বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, “হাসিনার ফাঁসির রায় দেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে। বিচারব্যবস্থা নিজস্ব গতিতে কাজ করছে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এ ধরনের রায় জনগণের আস্থা আরও সুদৃঢ় করবে।”
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ইসলামী একাডেমি (বিআইএ) কনফারেন্স হলে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের কর্মপরিষদ বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর নজরুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন নগর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুরুল আমিন।
মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গণতান্ত্রিক অধিকার এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সংগঠনের নেতাকর্মীদের আরও সচেতন, সংগঠিত ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি দাবি করেন, জনগণের অধিকার রক্ষা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় জামায়াতে ইসলামী ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে চায়।
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান প্রেক্ষাপটে ইসলামী মূল্যবোধভিত্তিক নেতৃত্ব ও সুশাসনের প্রয়োজনীয়তা আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে জামায়াত তার নীতিগত অবস্থানে অটল থাকবে এবং গণমানুষ দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিয়ে আমাদের প্রার্থীদের সংসদে পাঠাবে।”
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—জামায়াত নেতা আফসার উদ্দিন চৌধুরী, মহানগরী মজলিসে শূরার সদস্য ড. আবু বকর রফিক আহমদ, অধ্যক্ষ মাওলানা সাইয়্যেদ আবু নোমান, নগর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, মোহাম্মদ উল্লাহ, ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস, মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম-১০ আসনের প্রার্থী অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, চট্টগ্রাম-৯ আসনের প্রার্থী ডা. একেএম ফজলুল হক, অধ্যাপক লিয়াকত আক্তার সিদ্দিকী, ডা. ছিদ্দিকুর রহমান, এস এম লুৎফর রহমান, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, হামেদ হাসান ইলাহী, মাওলানা মমতাজুর রহমান, আমির হোছাইন, প্রফেসর মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, অধ্যক্ষ মাওলানা জাকের হোসাইন, ড. মাহবুবুর রহমান ও মাহমুদুল আলম প্রমুখ।
প্রিন্ট
প্রতি নিধিঃ চট্টগ্রাম 




















