ঢাকা ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
পীরগঞ্জে শিশু শিক্ষার্থী লাবণ্য আক্তার হত্যায় দুইজন গ্রেফতার ঠাকুরগাঁওয়ে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সম্মেলন রাশিয়ার আত্মরক্ষার অধিকার আছে: কিম জং উন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন নির্বাচন ঘিরে দুই কৌশলে প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত ভারতকে বাস্তবতার নিরিখে সম্পর্ক বিনির্মাণের বার্তা পররাষ্ট্র উপদেষ্টার পেঁয়াজ আলু তেলের মূল্য বৃদ্ধির নেপথ্যে আমদানিকারক ও আড়তদার সিন্ডিকেট টঙ্গী মাজার বস্তিতে মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন সাজাপ্রাপ্ত আসামী “সাহাবুদ্দিন ও কিং বাবু পর্ব ১ দাপুটে জয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের ভারতের সংসদে বাংলাদেশ নিয়ে জয়শঙ্করের বিবৃতি ১২নং চান্দ্রায় বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর ইউনিয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

চাঞ্চল্যকর মনা হত্যার রহস্য উদঘাটনে ১২ জন আসামী গ্রেফতার ও ৩ টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জানাদি উদ্ধার

পাবনা প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : ১২:০৬:০১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১০৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

গত ১৭ জুন,পাবনার ইশ্বরদী লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নে পাকুড়িয়া গ্রামস্থ এমপি মার্কেটে ইকবুলের অফিসে আড্ডা দেওয়া অবস্থায় রাত আনুমানিক ১০:২০ ঘটিকার দিকে তিনজন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকের পোষাক পরিহিত ও হেলমেট পরিধান করে মোটরসাইকেল যোগে ছাত্রলীগ নেতা তাসফির আহম্মেদ মনাকে ৫/৬ রাউন্ড গুলি করে এবং মৃত্যু নিশ্চিত করে দ্রুত পালিয়ে যায়।নৃশংসভাবে হত্যা করার পরিপ্রেক্ষিতে ইশ্বরদী থানায় ১৯ জুন,হত্যা মামলা দায়ের করে ছাত্রলীগ নেতা মনার “মা,, নাহিদা আক্তার লিপি।এই হত্যা মামলা রহস্য উদঘাটন করে পাবনা জেলা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সির নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন ও অর্থ) মাসুদ আলমের সার্বিক তত্বাবধানে গোপন সংবাদ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় ইশ্বরদী থানা এবং ওসি ডিবি এমরান মাহমুদ তুহিনের নেতৃত্বে ডিবির একটি চৌকস যৌথ টিম হত্যাকান্ডের অন্যতম মূলহোতা ও সরাসরি অংশগ্রহণকারী আসামী ইশ্বরদী উপজেলার দিয়ার সাহাপুর গ্রামের মহিদুলের ছেলে অনিক(২৭)কে গ্রেফতার করে।তার দেওয়া তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা,গাজীপুর,কুষ্টিয়া এবং পাবনার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিলিং মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণ কারী আসামী নতুন রুপপুর গ্রামের ইউনূসের ছেলে মানিক(৩৬)সহ আরো নয়জন আসামীকে গ্রেফতার করে।গ্রেফতারকৃত আসামী উভয় সাং নতুন রুপপুর গ্রামের আতিয়ারের ছেলে চমন(৩৮) ও আজিজের ছেলে রাজীব(৩০),চরসাহাপুর গ্রামের আক্তার সরদারের ছেলে শাহিন(২৮)উভয় সাং চররুপপুর জহুরুলের ছেলে আরিফুল(৩২), মনিরুল(৩৪),বাবলুর ছেলে লিখন ওরফে ফারুক(৩৭) ও মৃত্যু গফুর মালিথার ছেলে সারোয়ার মালিথা(৪০)।সলিমপুর গ্রামের শাহজাহানের ছেলে অবুঝ(৩৭),ফুট মার্কেট এলাকার এনাম বিশ্বাসের ছেলে মোস্তাফিজুর ওরফে রকি(৩০) এবং লক্ষীকুন্ডা গ্রামের মাহফুজুর ওরফে কালা(৩৫)।

মানিক ও অনিকের ভাড়া বাসা ইশ্বরদী জিগাতলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১টি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানাসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম এবং ০৩টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে।কারখানাটিতে অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরী করা হতো যা পরর্বতীতে বিভিন্ন অপরাধ সংগঠনে ব্যবহার এবং অস্ত্র ব্যবসা করা হতো এমন তথ্য নিশ্চিত করে সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করেন পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী।সাংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন,এক নিখুঁত পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হচ্ছে মনা হত্যা।ঘটনার দিন আগ থেকেই মনা সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলো মনিরুল ও আরিফ।রাত সোয়া দশটার দিকে মোটরসাইকেল যোগে মানিক,অনিক এবং অজ্ঞাত ১ জন এমপি মার্কেটে এসে ট্রাক-লড়ি শ্রমিকের ঘরে বসে থাকা অবস্থায় মনাকে গুলি করে পালিয়ে যায়।ব্যাকআপ পার্টি হিসাবে ৫/৬ জন আসামী ঘটনাস্থলের আশেপাশে অবস্থান নেয়।এ সময় কিলিং মিশনে অংশগ্রহণ কারী ৩ জন মোটরসাইকেল যোগে নতুন হাটে যায়।সেখান থেকে অবস্থানকারী আসামী শাহিন এর প্রাইভেট কারে উঠে ইশ্বরদী বাইপাস রোডে আঁখ ক্ষেতে নিকিম কোম্পানির পোষাক এবং হেলমেট ফেলে দিয়ে জিগাতলার ভাড়া বাসায় ফেরত আসে।পরর্বতীতে ইশ্বরদী জয়নগর এলাকা থেকে উক্ত প্রাইভেট কার টি উদ্ধার করা হয়।উল্লেখ্য আছে এজাহারে তালিকাভুক্ত আসামী অবুঝের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে পাঁচটি মামলা বিচারাধীন মাহফুজুর ওরফে কালার বিরুদ্ধে চারটি মামলা বিচারাধীন আছে।মানিকের বিরুদ্ধে এগারোটি মামলা আছে,চমনের বিরুদ্ধে দশটি মামলা চলমান,ফসিউল আলম অনিকের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা চলমান আছে এবং রাজিবের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা বিচারাধীন অবস্থায় আছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চাঞ্চল্যকর মনা হত্যার রহস্য উদঘাটনে ১২ জন আসামী গ্রেফতার ও ৩ টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জানাদি উদ্ধার

আপডেট টাইম : ১২:০৬:০১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

গত ১৭ জুন,পাবনার ইশ্বরদী লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নে পাকুড়িয়া গ্রামস্থ এমপি মার্কেটে ইকবুলের অফিসে আড্ডা দেওয়া অবস্থায় রাত আনুমানিক ১০:২০ ঘটিকার দিকে তিনজন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকের পোষাক পরিহিত ও হেলমেট পরিধান করে মোটরসাইকেল যোগে ছাত্রলীগ নেতা তাসফির আহম্মেদ মনাকে ৫/৬ রাউন্ড গুলি করে এবং মৃত্যু নিশ্চিত করে দ্রুত পালিয়ে যায়।নৃশংসভাবে হত্যা করার পরিপ্রেক্ষিতে ইশ্বরদী থানায় ১৯ জুন,হত্যা মামলা দায়ের করে ছাত্রলীগ নেতা মনার “মা,, নাহিদা আক্তার লিপি।এই হত্যা মামলা রহস্য উদঘাটন করে পাবনা জেলা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সির নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন ও অর্থ) মাসুদ আলমের সার্বিক তত্বাবধানে গোপন সংবাদ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় ইশ্বরদী থানা এবং ওসি ডিবি এমরান মাহমুদ তুহিনের নেতৃত্বে ডিবির একটি চৌকস যৌথ টিম হত্যাকান্ডের অন্যতম মূলহোতা ও সরাসরি অংশগ্রহণকারী আসামী ইশ্বরদী উপজেলার দিয়ার সাহাপুর গ্রামের মহিদুলের ছেলে অনিক(২৭)কে গ্রেফতার করে।তার দেওয়া তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা,গাজীপুর,কুষ্টিয়া এবং পাবনার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিলিং মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণ কারী আসামী নতুন রুপপুর গ্রামের ইউনূসের ছেলে মানিক(৩৬)সহ আরো নয়জন আসামীকে গ্রেফতার করে।গ্রেফতারকৃত আসামী উভয় সাং নতুন রুপপুর গ্রামের আতিয়ারের ছেলে চমন(৩৮) ও আজিজের ছেলে রাজীব(৩০),চরসাহাপুর গ্রামের আক্তার সরদারের ছেলে শাহিন(২৮)উভয় সাং চররুপপুর জহুরুলের ছেলে আরিফুল(৩২), মনিরুল(৩৪),বাবলুর ছেলে লিখন ওরফে ফারুক(৩৭) ও মৃত্যু গফুর মালিথার ছেলে সারোয়ার মালিথা(৪০)।সলিমপুর গ্রামের শাহজাহানের ছেলে অবুঝ(৩৭),ফুট মার্কেট এলাকার এনাম বিশ্বাসের ছেলে মোস্তাফিজুর ওরফে রকি(৩০) এবং লক্ষীকুন্ডা গ্রামের মাহফুজুর ওরফে কালা(৩৫)।

মানিক ও অনিকের ভাড়া বাসা ইশ্বরদী জিগাতলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১টি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানাসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম এবং ০৩টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে।কারখানাটিতে অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরী করা হতো যা পরর্বতীতে বিভিন্ন অপরাধ সংগঠনে ব্যবহার এবং অস্ত্র ব্যবসা করা হতো এমন তথ্য নিশ্চিত করে সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করেন পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী।সাংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন,এক নিখুঁত পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হচ্ছে মনা হত্যা।ঘটনার দিন আগ থেকেই মনা সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলো মনিরুল ও আরিফ।রাত সোয়া দশটার দিকে মোটরসাইকেল যোগে মানিক,অনিক এবং অজ্ঞাত ১ জন এমপি মার্কেটে এসে ট্রাক-লড়ি শ্রমিকের ঘরে বসে থাকা অবস্থায় মনাকে গুলি করে পালিয়ে যায়।ব্যাকআপ পার্টি হিসাবে ৫/৬ জন আসামী ঘটনাস্থলের আশেপাশে অবস্থান নেয়।এ সময় কিলিং মিশনে অংশগ্রহণ কারী ৩ জন মোটরসাইকেল যোগে নতুন হাটে যায়।সেখান থেকে অবস্থানকারী আসামী শাহিন এর প্রাইভেট কারে উঠে ইশ্বরদী বাইপাস রোডে আঁখ ক্ষেতে নিকিম কোম্পানির পোষাক এবং হেলমেট ফেলে দিয়ে জিগাতলার ভাড়া বাসায় ফেরত আসে।পরর্বতীতে ইশ্বরদী জয়নগর এলাকা থেকে উক্ত প্রাইভেট কার টি উদ্ধার করা হয়।উল্লেখ্য আছে এজাহারে তালিকাভুক্ত আসামী অবুঝের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে পাঁচটি মামলা বিচারাধীন মাহফুজুর ওরফে কালার বিরুদ্ধে চারটি মামলা বিচারাধীন আছে।মানিকের বিরুদ্ধে এগারোটি মামলা আছে,চমনের বিরুদ্ধে দশটি মামলা চলমান,ফসিউল আলম অনিকের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা চলমান আছে এবং রাজিবের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা বিচারাধীন অবস্থায় আছে।