চট্টগ্রাম মহানগরীতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ চোর ও ছিনতাইকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-পশ্চিম) একটি টিম। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৩৪২টি বিভিন্ন মডেলের চোরাই মোবাইল, ৬টি ল্যাপটপ ও নগদ ২ লাখ টাকা।
ডিবি সূত্র জানায়, সম্প্রতি মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় পকেটমার ও ছিনতাইকারীদের তৎপরতা বেড়ে যায়। এ চক্রগুলো বিশেষ করে ভিড় বা জনসমাগমস্থলে সুযোগ খুঁজে কৌশলে মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা ও মূল্যবান মালামাল হাতিয়ে নেয়। কখনো তারা যাত্রীবেশে বা সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে এসব অপরাধ সংঘটিত করে। পরবর্তীতে এসব চোরাই মোবাইল পাচার করা হয় দেশের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্প, এমনকি মায়ানমার, নেপাল ও ভারতে।
এ প্রেক্ষিতে গত ১০ জুলাই রাতে নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন মুসলিম হাইস্কুল গেট এলাকায় বিশেষ অভিযানে নামে ডিবি (পশ্চিম) এর একটি দল। অভিযানে নেতৃত্ব দেন এসআই (নি:) মোঃ রবিউল ইসলাম।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, নন্দনকানন ৩ নম্বর গলির ১৫ নম্বর রশিদ মঞ্জিলের নিচতলায় ভাড়া নেয়া দুটি কক্ষে কিছু ব্যক্তি চোরাই মোবাইল লেনদেনে জড়িত। ডিবির দল সেখানে পৌঁছালে চক্রের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া দিয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন:
১. মোঃ তানভির হাসনাইন (৩২) – পশ্চিম বাকলিয়া, চকবাজার
২. মোঃ সোহেল উদ্দিন (৩২) – বড় হাতিয়া, লোহাগাড়া
৩. মোঃ রুবেল ওরফে চাকমা রুবেল (৩৬) – কোম্পানীগঞ্জ, নোয়াখালী
৪. মোঃ মোহাম্মদ হোসাইন (২২) – লোহাগাড়া
৫. আবদুল্লাহ আল মামুন (২৭) – সাতকানিয়া
তাদের দেওয়া তথ্যে সোহেল উদ্দিনের ভাড়া নেয়া কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয় ৩৪২টি মোবাইল, ৬টি পুরাতন ল্যাপটপ এবং নগদ ২ লাখ টাকা।
ডিবি জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে, এসব মোবাইল ছিনতাই বা চুরির মাধ্যমে সংগ্রহ করে পাচার করতো। তারা নিয়মিতভাবে এসব পণ্য দেশের বিভিন্ন এলাকায় এবং আন্তর্জাতিকভাবে পাচার করত।
তদন্তে আরও জানা গেছে, আসামি তানভির ও সোহেলের বিরুদ্ধে কোতোয়ালীসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতির প্রস্তুতি, অস্ত্র, চুরি ও ছিনতাই সংক্রান্ত চারটি করে মামলা রয়েছে। আর রুবেল ওরফে চাকমা রুবেলের বিরুদ্ধে রয়েছে পাঁচটি মামলা।
আসামিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রিন্ট