তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে দাঁড়াতেই পারেনি অস্ট্রেলিয়া। দুই হারে এরই মধ্যে সিরিজ হাতছাড়া হয়েছে তাদের। কিন্তু তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে রুদ্রমূর্তি দেখা গেল অজিদের। প্রোটিয়া বোলারদের ছাতু বানিয়ে তারা ৫০ ওভারে স্কোরবোর্ডে জমা করেছেন ২ উইকেটে ৪৩১ রান।
অবিশ্বাস্য এই স্কোর গড়ার পথে বেশকিছু রেকর্ড গড়া হয়ে গেছে তাদের। অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ এখন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
অজিদের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০৩ বলে সর্বোচ্চ ১৪২ রান করেছেন ট্রাভিস হেড। এ ছাড়া অধিনায়ক মিচেল মার্শ ১০৬ বলে ১০০ এবং ক্যামেরন গ্রিন ৫৫ বলে ১১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। আরেক অপরাজিত ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারির ব্যাটেও এসেছে হাফসেঞ্চুরি (৩৭ বলে ৫০)। এই প্রথম ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার দুটি ১৫০–এর বেশি রানের জুটি হয়েছে। যা সবমিলিয়ে ওয়ানডেতে দশমবার। ওপেনিং জুটিতে হেড-মার্শের ২৫০ রান দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যেকোনো দলের হিসাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপ ও নেদারল্যান্ডস সিরিজের দল ঘোষণা বাংলাদেশের
এশিয়া কাপ ও নেদারল্যান্ডস সিরিজের দল ঘোষণা বাংলাদেশের
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় দ্রুততম (৪৭ বল) সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন গ্রিন। এর আগে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৪০ বলে সেঞ্চুরি করেন ২০২৩ সালে, প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস।
এই ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডের এক ইনিংসে পঞ্চমবার কোনো দলের তিন ব্যাটার সেঞ্চুরি করলেন। একই রেকর্ড দক্ষিণ আফ্রিকা তিনবার এবং ইংল্যান্ডের একবার রয়েছে।
এই ম্যাচে ১৮টি ছক্কা মেরেছেন অজি ব্যাটাররা। যা ওয়ানডেতে ঘরের মাঠে দলটির সর্বোচ্চ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (১৯টি ছক্কা হাঁকায় ইংল্যান্ড)। এ ছাড়া ওয়ানডেতে অজিদের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮টি ছক্কা মারলেন গ্রিন (৯টি ছক্কা রয়েছে রিকি পন্টিংয়ের)।
অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া পাহাড়সম লক্ষ্যের সামনে মুখ থুবড়ে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২২ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫২ রান তুলেছে সফরকারীরা। জয়ের জন্য তাদের এখনো প্রয়োজন ২৮০ রান, অস্ট্রেলিয়ার চাই ২ উইকেট।
প্রিন্ট