ঢাকা ০৩:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বিশ্ব কেন ফিলিস্তিনিদের কান্না দেখতে পায় না? Logo কক্সবাজারে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে একই পরিবারের ৫ জন নিহত Logo উগান্ডা থেকে নিউইয়র্ক—সর্বকনিষ্ঠ ও প্রথম মুসলিম মেয়র মামদানির অভূতপূর্ব উত্থান Logo হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ডা: শাখায়াত হাসান জীবন আজমিরীগঞ্জ বানিয়াচংয়ে উচ্ছ্বাস Logo পটুয়াখালী-২ আসনে এনসিপি-জামায়াতে উচ্ছ্বাস, বিএনপিতে বিষাদ Logo ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন মাগুরা-২ আসনে ধানের শীষের কান্ডারী এ্যাড. নিতাই রায় চৌধুরী Logo ফরিদপুরে চেয়ারম্যানের শেল্টারে চায়না দুয়ারি জালের কারখানার রমরমা ব্যবসা, প্রশাসনের অভিযানে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা Logo রয়টার্সের প্রতিবেদন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিশের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আদানি গ্রুপ Logo টানা কমছে দেশের রপ্তানি আয়, সামনে আরও কমার আশঙ্কা Logo বিএনপির ফাঁকা রাখা ৬৩ আসনে অগ্রাধিকার পাবেন যারা

আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ৬ দলিল লেখক বরখাস্ত

আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ৬জন সনদধারী দলিল লেখকদের রাষ্ট্রীয় ক্ষতিকারক ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে তাঁদের সনদের কার্যকারিতা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে এবং অফিস প্রাঙ্গণে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে আশুলিয়া সাবরেজিস্ট্রি অফিস থেকে জারি করা এক অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উল্লিখিত ব্যক্তিদের কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রীয় স্বার্থবিরোধী এবং প্রশাসনিক শৃঙ্খলাবিরোধী হওয়ায় এ কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

স্থগিতকৃত সনদধারীরা হলেন— মো. আলমগীর হোসেন (সনদ নং–১০৮ সাভার), মো. মোতালেব হোসেন (সনদ নং–৪১২, সাভার), অনিক হাসান দিলবর (সনদ নং–৪১৮, সাভার), মো. রেজাউল করিম (সনদ নং–২০৭, সাভার), মো. ফজলুর রহমান (সনদ নং–১৩৮, সাভার) এবং মো. মনসুর রহমান (সনদ নং–১৫, আশুলিয়া)।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, রাষ্ট্রীয় স্বার্থের পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে এই প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাঁদের অফিসে প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

প্রয়োজনে তাঁদের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

একাধিক সূত্র জানায়, সম্প্রতি এই ৬ জন দলিল লেখকের বিরুদ্ধে রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর বিষয়টি তদন্তে আসে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে রাষ্ট্রীয় স্বার্থের পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়ার পরই এই কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

স্থানীয় প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, রাষ্ট্রের ক্ষতি হয় এমন কোনো কর্মকাণ্ড বা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের পরিবেশ সুশৃঙ্খল রাখতে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

এদিকে এই সিদ্ধান্তে এলাকাজুড়ে আলোচনার ঝড় বইছে। স্থানীয়রা প্রশাসনের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলছেন, এতে রেজিস্ট্রি অফিসে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্ব কেন ফিলিস্তিনিদের কান্না দেখতে পায় না?

আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ৬ দলিল লেখক বরখাস্ত

আপডেট সময় ১১:১১:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ৬জন সনদধারী দলিল লেখকদের রাষ্ট্রীয় ক্ষতিকারক ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে তাঁদের সনদের কার্যকারিতা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে এবং অফিস প্রাঙ্গণে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে আশুলিয়া সাবরেজিস্ট্রি অফিস থেকে জারি করা এক অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উল্লিখিত ব্যক্তিদের কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রীয় স্বার্থবিরোধী এবং প্রশাসনিক শৃঙ্খলাবিরোধী হওয়ায় এ কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

স্থগিতকৃত সনদধারীরা হলেন— মো. আলমগীর হোসেন (সনদ নং–১০৮ সাভার), মো. মোতালেব হোসেন (সনদ নং–৪১২, সাভার), অনিক হাসান দিলবর (সনদ নং–৪১৮, সাভার), মো. রেজাউল করিম (সনদ নং–২০৭, সাভার), মো. ফজলুর রহমান (সনদ নং–১৩৮, সাভার) এবং মো. মনসুর রহমান (সনদ নং–১৫, আশুলিয়া)।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, রাষ্ট্রীয় স্বার্থের পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে এই প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাঁদের অফিসে প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

প্রয়োজনে তাঁদের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

একাধিক সূত্র জানায়, সম্প্রতি এই ৬ জন দলিল লেখকের বিরুদ্ধে রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর বিষয়টি তদন্তে আসে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে রাষ্ট্রীয় স্বার্থের পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়ার পরই এই কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

স্থানীয় প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, রাষ্ট্রের ক্ষতি হয় এমন কোনো কর্মকাণ্ড বা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের পরিবেশ সুশৃঙ্খল রাখতে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

এদিকে এই সিদ্ধান্তে এলাকাজুড়ে আলোচনার ঝড় বইছে। স্থানীয়রা প্রশাসনের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলছেন, এতে রেজিস্ট্রি অফিসে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে।


প্রিন্ট