২৭ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাতের দায়ে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানায় একব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মামলার বিবরণে জানা যায়, সীতাকুন্ড থানার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের উত্তর ঘোড়ামরা জোড়ামতল গ্রামের অধিবাসী আব্দুল মান্নানের ছেলে মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম (প্রাক্তন মেম্বার) বিগত ২০১১ সালে জমি বিক্রি করার কথা বলে একই থানাধীন সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ঘোড়ামরা গ্রাম নিবাসী সাউদি আরব প্রবাসী মোহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিনের নিকট থেকে ২৭ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন।
দীর্ঘ ১৪/১৫ বছর পার হলেও তৌফিকুল ইসলাম জমি বিক্রি না করে নানারকম টালবাহানা করতে থাকে। জমি ক্রয়ের জন্য টাকা দাতা মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিন জমি বিক্রি অথবা তার টাকা ফেরৎ দেয়ার জন্য তৌফিকুল ইসলামকে বার বার তাগাদা দেন। কিন্তু তৌফিকুল ইসলাম কোনো কর্ণপাত করেননি। এ বিষয়ে স্থানীয় গণ্য-মান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বেশ কয়েকবার সালিশী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে গণ্য-মান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে অভিযুক্ত তৌফিকুল ইসলাম টাকা ফেরৎ দেয়ার অঙ্গীকার করেন। তবে পরবর্তীতে তিনি টাকা ফেরৎ না দিয়ে আবারো গড়িমসি করতে থাকেন। মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিন জানান, অনেক পরিশ্রমের মাধ্যমে রোজগার করে জমানো টাকা জমি ক্রয়ের জন্য দিয়ে আজ আমি সর্বস্বান্ত ও দিশেহারা। নিরুপায় হয়ে মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলামকে বিবাদী করে চট্টগ্রাম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করি।
মামলা নং-সিআর ৩০১/২৫। জানা যায় উক্ত মামলার শুনানী শেষে আদালত বিবাদী মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে।
আদালত কর্তৃক গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির পর তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায় অভিযুক্ত মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম এলাকায় নেই। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলামের বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে সীতাকুন্ড থানায় যোগাযোগ করে জানা যায়, অভিযুক্তকে আটকের জন্য পুলিশ বেশ কয়েকবার তার বাড়ীতে যায়। কিন্তু তিনি বাড়ীতে না থাকায় তাকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশ তাকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে থানা থেকে জানানো হয়।
প্রিন্ট
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম।। 




















