ঢাকা ০৮:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
বোদা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল কারাগারে জামালপুরে করল্লা চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে কৃষককুল স্বাবলম্বি চট্টগ্রাম সাতকানিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ১টি এলজিসহ অস্ত্রধারী যুবক গ্রেপ্তার। প্রচন্ড খড়া রোদে ডিএমপি কমিশনারের স্বস্থির উদ্যোগ পাহাড় পুর বাজারে ক্ষমতার দাপটে সরকারি শৌচাগার বন্ধ করে দোকান ঘর নির্মাণ, মাদক মুক্ত সমাজ গড়ার ডাক দিলেন জননেত্রী ও প্রধান মাসকিনা মমতাজ সরিষাবাড়ীতে উজ্জল হত্যা মামলার আসামিদের  ফাঁসির দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন মোংলায় ডে বোট অপারেটর প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত কালিহাতিতে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ পালিত

ইবাদত বন্দেগির কুরআনিক পদ্ধতি

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৫:০৯:৪১ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০১৭
  • ৫০৬ ০.০০০ বার পাঠক

ফাইল ছবি

ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। এ কথাটি আল্লাহর। অথচ বান্দা তার সুফল লাভে ব্যর্থ। ইবাদত-বন্দেগিসহ দৈনন্দিন জীবনের কোনো কাজেই বান্দাহ মজা পায় না। আল্লাহ তাআলা বান্দার কল্যাণে সমগ্র জাহান সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন সব উপাদান, যা প্রয়োজন নিত্যদিন।বান্দা সব কার্যক্রমের  স্বাদ তখনই পাবে, যখন আল্লাহ প্রদর্শিত পথে সে চলবে।কিভাবে ইবাদতে পরিপূর্ণতা লাভ হবে, বান্দা পাবে পরিপূর্ণ স্বাদ তা জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

এক. আল্লাহকে পূর্ণ ভালোবাসা অর্থাৎ আল্লাহর ভালোবাসা বা আল্লাহ যা ভালোবাসেন তাঁর ভালোবাসাকে অন্য সব বস্তুর ওপর প্রাধান্য দেয়া।

দ্বিতীয়. আল্লাহর নিকট পূর্ণ বিনয়-নম্রতা ও আনুগত্য প্রকাশ করা অর্থাৎ বান্দা আল্লাহ তাআলার আদেশসমূহ পালনের এবং নিষেধাজ্ঞাসমূহ হতে বেঁচে থাকার মাধ্যমে বিনয় ও নম্রতা প্রকাশ করবে।

সুতরাং পূর্ণ বশ্যতা, বিনয়-নম্রতা, আশা-আকাঙ্ক্ষা ও ভয়-ভীতির সঙ্গে পূর্ণ ভালবাসাকে ইবাদত বলে। এইরূপ আমলের মাধ্যমেই বান্দা স্বীয় প্রভূর ভালোবাসা লাভ করে এবং সন্তুষ্টি অর্জনে সক্ষম হয়।

আল্লাহ ফরজ বিধি-বিধান পালনের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনকে ভালোবাসেন। পাশাপাশি বান্দার নফল ইবাদত যত বেশি বৃদ্ধি পাবে ততই তার নৈকট্য ও মর্যাদা আল্লাহর নিকট বৃদ্ধি পাবে। আল্লাহর অনুগ্রহ ও করুনায় এই মাধ্যমই আল্লাহর পক্ষথেকে মুমিন বান্দার নাজাতে উপায়।

আল্লাহ বলেন, `তোমরা স্বীয় প্রতিপালককে ডাক, কাকুতি-মিনতি করে, অত্যন্ত সংগোপনে। তিনি সীমা লংঘনকারীদের ভালোবাসেন না। (সূরা আ`রাফ : আয়াত ৫৫)

আল্লাহ ঘোষণা অনুযায়ী ইবাদত করবে বিনয়ের সহিত গোপনে। গোপনে ইবাদত করার অবস্থা থাকা সত্তেও মানুষ প্রকাশ্যে লোক দেখানোর জন্যও ইবাদত করে। তাই আল্লাহ বলেছেন তোমরা ইবাদতে সীমা লংঘন কর না। আল্লাহর প্রিয় বান্দারা যখন দোয়া করবে তখন কোনো শব্দ শোনা যাবে না।
ইবাদতে আমাদের করণীয়-
১. ইবাদত গোপনে করতে হবে;
২. ইবাদতে বিনয় থাকতে হবে;
৩. ইবাদতে কাঁদতে হবে।
৪. কান্না না আসলে কান্নার ভান করতে হবে
৫. লোকে আবেদ হিসেবে সম্মান করবে এই নিয়্যত ইবাদত করা যাবে না
৬. প্রত্যেকটি কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করতে হবে
৭. যা সম্ভব নয় এমন দুআ করা যাবে না। যেমন- নবী হওয়ার দোয়া ইত্যাদি।
৮. নামাজি এমনভাবে নামাজ পড়বে, যাতে পাশে শয়নকারী স্ত্রীও টের না পায়
৯. হাফেজ কুরআন তিলাওয়াত করবে, যাতে অন্য কারও নিকট হাফেজ পরিচিতি প্রকাশ না হয়।

আল্লাহ যেন সমগ্র মানবজাতিকে নিরবে অত্যন্ত গোপনে আল্লাহর ইবাদত বন্দেগি করার তাওফিক দান করেন। ইবাদত-বন্দেগিতে যেন আল্লাহ ভয় এবং মহব্বত থাকে। আল্লাহ আমাদের তাঁর শিকানো পদ্ধতিতে তাঁকে স্মরণ করার, সর্ব প্রকার লোক দেখানো ইবাদত-বন্দেগি থেকে হেফাজত করে সঠিক নিয়মে ইবাদত-বন্দেগি করার তাওফিক দান করেন। আমিন। জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। সুন্দর সুন্দর ইসলামি আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

বোদা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

ইবাদত বন্দেগির কুরআনিক পদ্ধতি

আপডেট টাইম : ০৫:০৯:৪১ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০১৭

ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। এ কথাটি আল্লাহর। অথচ বান্দা তার সুফল লাভে ব্যর্থ। ইবাদত-বন্দেগিসহ দৈনন্দিন জীবনের কোনো কাজেই বান্দাহ মজা পায় না। আল্লাহ তাআলা বান্দার কল্যাণে সমগ্র জাহান সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন সব উপাদান, যা প্রয়োজন নিত্যদিন।বান্দা সব কার্যক্রমের  স্বাদ তখনই পাবে, যখন আল্লাহ প্রদর্শিত পথে সে চলবে।কিভাবে ইবাদতে পরিপূর্ণতা লাভ হবে, বান্দা পাবে পরিপূর্ণ স্বাদ তা জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

এক. আল্লাহকে পূর্ণ ভালোবাসা অর্থাৎ আল্লাহর ভালোবাসা বা আল্লাহ যা ভালোবাসেন তাঁর ভালোবাসাকে অন্য সব বস্তুর ওপর প্রাধান্য দেয়া।

দ্বিতীয়. আল্লাহর নিকট পূর্ণ বিনয়-নম্রতা ও আনুগত্য প্রকাশ করা অর্থাৎ বান্দা আল্লাহ তাআলার আদেশসমূহ পালনের এবং নিষেধাজ্ঞাসমূহ হতে বেঁচে থাকার মাধ্যমে বিনয় ও নম্রতা প্রকাশ করবে।

সুতরাং পূর্ণ বশ্যতা, বিনয়-নম্রতা, আশা-আকাঙ্ক্ষা ও ভয়-ভীতির সঙ্গে পূর্ণ ভালবাসাকে ইবাদত বলে। এইরূপ আমলের মাধ্যমেই বান্দা স্বীয় প্রভূর ভালোবাসা লাভ করে এবং সন্তুষ্টি অর্জনে সক্ষম হয়।

আল্লাহ ফরজ বিধি-বিধান পালনের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনকে ভালোবাসেন। পাশাপাশি বান্দার নফল ইবাদত যত বেশি বৃদ্ধি পাবে ততই তার নৈকট্য ও মর্যাদা আল্লাহর নিকট বৃদ্ধি পাবে। আল্লাহর অনুগ্রহ ও করুনায় এই মাধ্যমই আল্লাহর পক্ষথেকে মুমিন বান্দার নাজাতে উপায়।

আল্লাহ বলেন, `তোমরা স্বীয় প্রতিপালককে ডাক, কাকুতি-মিনতি করে, অত্যন্ত সংগোপনে। তিনি সীমা লংঘনকারীদের ভালোবাসেন না। (সূরা আ`রাফ : আয়াত ৫৫)

আল্লাহ ঘোষণা অনুযায়ী ইবাদত করবে বিনয়ের সহিত গোপনে। গোপনে ইবাদত করার অবস্থা থাকা সত্তেও মানুষ প্রকাশ্যে লোক দেখানোর জন্যও ইবাদত করে। তাই আল্লাহ বলেছেন তোমরা ইবাদতে সীমা লংঘন কর না। আল্লাহর প্রিয় বান্দারা যখন দোয়া করবে তখন কোনো শব্দ শোনা যাবে না।
ইবাদতে আমাদের করণীয়-
১. ইবাদত গোপনে করতে হবে;
২. ইবাদতে বিনয় থাকতে হবে;
৩. ইবাদতে কাঁদতে হবে।
৪. কান্না না আসলে কান্নার ভান করতে হবে
৫. লোকে আবেদ হিসেবে সম্মান করবে এই নিয়্যত ইবাদত করা যাবে না
৬. প্রত্যেকটি কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করতে হবে
৭. যা সম্ভব নয় এমন দুআ করা যাবে না। যেমন- নবী হওয়ার দোয়া ইত্যাদি।
৮. নামাজি এমনভাবে নামাজ পড়বে, যাতে পাশে শয়নকারী স্ত্রীও টের না পায়
৯. হাফেজ কুরআন তিলাওয়াত করবে, যাতে অন্য কারও নিকট হাফেজ পরিচিতি প্রকাশ না হয়।

আল্লাহ যেন সমগ্র মানবজাতিকে নিরবে অত্যন্ত গোপনে আল্লাহর ইবাদত বন্দেগি করার তাওফিক দান করেন। ইবাদত-বন্দেগিতে যেন আল্লাহ ভয় এবং মহব্বত থাকে। আল্লাহ আমাদের তাঁর শিকানো পদ্ধতিতে তাঁকে স্মরণ করার, সর্ব প্রকার লোক দেখানো ইবাদত-বন্দেগি থেকে হেফাজত করে সঠিক নিয়মে ইবাদত-বন্দেগি করার তাওফিক দান করেন। আমিন। জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। সুন্দর সুন্দর ইসলামি আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।