ঘাটাইলে মোটরসাইকেলর জন্য হত্যা; মা-ছেলেসহ গ্রেফতার ৫
- আপডেট টাইম : ১১:০৯:৪১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
- / ২২১ ৫০০০.০ বার পাঠক
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ওয়ার্কসপ কর্মচারীকে হত্যা মামলায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন ঘাটাইল উপজেলার কামারচালা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সোহাগ (১৫), নিয়ামতপুর গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে নাজমুল (২০), কামারচালা গ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী খাদিজা (৩৩), নলমা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে সালমান জাহান জান্নাত (২১) এবং জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তরুনীআটা গ্রামের ফজলুল হক।
এ সময় লুন্ঠিত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। মূলত মোটরসাইকেলের জন্য তারা ওয়ার্কশপ কর্মচারীকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ জানায়৷
সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দীন প্রেস ব্রিফ্রিং এ তথ্য জানান।
ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দীন বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঘাটাইল উপজেলায় মনির ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপের ভিতর থেকে নাহিদ হাসান নামের এক ওয়ার্কসপ কর্মচারীর লা*শ উদ্ধার করা হয়। এসময় হত্যাকারীরা একটি মোটরসাইকেল লুন্ঠন করে নিয়ে যায়। পরে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়।
মামলার প্রধান আসামি হ*ত্যার সাথে সরাসরি জড়িত সোহাগকে যাত্রাবাড়ীর কদমতলী এলাকা থেকে রোরবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্যমতে অপর আসামী নাজমুলকে গোলাবাড়ি বাস স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়। নাজমুলের দেয়া তথ্যমতে খাদিজাকে গ্রেফতার করা হয়। খাদিজার দেয়া তথ্যমতে অন্য দুই আসামীকে গ্রেফতার করি। সোহাগ লুন্ঠিত মোটরসাইকেলের জন্য নাহিদকে হত্যা করে। এই হত্যা মামলার আসামী সোহাগ কথিত খালাতো ভাই ছিল নাহিদের। ঘটনার দিন ওই ওয়ার্কশপের ওখান দিয়ে তাদের দেখা যায়।
তিনি আরো বলেন, সোহাগকে জিজ্ঞেসাবাদ করা হলে সে জানায়, নাহিদ আমার খালাতো ভাই হয়। তার মূল পরিকল্পনা ছিল এই মোটরসাইকেল নিবে। পূর্ব পরিকল্পনাভাবে নাহিদকে হত্যা করে মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। এই মোটরসাইকেল সরানোর জন্য সহযোগিতা করেছে সোহাগের মা খাদিজা। গ্রেফতারকৃতদের জবানবন্দির জন্য টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে৷