ঢাকা ১০:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভাঙ্গুড়ায় তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার প্রদর্শনী, নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস Logo ইলিশ রক্ষায় ব্যার্থ মৎস অধিদপ্তর সাংবাদিক দেখে দৌড়ে পালালেন ইলিশ বোঝায় ট্রলার Logo সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে নাগরিক প্লাটফর্ম ও যুব ফোরামের পরামর্শ সভা Logo মিরপুরে গার্মেন্টস ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন Logo মার্চ টু সচিবালয়’ এ অংশ নিতে শহীদ মিনারে শিক্ষকদের ঢল Logo রাজধানীতে জামায়াতসহ সাত দলের মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু Logo আমরা কারাগারে নয়, ছিলাম এক কসাইখানায় Logo হয়রানি নিরসনে চালু হচ্ছে অনলাইন জামিননামা: আইন উপদেষ্টা Logo আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা চেষ্টা মামলায় শ্রমিক নেতা গ্রেপ্তার Logo কালিয়াকৈরে প্রতারণা করে জমির মালিক হওয়ার চেষ্টা: প্রতারক থেকে জমি রক্ষা করতে ইউএনও’র নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের মালিকদের

৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের হাতে ফিরল

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:৩১:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫
  • ৯৮ ১০.০০০ বার পড়া হয়েছে

৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের হাতে ফিরল
ফাইল ছবি

‘ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২’ এর ১১ ধারায় সরকারকে ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণের যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল, তা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। ১৯৯৩ সালে সরকার ৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণ করে গেজেট জারি করেছিল। পরে ১৯৯৪ সালে আরেকটি সার্কুলারে সরকার সেই ক্ষমতা সীমিত করে।

এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি শেষে সোমবার (২৫ আগস্ট) বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ের ফলে দেশের অধিকাংশ ওষুধের দাম নির্ধারণের এখতিয়ার উৎপাদনকারীদের পরিবর্তে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে ফিরল।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এই রিট দায়ের করেছিল।

রায়ে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ডিজি ড্রাগ, ওষুধ মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।

রিটকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ পরে সাংবাদিকদের জানান, ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর ১১ ধারায় সরকারকে ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। এর ভিত্তিতে ১৯৯৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে। কিন্তু ১৯৯৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি সার্কুলারের মাধ্যমে সেই ক্ষমতা সীমিত করে মাত্র ১১৭টি ওষুধের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের হাতে রাখা হয়। বাকি সব ওষুধের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা দেওয়া হয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে। এই সার্কুলারকে চ্যালেঞ্জ করে এইচআরপিবি ২০১৮ সালে জনস্বার্থে একটি রিট দায়ের করে। তখন কেন ওই সার্কুলারকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ (২৫ আগস্ট) রায় ঘোষণা করা হলো।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাঙ্গুড়ায় তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার প্রদর্শনী, নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস

৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের হাতে ফিরল

আপডেট সময় ০৭:৩১:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের হাতে ফিরল
ফাইল ছবি

‘ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২’ এর ১১ ধারায় সরকারকে ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণের যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল, তা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। ১৯৯৩ সালে সরকার ৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণ করে গেজেট জারি করেছিল। পরে ১৯৯৪ সালে আরেকটি সার্কুলারে সরকার সেই ক্ষমতা সীমিত করে।

এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি শেষে সোমবার (২৫ আগস্ট) বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ের ফলে দেশের অধিকাংশ ওষুধের দাম নির্ধারণের এখতিয়ার উৎপাদনকারীদের পরিবর্তে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে ফিরল।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এই রিট দায়ের করেছিল।

রায়ে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ডিজি ড্রাগ, ওষুধ মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।

রিটকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ পরে সাংবাদিকদের জানান, ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর ১১ ধারায় সরকারকে ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। এর ভিত্তিতে ১৯৯৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে। কিন্তু ১৯৯৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি সার্কুলারের মাধ্যমে সেই ক্ষমতা সীমিত করে মাত্র ১১৭টি ওষুধের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের হাতে রাখা হয়। বাকি সব ওষুধের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা দেওয়া হয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে। এই সার্কুলারকে চ্যালেঞ্জ করে এইচআরপিবি ২০১৮ সালে জনস্বার্থে একটি রিট দায়ের করে। তখন কেন ওই সার্কুলারকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ (২৫ আগস্ট) রায় ঘোষণা করা হলো।


প্রিন্ট