ফিরলেও রয়েছেন মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে জেলহাজতে কিংবা মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত হয়ে কনডেমড সেলে।
২০০৬ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ‘গুম হওয়া থেকে সমস্ত ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক সনদ’ (আইসিপিপিইডি) গৃহীত হলেও দীর্ঘ সময় বাংলাদেশে তা বাস্তবায়িত হয়নি। তবে ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তবর্তীকালীন সরকার এই সনদটি অনুমোদন করে যা মানবাধিকারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।

এ সময় অধিকারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে সব গুমের ঘটনায় স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত, নিখোঁজদের অনুসন্ধানে জাতীয় কৌশল ও নীতিমালা প্রণয়ন, ফিরে আসা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ভুক্তভোগী ও সাক্ষী সুরক্ষায় আলাদা আইন প্রণয়ন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার সাথে জড়িত র‌্যাব বিলুপ্ত সহ ১০ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন “আমার দেশ”-এর জেলা প্রতিনিধি ফজলে ইমাম বুলবুল, মানবাধিকার কর্মী মাসুদ আহমেদ সুবর্ণ, “নয়া দিগন্ত”-এর প্রতিবেদক রাফিক সরকার প্রমুখ। পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা ও অধিকারের বক্তব্য তুলে ধরেন মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক নূর আফতাব রুপম।


প্রিন্ট