ঢাকা ১২:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
মনোহরদীতে মেয়াদ উর্ত্তীণ ঔষধ বিক্রি করায় ঔষধ ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড প্রদান লায়লা ও বাব্বির মিউজিক ভিডিও প্রেম করিবো সুজন চিনে নওগাঁ আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ ডাকাতি চক্রের অন্যতম সদস্য তারেক হাসান আটক রায়পুরে ভোটারদের সাথে মতবিনিময় সভা বাবাদের কে উৎসর্গ করে নাইম মুর্তজার নতুন গান খোকা পীরগন্জ সরকারি কলেজের আয়োজনে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত জৈবসার প্রয়োগ করে জামালপুরে চিচিংগার বাম্পার ফলন বড় ভাইয়ের শাশুড়িকে ধর্ষণ কিশোরগঞ্জ জেলার ৬ষ্ঠ ধাপে করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওলাদের প্রত্যাহার বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গাঙ্গুলী সমর্থনে, অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী রোড শো করলেন কোলাঘাটে

পাইকগাছায় যুগান্তরের সাংবাদিক পরিবারের জমি জবর দখলে ভূমিদস্যুদের অপচেষ্টা : লুটপাট

আদালতের রায়, ডিগ্রি, নিষেধাজ্ঞা ও প্রায় ৮০ বছরের দখলে থাকা খুলনার পাইকগাছায় সাংবাদিক মিজান ও তার শরীকদের সম্পত্তি জবর দখলের অপচেষ্টা করছে ভুমিদস্যুরা। ইতোমধ্যে তাদের চিংড়ী ঘেরের মাছ ও বাসার আসবাবপত্র লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে ভূমি দস্যুরা। এছাড়া সাংবাদিক মিজান ও তার পরিবারের লোকদের প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিচ্ছে পৌরসভার গোপালপুরের নাসির, মজিদ গোলদার ও তার ভাড়াটিয়ারা।

দৈনিক যুগান্তরের পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) জিএম মিজানুর রহমান। তিনি উপজেলার চেঁচুয়া গ্রামের মরহুম বিশে গাজীর ছেলে।

পাইকগাছা উপজেলার শিববাটী মোজায় সাংবাদিক মিজান ও তাদের পরিবারের ৪.৭ একর পৈত্রিক সম্পত্তি আছে। ১৯৪৪ সাল থেকে আজ পর্যন্ত যা তাদের দখলে। বিআরএস রেকর্ডসহ হাল খাজনা পরিশোধ সেই থেকে। এই জমি নিয়ে প্রথমদিকে বিরোধ দেখা দিলে ১৯৪৭ সালে আদালতে বাঁটোয়ারা ও স্বত্তপ্রচার মামলা হলে প্রতিপক্ষ কোনাই গোলদারদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ও চুড়ান্ত ডিগ্রি হয়।

এর পর আদালতে রেকর্ড সংশোধনীয় মামলা হয়, রায় অনুপাতে ৫৪ ধারায় এস এ রেকর্ড সংশোধন করে বিশে গাজীর নামে নামপত্তন হয়। এর পরও আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা মামলা করে রায় ডিগ্রি প্রাপ্ত হন বিশে গাজী। অবশেষে কোনাই গোলদাররা সবকটি মামলার হেরে যাওয়ায় তাদের আর কোন উপায় না থাকায় তার বোন ছবি বিবিকে দিয়ে ডিগ্রি রদের মামলা করায়। সে মামলায়ও হেরে যায় ছবি বিবি। পরে আবার আপিল মামলা করলে আদালত থেকে তা ডিসমিস হয়।

সম্প্রতি কিছু দালাল চক্র মামলায় হেরে যাওয়া কোনাই গোলদারের ওয়ারেশ ও ছবির ওয়ারেশদের নিয়ে এসএ রেকর্ড নিয়ে জমি দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ ৫৪ ধারায় আদালতের রায়ের মাধ্যমে রেকর্ড সংশোধন করে তা নামপত্তন করা হয়েছে।
পৌরসভার অভ্যন্তরের জমি ও দাম অনেক বেশি হওয়ায় পেশিশক্তি ব্যবহার করে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের নিয়ে জমি জবর দখলের অপচেষ্টা করছে।
এদিকে সাংবাদিক মিজানুর রহমান গংদের ঘেরের মাছ ও বাসার আসবাবপত্র লুটপাট করেছে ভূমি দস্যুরা। বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনা স্থলে গেলে ভাঙচুর লুটপাট কারীরা পালিয়ে যায়।

এদিকে সাংবাদিক মিজান, তার ভাই এ্যাড, জিএম আমজাদ হোসেন, ভ্রাতুষ্পুত্র খায়রুল, মিলনকে লাঞ্চিত করে নাসির গোলদার ও তার ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা। এব্যাপারে প্রতিবাদ করায় তারা প্রকাশ্য সাংবাদিক জিএম মিজানুর রহমান ও তার পরিবারকে জানমালের ক্ষয় ক্ষতির হুমকি দিচ্ছে। সাংবাদিক মিজান ও তাদের পরিবারের লোকজন এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
সাংবাদিক মিজান ও তাদের পরিবারের সদস্যরা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন পূর্বক জরুরী হস্তক্ষেপ ও আইনগত সহায়তার দাবী জানিয়েছেন।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মনোহরদীতে মেয়াদ উর্ত্তীণ ঔষধ বিক্রি করায় ঔষধ ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড প্রদান

পাইকগাছায় যুগান্তরের সাংবাদিক পরিবারের জমি জবর দখলে ভূমিদস্যুদের অপচেষ্টা : লুটপাট

আপডেট টাইম : ০৭:১৭:৩৪ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১৫ আগস্ট ২০২২

আদালতের রায়, ডিগ্রি, নিষেধাজ্ঞা ও প্রায় ৮০ বছরের দখলে থাকা খুলনার পাইকগাছায় সাংবাদিক মিজান ও তার শরীকদের সম্পত্তি জবর দখলের অপচেষ্টা করছে ভুমিদস্যুরা। ইতোমধ্যে তাদের চিংড়ী ঘেরের মাছ ও বাসার আসবাবপত্র লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে ভূমি দস্যুরা। এছাড়া সাংবাদিক মিজান ও তার পরিবারের লোকদের প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিচ্ছে পৌরসভার গোপালপুরের নাসির, মজিদ গোলদার ও তার ভাড়াটিয়ারা।

দৈনিক যুগান্তরের পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) জিএম মিজানুর রহমান। তিনি উপজেলার চেঁচুয়া গ্রামের মরহুম বিশে গাজীর ছেলে।

পাইকগাছা উপজেলার শিববাটী মোজায় সাংবাদিক মিজান ও তাদের পরিবারের ৪.৭ একর পৈত্রিক সম্পত্তি আছে। ১৯৪৪ সাল থেকে আজ পর্যন্ত যা তাদের দখলে। বিআরএস রেকর্ডসহ হাল খাজনা পরিশোধ সেই থেকে। এই জমি নিয়ে প্রথমদিকে বিরোধ দেখা দিলে ১৯৪৭ সালে আদালতে বাঁটোয়ারা ও স্বত্তপ্রচার মামলা হলে প্রতিপক্ষ কোনাই গোলদারদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ও চুড়ান্ত ডিগ্রি হয়।

এর পর আদালতে রেকর্ড সংশোধনীয় মামলা হয়, রায় অনুপাতে ৫৪ ধারায় এস এ রেকর্ড সংশোধন করে বিশে গাজীর নামে নামপত্তন হয়। এর পরও আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা মামলা করে রায় ডিগ্রি প্রাপ্ত হন বিশে গাজী। অবশেষে কোনাই গোলদাররা সবকটি মামলার হেরে যাওয়ায় তাদের আর কোন উপায় না থাকায় তার বোন ছবি বিবিকে দিয়ে ডিগ্রি রদের মামলা করায়। সে মামলায়ও হেরে যায় ছবি বিবি। পরে আবার আপিল মামলা করলে আদালত থেকে তা ডিসমিস হয়।

সম্প্রতি কিছু দালাল চক্র মামলায় হেরে যাওয়া কোনাই গোলদারের ওয়ারেশ ও ছবির ওয়ারেশদের নিয়ে এসএ রেকর্ড নিয়ে জমি দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ ৫৪ ধারায় আদালতের রায়ের মাধ্যমে রেকর্ড সংশোধন করে তা নামপত্তন করা হয়েছে।
পৌরসভার অভ্যন্তরের জমি ও দাম অনেক বেশি হওয়ায় পেশিশক্তি ব্যবহার করে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের নিয়ে জমি জবর দখলের অপচেষ্টা করছে।
এদিকে সাংবাদিক মিজানুর রহমান গংদের ঘেরের মাছ ও বাসার আসবাবপত্র লুটপাট করেছে ভূমি দস্যুরা। বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনা স্থলে গেলে ভাঙচুর লুটপাট কারীরা পালিয়ে যায়।

এদিকে সাংবাদিক মিজান, তার ভাই এ্যাড, জিএম আমজাদ হোসেন, ভ্রাতুষ্পুত্র খায়রুল, মিলনকে লাঞ্চিত করে নাসির গোলদার ও তার ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা। এব্যাপারে প্রতিবাদ করায় তারা প্রকাশ্য সাংবাদিক জিএম মিজানুর রহমান ও তার পরিবারকে জানমালের ক্ষয় ক্ষতির হুমকি দিচ্ছে। সাংবাদিক মিজান ও তাদের পরিবারের লোকজন এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
সাংবাদিক মিজান ও তাদের পরিবারের সদস্যরা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন পূর্বক জরুরী হস্তক্ষেপ ও আইনগত সহায়তার দাবী জানিয়েছেন।