ইলেকট্রনিকস মিডিয়া এনটিভি ও জাতীয় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
মহব্বত হোসেন এর বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের মনোনীত নৈশ ভোটের সাবেক এমপি ছোট মনি ও আওয়ামী লীগ নেতা বড় মনির সাথে সখ্যতা বজায় রেখে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়ার বিষয়ে দূর্নীতি দমন কমিশন দুদকে প্রধান কার্যালয় সেগুনবাগিচায় সম্প্রতি চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন জাতীয় দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক মোঃ বোরহান হাওলাদার জসিম।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল জেলার টাঙ্গাইল সদর উপজেলার টাঙ্গাইল পৌরসভাধীন দিঘুলিয়া গ্রামের মান্নান মিয়ার পুত্র, দৈনিক আমার দেশ ও এনটিভির টাঙ্গাইলের সাংবাদিক মহব্বত হোসেন(৪৮) ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার আমলে দীর্ঘ সতের বছর জেলায় ও সকল উপজেলায় সাংবাদিকতার সাইনবোর্ড ব্যবহার করে টাঙ্গাইলের সকল এমপি-মন্ত্রী, মেয়র, চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতাদের দূর্নীতির সিন্ডিকেটে জড়িত থেকে অবৈধ পন্থায় কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি।
মহব্বত হোসেন নিয়মিত মাসোহারা নিয়ে চলত দৈনন্দিন বাজার ও ব্যাংকে তার নিজস্ব একাউন্টে প্রতি মাসে জমা পড়তো লাখ লাখ টাকা।
এছাড়া, জুলাই- আগষ্টের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে নেতৃত্বে ছিল ছোট মনির এমপি, তিনি মহব্বত হোসেন এর বন্ধু।
এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন টাঙ্গাইল ডাচ বাংলা ব্যাংকের পাশে শহীদ মারুফ।
মহব্বত হোসেন এর বন্ধু ছোট মনির ছিল গুলির হুকুমদাতা। ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুহূর্তে ছোট মনির কে ধাওয়া করলে পালাতে সহায়তা করে মহব্বত হোসেন, এর বিনিময়ে মহব্বত হোসেন এর একাউন্টে দেওয়া হয় মোটা অঙ্কের টাকা বলে বিশ্বস্ত একটি সুত্র জানায়। এর আগে এমপি ছোট মনির এর
দেয়া টাকায় মহব্বত হোসেন একটি প্রাইভেটকার কিনে।
তাছাড়া, টাঙ্গাইল সদর এর এমপি ছানোয়ার হোসেন, জেলা জাতীয় পার্টির অদক্ষ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, এর আত্নীয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফারুক হোসেন মানিক ও মহব্বত হোসেন এর রয়েছে একটি গভীর সম্পর্ক। তাদের সকলের বসতভিটা-বাসা দীঘুলিয়া। জাপার অদক্ষ নেতা মুজাম্মেল হক এর সাথে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুজাম্মেল হক সম্পর্কে মামা-ভাগিনা। পলাতক ফারুক হোসেন মানিক এর সহায়ক হয়ে কাজ করে মুজাম্মেল হক ও মহব্বত হোসেন।
এজন্য মহব্বত হোসেন ও মুজাম্মেল হক এর একাউন্টে পলাতক থেকে আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন মানিক ও ছোট মনির এমপি টাকা পাঠানোর তথ্য পাওয়া গেছে।
টাঙ্গাইল এর দীর্ঘ ১৭বছরে আওয়ামী সরকার এর জেলার সর্বোচ্চ দূর্নীতিবাজ ও সকল প্রকল্পের কাজে নয়ছয় ও সরকারি অর্থ লোপাটের রাঘব বোয়াল ছিল প্রয়াত বাটপার ফজলুর রহমান খান ফারুক।
আর এই ফারুকের আর্শীবাদ পেয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন জাতীয় দৈনিক আমার দেশ ও এনটিভির টাঙ্গাইলের সাংবাদিক মহব্বত হোসেন। এখনো টাঙ্গাইলে বসে পলাতক সকল আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে যোগাযোগ রাখেন মহব্বত হোসেন। লেনদেন হয় আর্থিক বিষয়ে।
দিঘুলিয়া গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান, মহব্বত হোসেন এর পিতা ছিল সামান্য পিয়ন। সেখানে থেকে মহব্বত হোসেন শুধুমাত্র সাংবাদিকতার সাইনবোর্ড
ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
তার পিছনে মুল কারণ- মাসোহারা আদায়, আওয়ামী লীগ নেতাদের পুঁজি করে টাকার বিনিময়ে কাজ বাগিয়ে নেওয়া, অবৈধ বালুর ঘাট থেকে মাসোহারা লাখ লাখ টাকা আদায় এসব মিলিয়ে সামান্য সাপ্তাহিক পত্রিকা থেকে হয়ে গেছে কোটিপতি।
তার ব্যাংক একাউন্টে রয়েছে কোটি কোটি টাকা। বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি। মহব্বত হোসেন এর নিজস্ব কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য নাই। নাই অন্য কোনো উপায়ে আয়ের উৎস। শুধুমাত্র মাসোহারা, ধান্দাবাজির আয়ে ও আওয়ামী লীগের পক্ষে দালালি সাংবাদিকতা করে দীর্ঘ সতের বছরে হয়েছে কোটিপতি।
আওয়ামী লীগ নেতাদের মাধ্যমে দীর্ঘ সতের বছর জেলায় যতগুলো প্রকল্পের কাজ হতো সেখানে থেকে দুর্নীতির ১০%তার ভাগ-বাঁটোয়ারার মধ্যে থাকতো।
কারণ এমপি ছোট মনি ছিল তার বন্ধু। এভাবেই নীরব দূর্নীতি আর চাঁদাবাজি করে মহব্বত হোসেন হয়ে গেছে কোটিপতি।
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক শামসুল হকের মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয় মহব্বত হোসেনের নেতৃত্বে, বিএনপি নামদারি বিলুপ্ত প্রায় জনৈক নেতার সমন্বয়ে চলছে এসব কান্ডকারখানা।
কখনো খাল বেদখল উচ্ছেদের নামে, কখনো নদী বেদখল উচ্ছেদের অজুহাত দেখিয়ে। তারা একটি সিন্ডিকেট ও বলয় তৈরি করে লোক দেখানো কাজ হাতে নিয়েছে। এসব এর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত মহব্বত হোসেন।
এর আগে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ার, সাবেক মেয়র মিরন- সিরাজুল ইসলাম আলমগীর ও এমপি ছোট মনির-জোয়াহেরের টাকায় চলতো মহব্বত হোসেন এর এনটিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন।
কিন্তু এখন তড়িঘড়ি করে মহব্বত হোসেন এর সহযোগী ও নামদারী নেতা সেজে হামিদুল হক মোহন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক শামসুল হকের মৃত্যু বার্ষিকী পালন করতেও দেখা গেছে।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছানোয়ার হোসেনের হয়ে সরাসরি নির্বাচনে প্রচারণা করেন এনটিভি ও আমার দেশ পত্রিকার টাঙ্গাইল প্রতিনিধি মহব্বত হোসেন। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ছানোয়ার হোসেনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান মহব্বত হোসেন।
নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় পার্টির অযোগ্য সম্পাদক ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থানকারী হত্যা মামলার আসামি মুজাম্মেল
হকের সঙ্গে বেশ সখ্যতা রয়েছে তৈলবাজ সাংবাদিক মহব্বত হোসেনের।
টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় পার্টি অফিস ভাংচুর এর পর থেকে এসব সিন্ডিকেটধারীরা ঘাপটি মেরে চলছেন।
তবে মহব্বত হোসেন এর সাথে সখ্যতা বজায় রাখা জনৈক সাংবাদিক তার দৈনন্দিন বাজার, মাসিক খরচ, ব্যাংক হিসাব এর বিষয় জানতে চাওয়া হলে নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, আওয়ামী লীগের নেতাদের পুঁজি করে মহব্বত হোসেন কোটি টাকা প্লাস একাউন্টে জমা করেছেন। সিজনালি অবৈধ বালুর ঘাট থেকে তার লাখ লাখ টাকা আসে। মহব্বত হোসেন এর মাসিক খরচ লাখের উপরে। তিনি জাতীয় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় প্রতিনিধি, সম্প্রতি এ্যাড দেয়, এনটিভির স্টাফ করেসপনডেন্ট মহব্বত হোসেন কতই বা বেতন পান।
অবৈধ পথের বা ধান্দাবাজির টাকায় চলে এসব। তন্মধ্যে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার এর এমপিদের সাথে সখ্যতা বজায় রেখে কোটি কোটি টাকার মালিক সেজেছেন তিনি।
মহব্বত হোসেন টাঙ্গাইলের সাংবাদিক সমাজে স্বার্থপর, সুবিধাবাদী, খাই খাই সাংবাদিক হিসাবে পরিচিত।
এনটিভির স্টাফ করেসপনডেন্ট ও জাতীয় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি মহব্বত হোসেন তার পিতার বসতভিটায় প্রারম্ভিকে বাসযোগ্য যে ঘরটি ছিল, তা আজ অট্রালিকায় পরিণত হয়েছে।
আওয়ামী আর্শীবাদে তার ব্যয়বহুল খরচ, সন্তানদের পড়াশোনার ব্যাপক ব্যয় তার সাংবাদিকতা পেশার সামান্য বেতনে চালানো অসম্ভব। তার মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারও রয়েছে।
প্রিন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক 




















