ঢাকা ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বিশ্ব কেন ফিলিস্তিনিদের কান্না দেখতে পায় না? Logo কক্সবাজারে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে একই পরিবারের ৫ জন নিহত Logo উগান্ডা থেকে নিউইয়র্ক—সর্বকনিষ্ঠ ও প্রথম মুসলিম মেয়র মামদানির অভূতপূর্ব উত্থান Logo হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ডা: শাখায়াত হাসান জীবন আজমিরীগঞ্জ বানিয়াচংয়ে উচ্ছ্বাস Logo পটুয়াখালী-২ আসনে এনসিপি-জামায়াতে উচ্ছ্বাস, বিএনপিতে বিষাদ Logo ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন মাগুরা-২ আসনে ধানের শীষের কান্ডারী এ্যাড. নিতাই রায় চৌধুরী Logo ফরিদপুরে চেয়ারম্যানের শেল্টারে চায়না দুয়ারি জালের কারখানার রমরমা ব্যবসা, প্রশাসনের অভিযানে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা Logo রয়টার্সের প্রতিবেদন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিশের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আদানি গ্রুপ Logo টানা কমছে দেশের রপ্তানি আয়, সামনে আরও কমার আশঙ্কা Logo বিএনপির ফাঁকা রাখা ৬৩ আসনে অগ্রাধিকার পাবেন যারা

সাভার ও আশুলিয়ার মহাসড়ক এখন বর্জ্যের ভাগাড়, ভোগান্তির শিকার

ছবিটি দেখলে মনে হতে পারে কোন পাহাড়ি অঞ্চলের ছবি কিন্তু বাস্তবে এটি নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের শ্রীপুর এলাকার একটি ময়লার ভাগাড়। উন্নয়নের মহাসড়ক যখন নিজেই আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়, তখন নাগরিক দুর্ভোগের চিত্রটি আর বর্ণনার অপেক্ষা রাখে না। আমিনবাজার থেকে শুরু করে হেমায়েতপুর, তেঁতুলঝোড়া, উলাইল, সাভার বাজার বাস স্ট্যান্ডসহ নবীনগর চন্দ্র পর্যন্ত কিছু দূর পরপরই মহাসড়কের উপর গড়ে উঠেছে ময়লার ভাগাড়। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় পরিসরে ময়লার ভাগাড় গড়ে উঠেছে শ্রীপুর মহাসড়কের পশ্চিম পাড়ে। এখানে প্রতিদিন শত শত ছোট বড় ময়লার গাড়ি এসে ময়লা ফেলছে। যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল পাহাড় আকৃতির ময়লার স্তুপ।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, খাতা কলম নিয়ে ময়লার গাড়ির হিসাব লিখছেন এক ব্যক্তি। প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, তার নাম মোঃ রায়হান ইসলাম এবং তিনি ১৬-১৭ বছর ধরে এই এই ময়লার ভাগাড়ের ইনচার্জ হিসেবে আছেন। প্রতিদিন প্রায় ৮০ থেকে ১০০ টা ছোট বড় ময়লার গাড়ি এখানে আসে। আমরা প্রতি গাড়ি থেকে মাসিক ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা নিয়ে থাকি। এখানে কেন ময়লা ফেলেন এবং টাকাই বা কেন নেন এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা আমাদের ব্যবসা এবং সব মিলিয়ে মাসে পাঁচ লাখ টাকার মত আয় হয়।
সরকারি জমিতে ময়লার ভাগার বানিয়ে ব্যবসা করার অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কোন অনুমতির প্রয়োজন নাই। সবকিছু ম্যানেজ করেই তারা ব্যবসা করে আসছেন বলে জানান তিনি। এছাড়াও সাভারের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সাভার নিউ মার্কেট সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢাকামুখী সার্ভিস লেনটির বর্তমান অবস্থা দেখলে যে কেউ আঁতকে উঠবেন। এটি এখন আর সার্ভিস লেন নয়, বরং একটি উন্মুক্ত ডাস্টবিন, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছে।
পথচারীরা নাকে রুমাল চেপেও রেহাই নেই তীব্র দুর্গন্ধ থেকে। অথচ এই পথেই প্রতিদিন সাভার উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যাতায়াত। কিন্তু রহস্যজনকভাবে, সড়কের ওপর এই ন্যাক্কারজনক পরিস্থিতি তাদের চোখে পড়ে না।
এই সমস্যাটি নতুন নয়। বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমের চাপে লোক দেখানো উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। কর্তৃপক্ষ বাহবা কুড়ায়, কিন্তু কয়েক দিনের ব্যবধানেই সবকিছু আগের অবস্থায় ফিরে আসে। এই ‘যায়-আসে’ খেলার পেছনে কোন সে অদৃশ্য শক্তি কাজ করে, তা সাভারবাসীর কাছে একটি বড় প্রশ্ন।
এ বিষয়ে সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোহাম্মদ আবুবকর সরকার বলেন, বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। একটি নির্দিষ্ট ময়লার ভাগাড় এর জন্য উপযুক্ত স্থান খোঁজা হচ্ছে। ময়নার ভাগাড়ের জমি পাওয়া গেলে এই সমস্যা আর থাকবে না।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্ব কেন ফিলিস্তিনিদের কান্না দেখতে পায় না?

সাভার ও আশুলিয়ার মহাসড়ক এখন বর্জ্যের ভাগাড়, ভোগান্তির শিকার

আপডেট সময় ০৪:৪২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

ছবিটি দেখলে মনে হতে পারে কোন পাহাড়ি অঞ্চলের ছবি কিন্তু বাস্তবে এটি নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের শ্রীপুর এলাকার একটি ময়লার ভাগাড়। উন্নয়নের মহাসড়ক যখন নিজেই আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়, তখন নাগরিক দুর্ভোগের চিত্রটি আর বর্ণনার অপেক্ষা রাখে না। আমিনবাজার থেকে শুরু করে হেমায়েতপুর, তেঁতুলঝোড়া, উলাইল, সাভার বাজার বাস স্ট্যান্ডসহ নবীনগর চন্দ্র পর্যন্ত কিছু দূর পরপরই মহাসড়কের উপর গড়ে উঠেছে ময়লার ভাগাড়। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় পরিসরে ময়লার ভাগাড় গড়ে উঠেছে শ্রীপুর মহাসড়কের পশ্চিম পাড়ে। এখানে প্রতিদিন শত শত ছোট বড় ময়লার গাড়ি এসে ময়লা ফেলছে। যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল পাহাড় আকৃতির ময়লার স্তুপ।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, খাতা কলম নিয়ে ময়লার গাড়ির হিসাব লিখছেন এক ব্যক্তি। প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, তার নাম মোঃ রায়হান ইসলাম এবং তিনি ১৬-১৭ বছর ধরে এই এই ময়লার ভাগাড়ের ইনচার্জ হিসেবে আছেন। প্রতিদিন প্রায় ৮০ থেকে ১০০ টা ছোট বড় ময়লার গাড়ি এখানে আসে। আমরা প্রতি গাড়ি থেকে মাসিক ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা নিয়ে থাকি। এখানে কেন ময়লা ফেলেন এবং টাকাই বা কেন নেন এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা আমাদের ব্যবসা এবং সব মিলিয়ে মাসে পাঁচ লাখ টাকার মত আয় হয়।
সরকারি জমিতে ময়লার ভাগার বানিয়ে ব্যবসা করার অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কোন অনুমতির প্রয়োজন নাই। সবকিছু ম্যানেজ করেই তারা ব্যবসা করে আসছেন বলে জানান তিনি। এছাড়াও সাভারের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সাভার নিউ মার্কেট সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢাকামুখী সার্ভিস লেনটির বর্তমান অবস্থা দেখলে যে কেউ আঁতকে উঠবেন। এটি এখন আর সার্ভিস লেন নয়, বরং একটি উন্মুক্ত ডাস্টবিন, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছে।
পথচারীরা নাকে রুমাল চেপেও রেহাই নেই তীব্র দুর্গন্ধ থেকে। অথচ এই পথেই প্রতিদিন সাভার উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যাতায়াত। কিন্তু রহস্যজনকভাবে, সড়কের ওপর এই ন্যাক্কারজনক পরিস্থিতি তাদের চোখে পড়ে না।
এই সমস্যাটি নতুন নয়। বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমের চাপে লোক দেখানো উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। কর্তৃপক্ষ বাহবা কুড়ায়, কিন্তু কয়েক দিনের ব্যবধানেই সবকিছু আগের অবস্থায় ফিরে আসে। এই ‘যায়-আসে’ খেলার পেছনে কোন সে অদৃশ্য শক্তি কাজ করে, তা সাভারবাসীর কাছে একটি বড় প্রশ্ন।
এ বিষয়ে সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোহাম্মদ আবুবকর সরকার বলেন, বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। একটি নির্দিষ্ট ময়লার ভাগাড় এর জন্য উপযুক্ত স্থান খোঁজা হচ্ছে। ময়নার ভাগাড়ের জমি পাওয়া গেলে এই সমস্যা আর থাকবে না।


প্রিন্ট