ঢাকা ১১:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মুসলিম মিল্লাতের মহান ঈমানী জাতীয় শহীদ দিবস শাহাদাতে কারবালা দিবস উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্ট ও ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটি রেভুলুশনের সমাবেশ Logo জাতীয় রিপোর্টার্স ক্লাব, চট্টগ্রাম জেলার কার্যকরী কমিটি গঠনে জরুরি সভা সম্পন্ন Logo কাশিমপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টা মামলায় তিন আসামি গ্রেফতার Logo জুলাই শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় মোংলায় দরিদ্র,অসহায় মানুষের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণ Logo দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে : কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম Logo ভারতের বৈভব সূর্যবংশী ও বাংলাদেশের নাজমুল শান্ত। ফাইল Logo পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে ভারতের ২৫০ সেনা নিহত Logo মুসলিম মিল্লাতের মহান ঈমানী জাতীয় শহীদ দিবস শাহাদাতে কারবালা দিবস উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্ট ও ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটি রেভুলুশনের সমাবেশ Logo তাজিয়া মিছিলে হাজারো মানুষ, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী Logo ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের পর প্রথমবার জনসমক্ষে খামেনি

পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে ভারতের ২৫০ সেনা নিহত

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৪৯:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সামা টিভি
কাশ্মীরের পেহেলগাম ইস্যুতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংঘাতে ভারত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হলেও সরকারিভাবে সেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ গোপন রাখা হয়েছে বলে অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে।

সীমান্তবর্তী লাইন অব কন্ট্রোলে (এলওসি) পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চালানো অভিযানে ২৫০-এর বেশি ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন সামরিক ও কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

তবুও ভারত সরকার এই তথ্য জনসমক্ষে আনতে চায়নি এবং বরাবরই ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা অস্বীকার বা খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করেছে।

রোববার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সামা টিভি।

নিহত সেনাদের মধ্যে কারা কারা রয়েছেন?

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত সরকার গোপনে ১০০ জনেরও বেশি নিহত সেনাকে মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে জনগণের নজর এড়িয়ে ভেতরে ভেতরে তাদের স্মরণ করা যায়।

সম্মানপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন:

৩ জন রাফাল পাইলটসহ মোট ৪ জন পাইলট;
ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) ৭ জন সদস্য;
১০ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের ‘জি-টপ’ পোস্টের ৫ জন সেনা;
৯৩ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেড হেডকোয়ার্টারের ৯ জন সদস্য;
আদমপুর বিমানঘাঁটিতে নিহত এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ইউনিটের ৫ জন অপারেটর।
সেনাবাহিনী ও সরকারের মধ্যে তথ্য লুকোচুরি?

সূত্রমতে, রাফাল ফাইটার জেটের ক্ষতি এবং বিভিন্ন কৌশলগত ঘাঁটি ধ্বংস হওয়া নিয়ে শুরুতে ভারত সরকার ও সেনাবাহিনী মুখ না খুললেও, পরে একাধিক উচ্চপদস্থ জেনারেল ও কূটনৈতিক কর্মকর্তা এ তথ্য স্বীকার করতে বাধ্য হন।

পরিবারগুলোর ওপর চাপ

এদিকে নিহত সেনাদের পরিবারের সদস্যদের ওপরও সরকার চাপ সৃষ্টি করছে। যাতে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি বা ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার না করে। পুরো পরিস্থিতি যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেই চেষ্টায় তথ্য নিয়ন্ত্রণ ও প্রচারণা কৌশল অবলম্বন করছে মোদি প্রশাসন।

সেনা ক্ষয়ক্ষতির স্বীকারোক্তি এড়িয়ে সম্মান প্রদান?

সামা টিভি জানিয়েছে, পাঠানকোট ও উদমপুর বিমানঘাঁটির ক্ষয়ক্ষতির তথ্য আন্তর্জাতিক ও ভারতীয় স্বাধীন মিডিয়া নিশ্চিত করলেও, সরকার তা অস্বীকার করে চলেছে।

ভারত সরকার এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধে পরাজয় ও তথ্য সংকট একসঙ্গে সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন পর্যবেক্ষকরা।

এই প্রতিবেদনের সঙ্গে পাকিস্তানের ‘অপারেশন বুনিয়ানুম-মারসুস’-এর সফলতার দাবি ও ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংসের তথ্যও উঠে এসেছে। যা দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে।

এদিকে পাকিস্তানি মিডিয়ার এই খবর আন্তর্জাতিক মিডিয়ার নজর কেড়েছে। বিশেষ করে যুদ্ধক্ষেত্রে তথ্য-যুদ্ধ ও সত্য আড়াল করার প্রচেষ্টা নিয়ে ভারত সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মুসলিম মিল্লাতের মহান ঈমানী জাতীয় শহীদ দিবস শাহাদাতে কারবালা দিবস উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্ট ও ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটি রেভুলুশনের সমাবেশ

পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে ভারতের ২৫০ সেনা নিহত

আপডেট সময় ০৩:৪৯:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

ছবি: সামা টিভি
কাশ্মীরের পেহেলগাম ইস্যুতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংঘাতে ভারত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হলেও সরকারিভাবে সেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ গোপন রাখা হয়েছে বলে অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে।

সীমান্তবর্তী লাইন অব কন্ট্রোলে (এলওসি) পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চালানো অভিযানে ২৫০-এর বেশি ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন সামরিক ও কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

তবুও ভারত সরকার এই তথ্য জনসমক্ষে আনতে চায়নি এবং বরাবরই ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা অস্বীকার বা খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করেছে।

রোববার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সামা টিভি।

নিহত সেনাদের মধ্যে কারা কারা রয়েছেন?

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত সরকার গোপনে ১০০ জনেরও বেশি নিহত সেনাকে মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে জনগণের নজর এড়িয়ে ভেতরে ভেতরে তাদের স্মরণ করা যায়।

সম্মানপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন:

৩ জন রাফাল পাইলটসহ মোট ৪ জন পাইলট;
ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) ৭ জন সদস্য;
১০ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের ‘জি-টপ’ পোস্টের ৫ জন সেনা;
৯৩ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেড হেডকোয়ার্টারের ৯ জন সদস্য;
আদমপুর বিমানঘাঁটিতে নিহত এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ইউনিটের ৫ জন অপারেটর।
সেনাবাহিনী ও সরকারের মধ্যে তথ্য লুকোচুরি?

সূত্রমতে, রাফাল ফাইটার জেটের ক্ষতি এবং বিভিন্ন কৌশলগত ঘাঁটি ধ্বংস হওয়া নিয়ে শুরুতে ভারত সরকার ও সেনাবাহিনী মুখ না খুললেও, পরে একাধিক উচ্চপদস্থ জেনারেল ও কূটনৈতিক কর্মকর্তা এ তথ্য স্বীকার করতে বাধ্য হন।

পরিবারগুলোর ওপর চাপ

এদিকে নিহত সেনাদের পরিবারের সদস্যদের ওপরও সরকার চাপ সৃষ্টি করছে। যাতে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি বা ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার না করে। পুরো পরিস্থিতি যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেই চেষ্টায় তথ্য নিয়ন্ত্রণ ও প্রচারণা কৌশল অবলম্বন করছে মোদি প্রশাসন।

সেনা ক্ষয়ক্ষতির স্বীকারোক্তি এড়িয়ে সম্মান প্রদান?

সামা টিভি জানিয়েছে, পাঠানকোট ও উদমপুর বিমানঘাঁটির ক্ষয়ক্ষতির তথ্য আন্তর্জাতিক ও ভারতীয় স্বাধীন মিডিয়া নিশ্চিত করলেও, সরকার তা অস্বীকার করে চলেছে।

ভারত সরকার এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধে পরাজয় ও তথ্য সংকট একসঙ্গে সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন পর্যবেক্ষকরা।

এই প্রতিবেদনের সঙ্গে পাকিস্তানের ‘অপারেশন বুনিয়ানুম-মারসুস’-এর সফলতার দাবি ও ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংসের তথ্যও উঠে এসেছে। যা দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে।

এদিকে পাকিস্তানি মিডিয়ার এই খবর আন্তর্জাতিক মিডিয়ার নজর কেড়েছে। বিশেষ করে যুদ্ধক্ষেত্রে তথ্য-যুদ্ধ ও সত্য আড়াল করার প্রচেষ্টা নিয়ে ভারত সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।


প্রিন্ট