সিসিক নির্বাচনে জনগণের মন জয় করে চলেছেন আনোয়ারুজ্জামান, দোটানায় আরিফ
- আপডেট টাইম : ১০:৩৩:৩১ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৭ মে ২০২৩
- / ১৪৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন (নৌকা) পাওয়ার পর পরই সিলেটের বিদ্যুৎ লোডশেডিং এর সুরাহা করে উন্নয়নের ভূমিকায় এসেছেন। ভুক্তভোগী সাধারণ জনগণ নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেয়ে উন্নয়নের আলোচনায় এগিয়ে রেখেছেন আনোয়ারুজ্জামান কে।
আনোয়ারুজ্জামান কে সাথে নিয়ে নেতা কর্মীরা দিনরাত কাজ করছেন মাঠপর্যায়ে। যত সময় যাচ্ছে ততই ভোটের পাল্লা ভারী হচ্ছে নৌকার। জয় করে চলেছেন জনগণের মন।
আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সাথে আলাপকালে তিনি জানান, সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আমি যদি নির্বাচিত হই, তাহলে পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে একটি স্মার্ট নগরী উপহার দিব। নগরবাসীকে যাতে উন্নয়ন দুর্ভেোগ পোহাতে না হয়, সে ব্যাপারে সচেতন থেকে সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করব। সারাদেশের মধ্যে সিলেটই হবে সবচে দৃষ্টিনন্দন এবং বাসযোগ্য স্মার্ট নগরী।
আনোয়ার আরো বলেন, লাঠি হাতে শাসক নয়, সিলেট নগরবাসীর সেবক হিসাবে কাজ করতে চাই। তাদের সুখে সুখী আর দুখে দু:খী হয়ে জীবন কাটাতে এসেছি। ভোটের সময় অনুনয় বিনয় আর নির্বাচিত হওয়ার পর লাঠি হাতে শাসকের ভূমিকায় অবতীর্ন হওয়ার শিক্ষা আমি পাইনি।
তিনি বলেন, মানুষের ভালোবাসা পেতে তাদের জন্য কল্যাণকর কাজ করতে চাই। নগরভবনে সবাই যাতে সন্তোষজনক নাগরিক সেবা পান তা নিশ্চিত করতে নৌকায় ভোট দিন।
এদিকে ধোঁয়াশায় রয়েছেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। টানা দুইবারের নির্বাচিত মেয়র এবার অনেকটা সিদ্ধান্ত হীনতায় ভোগছেন। অবশ্য আগামী ২০ মে তিনি তার সিদ্ধান্তটা জানাবেন বলে জানিয়েছেন। আগের নির্বাচনগুলোতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু এবার নেই কোন আলোচনা নেই উচ্ছাস। বিএনপির নেতাকর্মীরা অপেক্ষায় আছেন আরিফ আগামী ২০ মে কি ঘোষণা দেবেন সেদিকে।
বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনেই বিএনপি অংশ নিচ্ছে না। কিন্তু সিলেটের মেয়র বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ নিতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। সিদ্ধান্তটি পরিস্কার করতে তিনি সময় নিচ্ছেন। মেয়রপদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৩ মে। তিনি ২০ মে নগরবাসীকে নিয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিলেও পুলিশ নির্বিাচরে মামলা দিয়ে, পেন্ডিং মামলায় গ্রেফতার করছে। বাসায় বাসায় তল্লাশী শুরু করেছে। তাতে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া নিয়ে সন্দেহ হয়। তাছাড়া সিলেটের জনগনের পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবো। আমি রাজনীতি করি জনগণের জন্য। জনগণই আমার শক্তি। তাদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতেই আমার সময় নেওয়া। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখের আগেই নগরবাসী জানবেন। অপেক্ষা করেন।’