ঢাকা ০১:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
যেখানেই আইন লঙ্ঘন হবে পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থানিতে পিছু হটবেনা-ওসি কোতয়ালী টাঙ্গাইলে সমন্বয়ক পরিচয়ধারীদের পদ স্হগিত করলেন হাসনাত আবদুল্লাহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি রোববার পাকিস্তানের ‘জেএফ-১৭ থান্ডার’ যুদ্ধবিমানে আগ্রহ বাংলাদেশের পিডিবি সরকারি চাকরির আশ্বাস ১ লাখ ২২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিলেন প্রতারক হানিফ টঙ্গী থানা মহিলা যুবলীগ সভাপতি নাসরিন এর দাপটে হচ্ছে হত্যা আর অন্যের জমি জবর দখল! নাসরিনকে গ্রেফতারের দাবি ভুক্তভোগীদের ফরজ বিধান পর্দা যেখানে নাই, সেখানে রহমত নাই -ছারছীনার পীর ছাহেব ভ্যাট ও শুল্ক কমানোর দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে রেস্তোরা মালিক, শ্রমিকের মানববন্ধন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় বিএনপির মহাসচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ! ব্যাংক খাত ধ্বংসের শুরুটা হয় এসকে সুরের হাত দিয়ে

লটারিতে জেতা ১২৭ কোটি টাকার একটি অংশ বন্ধুদের দিলেন দম্পতি

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২১
  • / ২২৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

লটারিতে মোটা অঙ্কের অর্থ পেলে অনেকেই সেই কথা বন্ধুবন্ধবের কাছে প্রকাশ করতে চান না, পরে তারা ধার চেয়ে বসেন এ কথা ভেবে।

কিন্তু এক ব্রিটিশ দম্পতি কী করলেন লটারিতে ১২৭ কোটি টাকা জিতে, তা জানলে চোখ কপালে ওঠবে আপনার।

শ্যারন ও নাইজেল ম্যাথার দম্পতি ব্রিটেনে থাকেন। লটারি জিতে নিজেদের ভাগ্য পাল্টানোর প্রতি বরাবর দুজনেরই ঝোঁক ছিল।

২০১০ সালের আগে পর্যন্ত একাধিকবার লটারির টিকিট কেটেও তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু ফল মেলেনি। কিন্তু ২০১০ সালে তাদের ভাগ্যের শিকে ছেঁড়ে।

ইউরোপের অন্যতম বড় এবং জনপ্রিয় লটারি ইউরোমিলিয়নস লটারি জ্যাকপট।  ক্রোয়েশিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, স্পেন ও সুইডেনসহ ইউরোপের ১৮ দেশের নাগরিক এতে অংশ নিয়ে থাকেন। প্রতি শুক্রবার রাতে টিকিট কাটতে হয়।

শ্যারন-নাইজেলের মতো একাধিক মানুষ জ্যাকপট পেয়েছেন বা পেয়ে চলেছেন। কিন্তু ২০১০ সালে জ্যাকপট জেতার পর ওই দম্পতি এমন কিছু করেছিলেন, যা তাদের শিরোনামে নিয়ে আসে।

ওই বছর এক কোটি ২৪ লাখ আট হাজার পাউন্ড লটারি জেতেন তারা, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২৭ কোটি টাকা।

এ রকম একটি বিশাল অঙ্কের লটারি পেলে আগে সবাই নিজের স্বপ্নগুলো পূরণ করার কথা ভাবেন। কেউ স্বপ্নের বাড়ি কেনেন, কেউ বিদেশ ভ্রমণ করেন। শ্যারন-নাইজেলের চিন্তাভাবনা একেবারে আলাদা ছিল।

লটারির টাকা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত দুজনেই পুরো বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন। টাকা হাতে পাওয়ার পর তারা দুজনেই নিজেদের ৩০ জন কাছের মানুষের নাম বাছাই করতে শুরু করেন।

পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে থেকে যৌথভাবে ৩০ জনকে বেছে নেন তারা। তার পর প্রত্যেকের কাছে লটারির একটি অংশ চেক মারফত পাঠিয়ে দেন।

সিংহভাগ নিজেদের জন্যই রেখেছিলেন। দুই ছেলেমেয়ের জন্যও ভাবতে হয়েছিল তাদের।

কিন্তু শ্যারন-নাইজেল চেয়েছিলেন যতগুলো সম্ভব মানুষের জীবন বদলাতে। তাই এমন অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা।

এ ছাড়া ম্যানচেস্টারের একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকেও বড় অঙ্কের অর্থ দান করেছিলেন তারা। শিশু এবং বয়স্কদের দেখভাল করে এ সংস্থা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

লটারিতে জেতা ১২৭ কোটি টাকার একটি অংশ বন্ধুদের দিলেন দম্পতি

আপডেট টাইম : ০৯:৪৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২১

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

লটারিতে মোটা অঙ্কের অর্থ পেলে অনেকেই সেই কথা বন্ধুবন্ধবের কাছে প্রকাশ করতে চান না, পরে তারা ধার চেয়ে বসেন এ কথা ভেবে।

কিন্তু এক ব্রিটিশ দম্পতি কী করলেন লটারিতে ১২৭ কোটি টাকা জিতে, তা জানলে চোখ কপালে ওঠবে আপনার।

শ্যারন ও নাইজেল ম্যাথার দম্পতি ব্রিটেনে থাকেন। লটারি জিতে নিজেদের ভাগ্য পাল্টানোর প্রতি বরাবর দুজনেরই ঝোঁক ছিল।

২০১০ সালের আগে পর্যন্ত একাধিকবার লটারির টিকিট কেটেও তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু ফল মেলেনি। কিন্তু ২০১০ সালে তাদের ভাগ্যের শিকে ছেঁড়ে।

ইউরোপের অন্যতম বড় এবং জনপ্রিয় লটারি ইউরোমিলিয়নস লটারি জ্যাকপট।  ক্রোয়েশিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, স্পেন ও সুইডেনসহ ইউরোপের ১৮ দেশের নাগরিক এতে অংশ নিয়ে থাকেন। প্রতি শুক্রবার রাতে টিকিট কাটতে হয়।

শ্যারন-নাইজেলের মতো একাধিক মানুষ জ্যাকপট পেয়েছেন বা পেয়ে চলেছেন। কিন্তু ২০১০ সালে জ্যাকপট জেতার পর ওই দম্পতি এমন কিছু করেছিলেন, যা তাদের শিরোনামে নিয়ে আসে।

ওই বছর এক কোটি ২৪ লাখ আট হাজার পাউন্ড লটারি জেতেন তারা, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২৭ কোটি টাকা।

এ রকম একটি বিশাল অঙ্কের লটারি পেলে আগে সবাই নিজের স্বপ্নগুলো পূরণ করার কথা ভাবেন। কেউ স্বপ্নের বাড়ি কেনেন, কেউ বিদেশ ভ্রমণ করেন। শ্যারন-নাইজেলের চিন্তাভাবনা একেবারে আলাদা ছিল।

লটারির টাকা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত দুজনেই পুরো বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন। টাকা হাতে পাওয়ার পর তারা দুজনেই নিজেদের ৩০ জন কাছের মানুষের নাম বাছাই করতে শুরু করেন।

পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে থেকে যৌথভাবে ৩০ জনকে বেছে নেন তারা। তার পর প্রত্যেকের কাছে লটারির একটি অংশ চেক মারফত পাঠিয়ে দেন।

সিংহভাগ নিজেদের জন্যই রেখেছিলেন। দুই ছেলেমেয়ের জন্যও ভাবতে হয়েছিল তাদের।

কিন্তু শ্যারন-নাইজেল চেয়েছিলেন যতগুলো সম্ভব মানুষের জীবন বদলাতে। তাই এমন অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা।

এ ছাড়া ম্যানচেস্টারের একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকেও বড় অঙ্কের অর্থ দান করেছিলেন তারা। শিশু এবং বয়স্কদের দেখভাল করে এ সংস্থা।