ঢাকা ০২:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ফরিদপুরে চেয়ারম্যানের শেল্টারে চায়না দুয়ারি জালের কারখানার রমরমা ব্যবসা, প্রশাসনের অভিযানে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা Logo রয়টার্সের প্রতিবেদন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিশের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আদানি গ্রুপ Logo টানা কমছে দেশের রপ্তানি আয়, সামনে আরও কমার আশঙ্কা Logo বিএনপির ফাঁকা রাখা ৬৩ আসনে অগ্রাধিকার পাবেন যারা Logo আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে Logo আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ৬ দলিল লেখক বরখাস্ত Logo সাভারে ট্রলি ভ্যানের ব্রেক ফেল আয়ারল্যান্ডের ওপরে এসে গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ Logo তৌহিদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ Logo ৪৮ তম বিসিএস পরীক্ষায় উওীর্ণদের নিয়োগ এর দাবি তে মানববন্ধন Logo বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই রুমিন ফারহানার পদত্যাগ করেন

মিরপুরের কাউন্দিয়া ইউনিয়নে দৃঢ় নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠনের মিশন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:০৫:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩০ ১০.০০০ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর দ্বীপ খ্যাত ঢাকার উপকণ্ঠে সাভার উপজেলাধীন কাউন্দিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠনের কাজে নতুন গতি এনেছেন মেলার ট্যাক এলাকার প্রবীণ নেতা সেন্টু মিয়া মেম্বার। স্থানীয় পর্যায়ে সুপরিচিত এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বর্তমানে অতিগোপনে পুরো ইউনিয়নজুড়ে সংগঠন পুনর্গঠন ও পুনরুজ্জীবিত করণ কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।

সেন্টু মিয়া মেলার টেকের সোবহান মাঝির ছেলে। কাউন্দিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

তবে ৫ আগস্ট ছাত্র বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী সরকারের পতনের পর শীর্ষস্থানীয় সিনিয়র নেতাদের একাংশ পলাতক থাকায়, কৌশলগতভাবে নেতৃত্বের ভার এসে পড়েছে তার কাঁধে। জানা গেছে ছাত্র বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি হওয়ার পরেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে না আসায় তিনি সুকৌশলে চালিয়ে যাচ্ছে এসকল কর্মকান্ড।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা বলছেন, শুধুমাত্র দলীয় কর্মকাণ্ড নয়—এই ইউনিয়ন এখন একটি নিরাপদ রাজনৈতিক আশ্রয়স্থলেও পরিণত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে অনেক তরুণ রাজনৈতিক নেতা ও ভবিষ্যৎ ফিল্ডাররা সেন্টু মিয়ার আশ্রয়ে এখানে অবস্থান করছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, “সেন্টু মিয়া শুধু একজন সংগঠক নন, তিনি বর্তমানে ইউনিয়নের সাবেক ২ চেয়ারম্যান শান্ত খান ও সাইফুল আলম খানের বিকল্প হিসেবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একজন বড় ধরনের অভিভাবক।

ইতোমধ্যে তিনি ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দলের গোপনে স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন। আওয়ামী পন্থী সাবেক দুই পলাতক চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের অর্থায়নে সেন্টু মিয়ার মিশন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া আওয়ামী লীগকে স্থানীয় পর্যায়ে ফের শক্ত অবস্থানে দেখতে। কাউন্দিয়া ইউনিয়নে দলকে পুনরুজ্জীবিত করাই এখন তার অঙ্গীকার।”

আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠনের এই উদ্যোগকে ঘিরে স্থানীয় আওয়ামীপন্থী নেতৃত্বের মাঝে নতুন আশাবাদ তৈরি হয়েছে।

আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারির বাইরে ও নিরাপদ হওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আ’লীগ নেতাদরকে ইউনিয়নের আশ্রয় প্রশ্রয় ও নেতৃত্বদানের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সেন্টু মািয়া।
সাবেক সেন্টুমেম্বার। বর্তমান সহ- সভাপতি আওয়ামী লীগের। চলবে


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদপুরে চেয়ারম্যানের শেল্টারে চায়না দুয়ারি জালের কারখানার রমরমা ব্যবসা, প্রশাসনের অভিযানে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা

মিরপুরের কাউন্দিয়া ইউনিয়নে দৃঢ় নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠনের মিশন

আপডেট সময় ১১:০৫:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

রাজধানীর দ্বীপ খ্যাত ঢাকার উপকণ্ঠে সাভার উপজেলাধীন কাউন্দিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠনের কাজে নতুন গতি এনেছেন মেলার ট্যাক এলাকার প্রবীণ নেতা সেন্টু মিয়া মেম্বার। স্থানীয় পর্যায়ে সুপরিচিত এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বর্তমানে অতিগোপনে পুরো ইউনিয়নজুড়ে সংগঠন পুনর্গঠন ও পুনরুজ্জীবিত করণ কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।

সেন্টু মিয়া মেলার টেকের সোবহান মাঝির ছেলে। কাউন্দিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

তবে ৫ আগস্ট ছাত্র বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী সরকারের পতনের পর শীর্ষস্থানীয় সিনিয়র নেতাদের একাংশ পলাতক থাকায়, কৌশলগতভাবে নেতৃত্বের ভার এসে পড়েছে তার কাঁধে। জানা গেছে ছাত্র বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি হওয়ার পরেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে না আসায় তিনি সুকৌশলে চালিয়ে যাচ্ছে এসকল কর্মকান্ড।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা বলছেন, শুধুমাত্র দলীয় কর্মকাণ্ড নয়—এই ইউনিয়ন এখন একটি নিরাপদ রাজনৈতিক আশ্রয়স্থলেও পরিণত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে অনেক তরুণ রাজনৈতিক নেতা ও ভবিষ্যৎ ফিল্ডাররা সেন্টু মিয়ার আশ্রয়ে এখানে অবস্থান করছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, “সেন্টু মিয়া শুধু একজন সংগঠক নন, তিনি বর্তমানে ইউনিয়নের সাবেক ২ চেয়ারম্যান শান্ত খান ও সাইফুল আলম খানের বিকল্প হিসেবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একজন বড় ধরনের অভিভাবক।

ইতোমধ্যে তিনি ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দলের গোপনে স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন। আওয়ামী পন্থী সাবেক দুই পলাতক চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের অর্থায়নে সেন্টু মিয়ার মিশন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া আওয়ামী লীগকে স্থানীয় পর্যায়ে ফের শক্ত অবস্থানে দেখতে। কাউন্দিয়া ইউনিয়নে দলকে পুনরুজ্জীবিত করাই এখন তার অঙ্গীকার।”

আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠনের এই উদ্যোগকে ঘিরে স্থানীয় আওয়ামীপন্থী নেতৃত্বের মাঝে নতুন আশাবাদ তৈরি হয়েছে।

আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারির বাইরে ও নিরাপদ হওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আ’লীগ নেতাদরকে ইউনিয়নের আশ্রয় প্রশ্রয় ও নেতৃত্বদানের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সেন্টু মািয়া।
সাবেক সেন্টুমেম্বার। বর্তমান সহ- সভাপতি আওয়ামী লীগের। চলবে


প্রিন্ট