ঢাকা ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রতারক বাবু যেন কাশিমপুর থানার একচ্ছত্র অধিপতি ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, বাকিদের কথা ব্যক্তিগত সারাদেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একটি মডেল উদ্ভাবন করেছেন কাজী আবেদ হোসেন নিখোঁজ সংবাদ  ঠাকুরগাঁওয়ে নাগরিক প্লাটফর্মের ত্রৈমাসিক সভা ও জেলা কমিটি পুনর্গঠন মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মমতা

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৪:৫৫ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৫ মে ২০২১
  • / ২১৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি করে তৃতীয়বারের মতো আজ বুধবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে প্রকাশ্য মঞ্চে নয়, রাজ্যের রাজভবনের থ্রোন রুমে। করোনা বাড়বাড়ন্তের কারণে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল অনাড়ম্বরহীন ও সংক্ষিপ্ত।

আজ বুধবার (৫ মে) সকাল ১০টায় কালীঘাটের বাড়ি থেকে বের হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বরাবরের মতোই পশ্চিম দিকের গেট দিয়েই রাজভবনে প্রবেশ করেন তিনি। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর স্থানীয় সময় পৌনে ১১টা নাগাদ জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হয় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান।

বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুই মিনিটের শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকাড়। প্রোটেম স্পিকার হিসেবে শপথ নিলেন প্রবীণতম সদস্য সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও।

উপস্থিত ছিলেন মাত্র ২০-২৫ জনের মতো। আড়ম্বড়হীন হলেও অনুষ্ঠানের একাধিক বিরোধীদলীয় নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও অনেকেই ছিলেন না। উপস্থিত ছিলেন না সৌরভ গাঙ্গুলীও। এছাড়া অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকেও। কিন্তু তিনি অসুস্থ থাকার কারণে উপস্থিত ছিলেন না।

উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের গতবারের বিরোধীদল কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য। এছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মমতার ভাইপো ও দলের যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, উপস্থিত ছিলেন এবারের ভোট পরিচালক প্রশান্ত কিশোর, দলের নেতা বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, অভিনেতা সংসদ সদস্য দেব, শতাব্দী প্রমুখ। নবনির্বাচিত বিধায়করা বৃহস্পতি ও শুক্রবার শপথ নেবেন। রাজ্যের মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠান হবে রোববার (৯ মে) রাজভবনে।

আধঘণ্টার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষ করে সাড়ে ১১টায় তৃতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নবান্নে ঢুকবেন মমতা। তার অপেক্ষায় ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয়েছে রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দপ্তরে। এখানে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবে কলকাতা পুলিশের ব্যান্ড। গার্ড অব অনারও দেওয়া হবে। একটি পোডিয়ামও রাখা হচ্ছে। সেখানে বক্তব্যও রাখতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর নবান্নের ১৪ তলায় উঠে নিজের ঘরে গিয়ে বসবেন মমতা। তারপরই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তার প্রথম প্রশাসনিক কাজ হবে করোনা নিয়ন্ত্রণে শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক।

পশ্চিমবঙ্গে একুশের বিধানসভায় ২১৩ আসন পেয়ে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস। গোটা দেশ দেখলো মোদীবিরোধী মুখ আর কেউ নয়, একমাত্র মমতা বন্দোপাধ্যায়। যার প্রভাব পড়বে ভারতে জাতীয়স্তরের রাজনীতিতে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মমতা

আপডেট টাইম : ০৬:৪৪:৫৫ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৫ মে ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি করে তৃতীয়বারের মতো আজ বুধবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে প্রকাশ্য মঞ্চে নয়, রাজ্যের রাজভবনের থ্রোন রুমে। করোনা বাড়বাড়ন্তের কারণে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল অনাড়ম্বরহীন ও সংক্ষিপ্ত।

আজ বুধবার (৫ মে) সকাল ১০টায় কালীঘাটের বাড়ি থেকে বের হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বরাবরের মতোই পশ্চিম দিকের গেট দিয়েই রাজভবনে প্রবেশ করেন তিনি। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর স্থানীয় সময় পৌনে ১১টা নাগাদ জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হয় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান।

বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুই মিনিটের শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকাড়। প্রোটেম স্পিকার হিসেবে শপথ নিলেন প্রবীণতম সদস্য সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও।

উপস্থিত ছিলেন মাত্র ২০-২৫ জনের মতো। আড়ম্বড়হীন হলেও অনুষ্ঠানের একাধিক বিরোধীদলীয় নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও অনেকেই ছিলেন না। উপস্থিত ছিলেন না সৌরভ গাঙ্গুলীও। এছাড়া অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকেও। কিন্তু তিনি অসুস্থ থাকার কারণে উপস্থিত ছিলেন না।

উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের গতবারের বিরোধীদল কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য। এছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মমতার ভাইপো ও দলের যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, উপস্থিত ছিলেন এবারের ভোট পরিচালক প্রশান্ত কিশোর, দলের নেতা বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, অভিনেতা সংসদ সদস্য দেব, শতাব্দী প্রমুখ। নবনির্বাচিত বিধায়করা বৃহস্পতি ও শুক্রবার শপথ নেবেন। রাজ্যের মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠান হবে রোববার (৯ মে) রাজভবনে।

আধঘণ্টার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষ করে সাড়ে ১১টায় তৃতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নবান্নে ঢুকবেন মমতা। তার অপেক্ষায় ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয়েছে রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দপ্তরে। এখানে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবে কলকাতা পুলিশের ব্যান্ড। গার্ড অব অনারও দেওয়া হবে। একটি পোডিয়ামও রাখা হচ্ছে। সেখানে বক্তব্যও রাখতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর নবান্নের ১৪ তলায় উঠে নিজের ঘরে গিয়ে বসবেন মমতা। তারপরই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তার প্রথম প্রশাসনিক কাজ হবে করোনা নিয়ন্ত্রণে শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক।

পশ্চিমবঙ্গে একুশের বিধানসভায় ২১৩ আসন পেয়ে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস। গোটা দেশ দেখলো মোদীবিরোধী মুখ আর কেউ নয়, একমাত্র মমতা বন্দোপাধ্যায়। যার প্রভাব পড়বে ভারতে জাতীয়স্তরের রাজনীতিতে।