ঢাকা ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রতারক বাবু যেন কাশিমপুর থানার একচ্ছত্র অধিপতি ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, বাকিদের কথা ব্যক্তিগত সারাদেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একটি মডেল উদ্ভাবন করেছেন কাজী আবেদ হোসেন নিখোঁজ সংবাদ  ঠাকুরগাঁওয়ে নাগরিক প্লাটফর্মের ত্রৈমাসিক সভা ও জেলা কমিটি পুনর্গঠন মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম

প্রকৃতির আইনেই ‘অবসানের পথে’ ইসরাইলি দখলদারিত্ব

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১২:০৭:৪৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১
  • / ২৬৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

সম্প্রতি গাজা যুদ্ধে পরাজিত পক্ষ হচ্ছে দুটি।  একটি ইসরাইল অপরটি হচ্ছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।  দুই পক্ষই যুদ্ধ চলাকালে জেরুজালেম, রামাল্লা এবং পশ্চিমতীরজুড়ে হওয়া বিক্ষোভ কঠোর হাতে দমনের চেষ্টা করে গেছে।  অধিকৃত পশ্চিমতীরে বিক্ষোভকারীদের গণহারে গ্রেফতারের পর পরিস্থিতি ‘শান্ত’ হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় গণমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং এডিটর-ইন-চিফ ডেভিড হিয়ার্স্ট এক নিবন্ধে এসব কথা লেখেন।তিনি লেখেন, এপ্রিলের পর থেকে ইসরাইলে দুই হাজার ১০০ ফিলিস্তিনি এবং পশ্চিমতীরে ১ হাজার ৮০০ জনকে গ্রেফতার করে ইহুদি দেশটির পুলিশ। আর রামাল্লা ভিত্তিক আইনজীবীদের সূত্রমতে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এসময়ের মধ্যে প্রতিরক্ষামূলক সুরক্ষার জন্য ২০ ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে।  অধিকাংশকে গ্রেফতার করা হয়েছে ‘সাম্প্রদায়িক কলহ সৃষ্টির লক্ষ্যে উসকানি’ এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধ ‘কুৎসা রটানো’র কারণে।

আরব সংখ্যালঘুদের আইনি সহায়তা দেওয়া সংগঠন আদালতের মতে, ইসরাইলের নাসরৎ শহরের পুলিশ স্টেশনকে ‘টর্চার রুম’ হিসেবে অভিহিত করা যায়।  যাদের গ্রেফতার করা হয়  তাদের ওই পুলিশ স্টেশনের টর্চার রুমে করা হয় অবর্ণনীয় নির্যাতন।  তাদের মাটিতে বসিয়ে রেখে হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় মাথা ফ্লোরের দিকে নিচু করে রাখতে বাধ্য করা হয়।  এরপর তাদের প্রচুর মারধর করা হয়, মারের চোটে কেউ মাথা তুলতে চাইলে বেড়ে যায় নির্যাতন।

আদালত জানাচ্ছে, যাদের গ্রেফতার করা হয় তাদের নির্যাতনের পর ওই টর্চার রুমের ফ্লোর রক্তে রঞ্জিত হয়ে যেত।

ফিলিস্তিনি বন্দি এবং সাবেক বন্দি বিষয়ক কর্তৃপক্ষ জানায়,  সম্প্রতি দেশজুড়ে গ্রেফতারের পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বর হামলা এবং তাদের ঘরবাড়ি এবং সম্পদের ক্ষতিসাধন করা হয়েছে।

কিন্তু ইসরাইল বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ কেউই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সক্ষম হয়নি। এর কারণ হিসেবে তারা খুঁজে পেয়েছে পুরোনো অবস্থায় ফিরে যাওয়ার পথ নেই, কারণ কিছু বিষয় মৌলিকভাবে বদলে গেছে।

দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের কাল্পনিক পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে 

সমস্যার দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের যে কাল্পনিক পরিকল্পনা এতদিন ধরে পশ্চিমা বিশ্ব লালন করেছে তা বলতে গেলে একপ্রকার ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

প্রকৃতির আইনেই ‘অবসানের পথে’ ইসরাইলি দখলদারিত্ব

আপডেট টাইম : ১২:০৭:৪৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

সম্প্রতি গাজা যুদ্ধে পরাজিত পক্ষ হচ্ছে দুটি।  একটি ইসরাইল অপরটি হচ্ছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।  দুই পক্ষই যুদ্ধ চলাকালে জেরুজালেম, রামাল্লা এবং পশ্চিমতীরজুড়ে হওয়া বিক্ষোভ কঠোর হাতে দমনের চেষ্টা করে গেছে।  অধিকৃত পশ্চিমতীরে বিক্ষোভকারীদের গণহারে গ্রেফতারের পর পরিস্থিতি ‘শান্ত’ হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় গণমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং এডিটর-ইন-চিফ ডেভিড হিয়ার্স্ট এক নিবন্ধে এসব কথা লেখেন।তিনি লেখেন, এপ্রিলের পর থেকে ইসরাইলে দুই হাজার ১০০ ফিলিস্তিনি এবং পশ্চিমতীরে ১ হাজার ৮০০ জনকে গ্রেফতার করে ইহুদি দেশটির পুলিশ। আর রামাল্লা ভিত্তিক আইনজীবীদের সূত্রমতে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এসময়ের মধ্যে প্রতিরক্ষামূলক সুরক্ষার জন্য ২০ ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে।  অধিকাংশকে গ্রেফতার করা হয়েছে ‘সাম্প্রদায়িক কলহ সৃষ্টির লক্ষ্যে উসকানি’ এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধ ‘কুৎসা রটানো’র কারণে।

আরব সংখ্যালঘুদের আইনি সহায়তা দেওয়া সংগঠন আদালতের মতে, ইসরাইলের নাসরৎ শহরের পুলিশ স্টেশনকে ‘টর্চার রুম’ হিসেবে অভিহিত করা যায়।  যাদের গ্রেফতার করা হয়  তাদের ওই পুলিশ স্টেশনের টর্চার রুমে করা হয় অবর্ণনীয় নির্যাতন।  তাদের মাটিতে বসিয়ে রেখে হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় মাথা ফ্লোরের দিকে নিচু করে রাখতে বাধ্য করা হয়।  এরপর তাদের প্রচুর মারধর করা হয়, মারের চোটে কেউ মাথা তুলতে চাইলে বেড়ে যায় নির্যাতন।

আদালত জানাচ্ছে, যাদের গ্রেফতার করা হয় তাদের নির্যাতনের পর ওই টর্চার রুমের ফ্লোর রক্তে রঞ্জিত হয়ে যেত।

ফিলিস্তিনি বন্দি এবং সাবেক বন্দি বিষয়ক কর্তৃপক্ষ জানায়,  সম্প্রতি দেশজুড়ে গ্রেফতারের পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বর হামলা এবং তাদের ঘরবাড়ি এবং সম্পদের ক্ষতিসাধন করা হয়েছে।

কিন্তু ইসরাইল বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ কেউই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সক্ষম হয়নি। এর কারণ হিসেবে তারা খুঁজে পেয়েছে পুরোনো অবস্থায় ফিরে যাওয়ার পথ নেই, কারণ কিছু বিষয় মৌলিকভাবে বদলে গেছে।

দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের কাল্পনিক পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে 

সমস্যার দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের যে কাল্পনিক পরিকল্পনা এতদিন ধরে পশ্চিমা বিশ্ব লালন করেছে তা বলতে গেলে একপ্রকার ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।