ঢাকা ০৮:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

গোপালগঞ্জের আশরাফুলের আবিষ্কার ফ্লটিং হারভেষ্টার পানিতে ডুবে যাওয়া ধান কাটা মেশিন।

গোপালগেঞ্জ জেলার সদর উপজেলার নবীনবাগ এলাকার আশরাফুল আলম (তরিক) দীর্ঘ্য দিন গবেষনা করে তৈরি করেছে ফ্লটিং হারভেষ্টার মেশিন। গরিবের দুঃখ দূর্দশা লাঘবের নিমিত্তে বর্ষার মৌসুমে গরিব কৃষকের ধান পানিতে ডুবে গেলে এই ধান কাটা মেশিন ব্যবহার করে ধান ঘরে নিতে পারবে।

জানা যায়, নৌ-প্রকৌশলী বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং অফ মেরিন টেকনলজি ডিপার্টমেন্ট ফরিদপুর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে। কৃষি বিষয়ে ৪ বছর গবেষনা করেছেন এই আশরাফুল আলম (তরিক)।
বর্ষা ও বন্যার মৌসুমে বাংলাদেশের অধিকাংশ জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে যায়, সৃষ্টি হয় সাধারন কৃষকদের ভোগান্তী। পেট্রল ও ডিসি কারেন্ট ব্যাটারীর মাধ্যমে এই হারভেষ্টর মেশিন চালনো যাবে। ডিজেল ব্যবহারে মেশিনের ভাইব্রেশন হবে বলে এর ব্যবহার করে নাই। ফ্লটিং হারভেষ্টার মেশিন দুই প্রকার হবে হেভি ও সাধারন । সাধারন শমশিন দ্বারা দিনে দুই বিঘা ধান কাটা সম্ভব। হেভি মেশিনে দিনে সাত থেকে ১০ বিঘা জমির ধান কাটা সম্ভব। এই মেশিন দ্বারা এক থেকে দেড় ফিট পানির নিচের কাঁদা মাটি রোটিং সিষ্টেমে কাদা মাটি গুলিয়ে দিতে সক্ষম হবে।এই মেশিন চালাতে কোন অপারেটর এর প্রয়োজন নাই। পানির নিচে এই মেশিনের ওজন সাধারণত ৫/৭ কেজি হবে।পানির নিচের ধান কাটার সময় মেশিনে থাকা ওয়ার বেল্ট এর মাধ্যমে কাটা ধান ও খর আলাদা করতে সাহায্যে করবে। এলোমেনিয়ম এর তৈরী এই মেশিন বসানো হবে দুইটি ছোট নৌকা বা বেটের উপর।
এ ব্যপারে মেশিনটির আবিষ্কারক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম তরিখ বলেন, আমাদের দেশের গরীব কৃষকেরা বর্ষার মৌসুমে ডুবে যাওয়া ধান কাটতে না পেরে অনেক কষ্ঠ পায়। আমার এই ধান কাটা মেশিনের দ্বারা এই গরীব কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে। আমার তৈরী এম,এম মারডি মেরিন ফ্লটিং হারভেষ্ট মেসিন বাজারে আসলে বর্ষার মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকার কতৃক যে ভর্তূকী দেওয়া হয় তা কমে যাবে বলে আমি মনে করছি। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে আমার আকুল আবেদন আমার গবেষণার ফল পানির ভিতরে থাকা এই ধান কাটা মেশিনটি যাতে বাজার জাতের অনুমতি প্রদান করে সাধারন কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে সাহায্যে করতে মর্জি হয়।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গোপালগঞ্জের আশরাফুলের আবিষ্কার ফ্লটিং হারভেষ্টার পানিতে ডুবে যাওয়া ধান কাটা মেশিন।

আপডেট টাইম : ০৮:৪৪:০২ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩

গোপালগেঞ্জ জেলার সদর উপজেলার নবীনবাগ এলাকার আশরাফুল আলম (তরিক) দীর্ঘ্য দিন গবেষনা করে তৈরি করেছে ফ্লটিং হারভেষ্টার মেশিন। গরিবের দুঃখ দূর্দশা লাঘবের নিমিত্তে বর্ষার মৌসুমে গরিব কৃষকের ধান পানিতে ডুবে গেলে এই ধান কাটা মেশিন ব্যবহার করে ধান ঘরে নিতে পারবে।

জানা যায়, নৌ-প্রকৌশলী বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং অফ মেরিন টেকনলজি ডিপার্টমেন্ট ফরিদপুর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে। কৃষি বিষয়ে ৪ বছর গবেষনা করেছেন এই আশরাফুল আলম (তরিক)।
বর্ষা ও বন্যার মৌসুমে বাংলাদেশের অধিকাংশ জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে যায়, সৃষ্টি হয় সাধারন কৃষকদের ভোগান্তী। পেট্রল ও ডিসি কারেন্ট ব্যাটারীর মাধ্যমে এই হারভেষ্টর মেশিন চালনো যাবে। ডিজেল ব্যবহারে মেশিনের ভাইব্রেশন হবে বলে এর ব্যবহার করে নাই। ফ্লটিং হারভেষ্টার মেশিন দুই প্রকার হবে হেভি ও সাধারন । সাধারন শমশিন দ্বারা দিনে দুই বিঘা ধান কাটা সম্ভব। হেভি মেশিনে দিনে সাত থেকে ১০ বিঘা জমির ধান কাটা সম্ভব। এই মেশিন দ্বারা এক থেকে দেড় ফিট পানির নিচের কাঁদা মাটি রোটিং সিষ্টেমে কাদা মাটি গুলিয়ে দিতে সক্ষম হবে।এই মেশিন চালাতে কোন অপারেটর এর প্রয়োজন নাই। পানির নিচে এই মেশিনের ওজন সাধারণত ৫/৭ কেজি হবে।পানির নিচের ধান কাটার সময় মেশিনে থাকা ওয়ার বেল্ট এর মাধ্যমে কাটা ধান ও খর আলাদা করতে সাহায্যে করবে। এলোমেনিয়ম এর তৈরী এই মেশিন বসানো হবে দুইটি ছোট নৌকা বা বেটের উপর।
এ ব্যপারে মেশিনটির আবিষ্কারক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম তরিখ বলেন, আমাদের দেশের গরীব কৃষকেরা বর্ষার মৌসুমে ডুবে যাওয়া ধান কাটতে না পেরে অনেক কষ্ঠ পায়। আমার এই ধান কাটা মেশিনের দ্বারা এই গরীব কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে। আমার তৈরী এম,এম মারডি মেরিন ফ্লটিং হারভেষ্ট মেসিন বাজারে আসলে বর্ষার মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকার কতৃক যে ভর্তূকী দেওয়া হয় তা কমে যাবে বলে আমি মনে করছি। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে আমার আকুল আবেদন আমার গবেষণার ফল পানির ভিতরে থাকা এই ধান কাটা মেশিনটি যাতে বাজার জাতের অনুমতি প্রদান করে সাধারন কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে সাহায্যে করতে মর্জি হয়।