ঢাকা ০৫:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
মৃত্যু সাগরে ডুবে, কর্তৃপক্ষ আর কত ঘুমাবে? ব্যারিস্টার পল্লব আচার্য আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট অফ বাংলাদেশ মোংলায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ অবশ্যই পুনর্বিবেচনার সুযোগ আছে: আইন উপদেষ্টা ঢাকার ২০ টি আসনে জামায়াতের প্রার্থী তালিকায় যারা ব্যাংক থেকে কারখানায় ফেরার পথে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনা প্রত্যাখ্যান ইরানের ড. রেজাউল করিম মসজিদের ইমাম হত্যা মামলার খুনিদের বাঁচাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে ৫ ব্যাংক মিলে হচ্ছে এক ব্যাংক: গভর্নর ৩০ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আবারও বসছে ঐকমত্য কমিশন রাজধানীতে ৫ মাসে ১৬৮ খুনের মামলা, আন্ডার ওয়ার্ল্ড গডফাদারের সংশ্লিষ্টতা

পাকিস্তান সীমান্তে ভারতীয় ৫ সেনাঘাঁটিতে গোলাগুলি

ভারত থেকে সংবাদদাতা
  • আপডেট টাইম : ০৬:২২:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫
  • / ৩৯ ১৫০.০০০ বার পাঠক

কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে টানা ৮ দিন ধরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতেও এই গোলাগুলি হয়েছে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। খবর এনডিটিভি।

এনিয়ে টানা আট রাত ধরে কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটল।

অবশ্য ভারতীয় গণমাধ্যমে গোলাগুলির বিষয়ে বরাবরের মতো পাকিস্তানকে দোষারোপ করা হলেও বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বা দেশটির সংবাদমাধ্যমে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর পাকিস্তান সেনাবাহিনী টানা অষ্টম রাতেও বিনা উসকানিতে গুলি চালিয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তানের বিভিন্ন চৌকি থেকে ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়। এই গুলির লক্ষ্য ছিল কুপওয়ারা, বারামুলা, পুঞ্চ, নওশেরা ও আখনুর—জম্মু ও কাশ্মীরের এই এলাকাগুলোর বিপরীতে থাকা ভারতীয় পোস্টগুলো। ভারতীয় সেনাবাহিনীও এই ৭৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তজুড়ে পালটা জবাব দিয়েছে।

গোলাগুলি এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন এপ্রিলের ২২ তারিখ পেহেলগাঁওয়ে ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে টানাপড়েন চরমে পৌঁছেছে। দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি নানা শাস্তিমূলক পদক্ষেপও নিচ্ছে।

এনডিটিভির দাবি, ভারত গত ২৪ এপ্রিল রাতে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করার কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে বিনা উসকানিতে গুলি চালাচ্ছে। আর গত মঙ্গলবার পাকিস্তান এই গুলি চালানোর ক্ষেত্র আরও বিস্তৃত করে আন্তর্জাতিক সীমান্তের পারগওয়াল সেক্টর পর্যন্ত নিয়ে যায়, যা জম্মু জেলার অন্তর্ভুক্ত।

ওই দিনই ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের মহাপরিচালক (ডিজিএমও) হটলাইন ফোনে কথা বলেন। এই আলোচনায় পাকিস্তানকে বিনা উসকানিতে গুলি চালানো বন্ধ করার জন্য সতর্ক করা হয়, এমন দাবিই করেছে পিটিআই।

পেহেলগাঁওয়ে হামলার পরদিনই ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কিছু পদক্ষেপ নেয়। এর মধ্যে ছিল সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত, আতারি সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করা এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক অবনতির ঘোষণা। ভারতের দাবি, হামলার সঙ্গে সীমান্তপারের সন্ত্রাসীদের সংযোগ আছে।

জবাবে পাকিস্তান তার আকাশসীমা ভারতীয় উড়োজাহাজের জন্য বন্ধ করে দেয় এবং ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে। এমনকি তৃতীয় দেশের মাধ্যমে বাণিজ্যও বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান।

এছাড়া পাকিস্তান ভারতের পানি চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে এবং হুঁশিয়ারি দেয়, পানি বন্ধ করে দেওয়া হলে সেটি যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পাকিস্তান সীমান্তে ভারতীয় ৫ সেনাঘাঁটিতে গোলাগুলি

আপডেট টাইম : ০৬:২২:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫

কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে টানা ৮ দিন ধরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতেও এই গোলাগুলি হয়েছে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। খবর এনডিটিভি।

এনিয়ে টানা আট রাত ধরে কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটল।

অবশ্য ভারতীয় গণমাধ্যমে গোলাগুলির বিষয়ে বরাবরের মতো পাকিস্তানকে দোষারোপ করা হলেও বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বা দেশটির সংবাদমাধ্যমে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর পাকিস্তান সেনাবাহিনী টানা অষ্টম রাতেও বিনা উসকানিতে গুলি চালিয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তানের বিভিন্ন চৌকি থেকে ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়। এই গুলির লক্ষ্য ছিল কুপওয়ারা, বারামুলা, পুঞ্চ, নওশেরা ও আখনুর—জম্মু ও কাশ্মীরের এই এলাকাগুলোর বিপরীতে থাকা ভারতীয় পোস্টগুলো। ভারতীয় সেনাবাহিনীও এই ৭৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তজুড়ে পালটা জবাব দিয়েছে।

গোলাগুলি এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন এপ্রিলের ২২ তারিখ পেহেলগাঁওয়ে ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে টানাপড়েন চরমে পৌঁছেছে। দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি নানা শাস্তিমূলক পদক্ষেপও নিচ্ছে।

এনডিটিভির দাবি, ভারত গত ২৪ এপ্রিল রাতে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করার কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে বিনা উসকানিতে গুলি চালাচ্ছে। আর গত মঙ্গলবার পাকিস্তান এই গুলি চালানোর ক্ষেত্র আরও বিস্তৃত করে আন্তর্জাতিক সীমান্তের পারগওয়াল সেক্টর পর্যন্ত নিয়ে যায়, যা জম্মু জেলার অন্তর্ভুক্ত।

ওই দিনই ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের মহাপরিচালক (ডিজিএমও) হটলাইন ফোনে কথা বলেন। এই আলোচনায় পাকিস্তানকে বিনা উসকানিতে গুলি চালানো বন্ধ করার জন্য সতর্ক করা হয়, এমন দাবিই করেছে পিটিআই।

পেহেলগাঁওয়ে হামলার পরদিনই ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কিছু পদক্ষেপ নেয়। এর মধ্যে ছিল সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত, আতারি সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করা এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক অবনতির ঘোষণা। ভারতের দাবি, হামলার সঙ্গে সীমান্তপারের সন্ত্রাসীদের সংযোগ আছে।

জবাবে পাকিস্তান তার আকাশসীমা ভারতীয় উড়োজাহাজের জন্য বন্ধ করে দেয় এবং ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে। এমনকি তৃতীয় দেশের মাধ্যমে বাণিজ্যও বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান।

এছাড়া পাকিস্তান ভারতের পানি চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে এবং হুঁশিয়ারি দেয়, পানি বন্ধ করে দেওয়া হলে সেটি যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হবে।