৩৩৮ ওসি, ১১০ ইউএনও’র বদলির প্রস্তাব ইসিতে
- আপডেট টাইম : ০৯:১২:৫৬ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৯৭ ৫০০০.০ বার পাঠক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে থানার ৩৩৮ জন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবং আরও ১১০ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বদলির অনুমতি চেয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৬ ডিসেম্বর ২৩ ইং এমন প্রস্তাব দুটি মন্ত্রণালয় থেকে এসেছে বলে জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বুধবার ওসি ও ইউএনও বদলির প্রস্তাব এলে সেটি অনুমোদনের জন্য কমিশনারদের কাছে ফাইলটি পাঠানো হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেটি অনুমোদন হয়নি। আশা করছি আজ বৃহস্পতিবার ফাইল অনুমোদন হবে। ওসি ও ইউএনও বদলির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
গত ৩০ নভেম্বর সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সব থানার ওসিকে বদলি করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেয় নির্বাচন কমিশন। এজন্য কাদের বদলি করা হবে, সেই প্রস্তাব পাঠানোর জন্য বলে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। এই লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব থানার ওসির বর্তমান কর্মস্থলে ছয় মাস এবং ইউএনওদের এক বছরের বেশি চাকরিকাল সম্পন্ন হয়েছে, তাদের অন্য জায়গায় বদলির নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সেই নির্দেশনার আলোকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রস্তাব পাঠালে ৪৭ জন ইউএনওকে ইতিমধ্যে বদলির অনুমোদন দিয়েছে ইসি। আরও ২০ জনের মতো অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আর ওসি এখনো বদলি হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ৩৩৮ জন ওসি এবং ১১০ জন ইউএনও বদলির প্রস্তাব পেল কমিশন।
এর আগে ৩০ নভেম্বর পুলিশের আইজিপি, জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা দুই সিনিয়র সচিবের সঙ্গে ওসি ও ইউএনও বদলি নিয়ে বৈঠকে বসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
ঐ বৈঠকের বিষয়ে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, তারা তাদের নিজ নিজ দপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে কমিশনকে অবহিত করেছেন। বিশেষ করে আইজিপি ও জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণনা দিয়েছেন। নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে কমিশনকে জানিয়েছেন।
ইসি সচিব বলেন, আর বিকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব প্রশাসনিক কোনো বিষয়ে কোনো নির্দেশনা রয়েছে কি না, তা নিয়ে কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। কমিশন তার বক্তব্য শুনেছে এবং সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে। সেভাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য, ইসির ঘোষিত তপসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এখন রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক বাতিল প্রার্থীদের আপিল গ্রহণ চলছে। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিল শুনানি চলবে। ১৭ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করা হবে প্রার্থীদের মধ্যে।