বিরামপুরে গভির নলকূপ এরিয়ায় অনুমতি বিহীন সোলার প্যানেল স্থাপনের অভিযোগ

- আপডেট টাইম : ১২:৩৫:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
- / ২ ৫০০০.০ বার পাঠক
দিনাজপুরের বিরামপুর থানায় গভির নলকূপ কমান্ডিং এরিয়ায় উপজেলা সেচ কমিটির অনুমতি ছাড়ায় সোলার প্যানেল স্থাপন, গভির নলকূপটি ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে বন্ধের পায়তারা করতে আবাসিক ভাবে ব্যবহৃত সাবমারসেবল পাম্প থেকে অবৈধভাবে কৃষি জমিতে সেচ দেয়ায় ও গভির নলকূপের পানির আইল কেটে জনৈক রানা হোসেনর জমিতে দেয়ার অভিযোগে সোলার প্যানেল মালিক মোস্তাক আহম্মেদ সহ ৫ জনকে বিবাদী করে গত ৯ মার্চ গভির নলকূপ মালিক ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে বিরামপুর থানায় পৃথক অভিযোগ দাযের করেছেন।
বাদীর বক্তব্য ও বিরামপুর থানায় অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ৮ মার্চ ভোর রাতে গভির নলকূপের লাইনম্যান দেউল গ্রামের কুমর উদ্দিনের ছেলে ফারুক হোসেন পানির লাইন চেক করতে গিয়ে বিবাদী রানা হোসেনের জমিতে গ়ভির নলকূপের পানি চুরিকরে কেটে নেয়ার দৃশ্য দেখতে পান। বিষয়টি মুঠোফোনে গভির নলকূপের মালিক আলহাজ্ব ইদ্রিস আলী মাস্টারকে জানালে তিনি স্বস্ত্রীক ঘটনাস্থলে এলে বিবাদী দেউল গ্রামের মৃত: ফজলুর রহমানের ছেলে মোস্তাক আহম্মেদ, তার ছেলে মনিরুজ্জামান, মেয়ের জামাই পাতহাট গ্রামের আলতাফ মাহমুদের ছেলে সোহাগ হোসেন চড়াও হয়ে উঠেন। এ সময় বিবাদী ও তাদের পরিবারের লোকজন একত্রিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকলে আমরা এর কারণ জানতে চাই, এর প্রতিবাদ করি। এ সময় বিবাদীরা একত্রিত্ব হয়ে লাঠি হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার চেষ্টা করলে উপস্থিত স্থানিয়রা বাঁধা দিয়ে থামিয়ে দেন। বিবাদী মোস্তাক আহম্মেদ মুঠোফোনে আর্জি বর্ণিত বিবাদী চাকুল গ্রামের মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে রানা হোসেনকে ঘটনাস্থলে ডেকে আনেন।
রানা হোসেন এ সময় বিবাদীদের নানা ভাবে উসকিয়ে দেয়ার চেষ্ঠা করেন বলে অভিযোগ করেছেন।
রানা হোসেনের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিককে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে শুরুকরে দক্ষিণে গোটগাছের মাঠ পর্যন্ত তাঁদের জমি। সোলারপ্যানেল একটি নয় প্রয়োজন হলে আরো বসাবো। গভির নলকূপের কমান্ডিং এরিয়া, উপজেলা সেচ কমিটির অনুমোদন ও এর নীতিমার কথা বলায় রানা হোসেন রেগে গিয়ে বলেন, আরে মিয়া রাখেন উপজেলা সেচ কমিটির নীতিমালা আর কমান্ডিং এরিয়া। ও সবের কোন দাম আছে নাকি ? আমার টাকা সাশ্রয়ের জন্য আমার জমিতে সেচ দিতে কারো কাছেই আমি শুনতে যাবো না। পারলে উপজেলা সেচ কমিটিই হোক আর উপজেলা নির্বাহী অফিসারই হোক এসে থামায় যেনো!
এ সময় সোলার প্যানেল দিয়ে পানি সেচের পাশাপাশি বাদীর গভির নলকূপটি ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে বন্ধের পায়তারা করতে আবাসিক ভাবে ব্যবহৃত সাবমারসেবল পাম্প থেকে অবৈধভাবে কৃষি জমিতে সেচ দিতে ও দেখা গেছে।
এবিষয়ে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন জানান, গভির ও অগভির নলকূপ কমান্ডিং এরিযার মধ্যে সোলারপ্যানেল বসার কোনই অনুমতি নেই। এটা অবৈধ। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেচ কমিটির পক্ষথেকে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা সেচ কমিটির সদস্য সচিব বরেন্দ্র কর্মকর্তা, সহকারি প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের দেউল মাঠে জনৈক মোস্তাক আহম্মেদের অনুমতি বিহীন অবৈধভাবে সোলারপ্যানেল স্থাপনের বিষয়টি বাদীর নিকট থেকে শুনে মুঠোফোনে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। বিবাদী মোস্তাক আহম্মেদের কথাবার্তা খুবই অশ্লীল। অভিযোগের পেক্ষিতেই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ব্র্যাকের সোলার প্যানেল “রংপুর,ও দিনাজপুর’ স্থাপন এলাকা ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন এঁর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে উপজেলা সেচ কমিটির অনুমতি বিহীন সেচ কাজে সোলার প্যানেল স্থাপনে উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের দেউল গ্রামে গভির নলকূপ মালিক ও সোলার প্যানেল মালিকের মধ্যে সেচ নিয়ে অনিয়মের বিষয়ে থানায় অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান,বিষয়টি শুনেছি। আমরা সোলার প্যানেল প্রকল্পটি ব্র্যাক, সিটি ব্যাংক ও ডাচ্ বাংলা ব্যাংকসহ এক সাথে কাজ করে থাকি। আমি রংপুর দিনাজপুরের দায়িত্বে কাজ করি। এযাবৎ দুই এলাকায় ৪৯ টি সোলার প্যানেল স্থাপন করেছি। বিবাদমান বিরামপুরের দেউল এলাকার সোলার প্যানেলটিও আমিই করেছি। সময় পেলে এলাকায় গিয়ে বাদী ও বিবাদী উভয় পাটিকে ডেকে নিয়ে মিমাংসা করিয়ে দিতাম।
বিরামপুর থানা অফিসার ইনচার্জ অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থল তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এলাকার সর্বস্থরের সচেতন মহল গভির নলকূল কমান্ডিং এরিয়া থেকে উপজেলা সেচ কমিটির অনুমতি বিহীন সোলার প্যানেলটি সহ আবাসিক সাবমারসেবল পাম্প থেকে ব্যবসায়িক ভাবে লাভবান হতে কৃষি জমিতে বোরো সেচে ব্যবহার বন্ধের জন্য প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।।