ঢাকা ০২:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ফরিদপুরে চেয়ারম্যানের শেল্টারে চায়না দুয়ারি জালের কারখানার রমরমা ব্যবসা, প্রশাসনের অভিযানে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা Logo রয়টার্সের প্রতিবেদন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিশের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আদানি গ্রুপ Logo টানা কমছে দেশের রপ্তানি আয়, সামনে আরও কমার আশঙ্কা Logo বিএনপির ফাঁকা রাখা ৬৩ আসনে অগ্রাধিকার পাবেন যারা Logo আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে Logo আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ৬ দলিল লেখক বরখাস্ত Logo সাভারে ট্রলি ভ্যানের ব্রেক ফেল আয়ারল্যান্ডের ওপরে এসে গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ Logo তৌহিদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ Logo ৪৮ তম বিসিএস পরীক্ষায় উওীর্ণদের নিয়োগ এর দাবি তে মানববন্ধন Logo বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই রুমিন ফারহানার পদত্যাগ করেন

৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের হাতে ফিরল

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:৩১:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫
  • ১২৪ ১০.০০০ বার পড়া হয়েছে

৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের হাতে ফিরল
ফাইল ছবি

‘ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২’ এর ১১ ধারায় সরকারকে ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণের যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল, তা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। ১৯৯৩ সালে সরকার ৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণ করে গেজেট জারি করেছিল। পরে ১৯৯৪ সালে আরেকটি সার্কুলারে সরকার সেই ক্ষমতা সীমিত করে।

এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি শেষে সোমবার (২৫ আগস্ট) বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ের ফলে দেশের অধিকাংশ ওষুধের দাম নির্ধারণের এখতিয়ার উৎপাদনকারীদের পরিবর্তে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে ফিরল।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এই রিট দায়ের করেছিল।

রায়ে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ডিজি ড্রাগ, ওষুধ মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।

রিটকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ পরে সাংবাদিকদের জানান, ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর ১১ ধারায় সরকারকে ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। এর ভিত্তিতে ১৯৯৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে। কিন্তু ১৯৯৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি সার্কুলারের মাধ্যমে সেই ক্ষমতা সীমিত করে মাত্র ১১৭টি ওষুধের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের হাতে রাখা হয়। বাকি সব ওষুধের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা দেওয়া হয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে। এই সার্কুলারকে চ্যালেঞ্জ করে এইচআরপিবি ২০১৮ সালে জনস্বার্থে একটি রিট দায়ের করে। তখন কেন ওই সার্কুলারকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ (২৫ আগস্ট) রায় ঘোষণা করা হলো।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদপুরে চেয়ারম্যানের শেল্টারে চায়না দুয়ারি জালের কারখানার রমরমা ব্যবসা, প্রশাসনের অভিযানে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা

৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের হাতে ফিরল

আপডেট সময় ০৭:৩১:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের হাতে ফিরল
ফাইল ছবি

‘ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২’ এর ১১ ধারায় সরকারকে ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণের যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল, তা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। ১৯৯৩ সালে সরকার ৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণ করে গেজেট জারি করেছিল। পরে ১৯৯৪ সালে আরেকটি সার্কুলারে সরকার সেই ক্ষমতা সীমিত করে।

এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি শেষে সোমবার (২৫ আগস্ট) বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ের ফলে দেশের অধিকাংশ ওষুধের দাম নির্ধারণের এখতিয়ার উৎপাদনকারীদের পরিবর্তে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে ফিরল।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এই রিট দায়ের করেছিল।

রায়ে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ডিজি ড্রাগ, ওষুধ মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।

রিটকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ পরে সাংবাদিকদের জানান, ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর ১১ ধারায় সরকারকে ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। এর ভিত্তিতে ১৯৯৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে। কিন্তু ১৯৯৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি সার্কুলারের মাধ্যমে সেই ক্ষমতা সীমিত করে মাত্র ১১৭টি ওষুধের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের হাতে রাখা হয়। বাকি সব ওষুধের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা দেওয়া হয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে। এই সার্কুলারকে চ্যালেঞ্জ করে এইচআরপিবি ২০১৮ সালে জনস্বার্থে একটি রিট দায়ের করে। তখন কেন ওই সার্কুলারকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ (২৫ আগস্ট) রায় ঘোষণা করা হলো।


প্রিন্ট