ঢাকা ০৮:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
দখলদারিত্বের জের দরে লক্ষ্মীপুরে বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংর্ঘষ। আহত-১৫ বাঞ্ছারামপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান বনানী বস্তির আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে ইকোস অব রেভ্যুলিউশন’ কনসার্ট ঘিরে যে নির্দেশনা ডিএমপির পাকুন্দিয়ায় শান্তিপূর্ণ ভাবে স্বপ্ন ডিঙ্গা কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর বৃত্তি পরিক্ষা অনুষ্ঠিত চাঁদপুর সদর, হানারচরে ইসলামী আন্দোলনের গন সমাবেশ উত্তরায় ১২ নম্বর সেক্টরের শাহ মখদুম রুডের লাভলীন রেস্তোরায় সংবাদ প্রকাশের পর গাজীপুরে জিএমপি মিডিয়া হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে এক সাংবাদিকের একাউন্ট রিমোভ উপদেষ্টা হাসান আরিফ মারা গেছেন বিডিআর হত্যাকাণ্ডে হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

পীরগঞ্জে অবৈধ ইটভাঁটিতে পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০১:০৮:১৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১
  • / ৩২৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

ঠাকুরগাঁও সুমন রিপোর্টার ॥

ইট প্রস্তুত ও ভাঁটি স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ এর ৫৯ নং আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি পীরগঞ্জ উপজেলায় ১৯টি লাইসেন্স বিহীন অবৈধ ইটভাঁটি স্থাপন করেছে। অবৈধ ইটভাঁটি গুলোর বিষাক্ত ও কালো ধোয়ায় মারাত্বকভাবে পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। সরকারী প্রশাসনকে অর্থনৈতিক সুবিধা দিয়ে প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা তাদের ইটভাঁটির কার্যক্রম বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে। ইটভাঁটি গুলো কৃষি জমিতে অবস্থিত এবং ভাঁটিগুলোর চতুর পার্শ্বে ফসলি জমি ও গাছপালা রয়েছে। জ্বালানি হিসেবে ব্যাপক ভাবে কাঠ পোড়ানোর কারণে বনভূমি উজার হচ্ছে এবং ইটভাঁটিগুলোর আশেপাশে ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বলে সরেজমিন খোজ নিয়ে ও একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। অপর দিকে ইটভাঁটি গুলোর সামনে লোক দেখানো কিছু কয়লা মওজুদ থাকলেও ওই সব কয়লার নির্ধারিত মান মাত্রার অতিরিক্ত সালফার, অ্যাশ ও মারকারী রয়েছে। ফলে উক্ত কয়লাগুলো ইট পোড়ানোর কাজের অনুপযোগী ও উক্ত আইনের ৭ ধারার পরিপন্থি। চলতি মৌসুমে পীরগঞ্জে ইটভাঁটি গুলোর মালিকরা ইট পোড়ানোর কাজ শুরু করেছে। জেলা প্রশাসক ঠাকুরগাঁও তথ্য মতে পীরগঞ্জে কোন বৈধ ইটভাঁটি নেই। অথচ ইটভাঁটিতে ইট পোড়ানোর পূর্বে জেলা প্রশাসক কার্যালয় হতে ইট পোড়ানোর ব্যাপারে ফায়ারিং সার্টিফিকেট নেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও সনদপত্র ছাড়াই নিজ খেয়াল খুশিমত ইটভাঁটির মালিকরা ইট পোড়ানোর কাজ শুরু করেছে। যা প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো ও দন্ডনীয় অপরাধ। পীরগঞ্জ উপজেলায় ১৯টি অবৈধ ইটভাঁটি রয়েছে। এদের মধ্যে মিসেস নিপা ব্রিক-২ (শিমুলবাড়ি) প্রোঃ মোঃ লিয়াকত আলী মন্ডল, এন.বি ব্রিক (আরাজী উজ্জ্বলকোঠা) প্রোঃ নরেশ চন্দ্র রায়, সেভেন ব্রাদার্স ব্রিক (পাড়িয়া) প্রোঃ জাহিদুল ইসলাম (জাহিদ), এস.বি ব্রিক (গুয়াগাঁও) প্রোঃ মিজানুর রহমান, এম.বি ব্রিক (গুয়াগাঁও) প্রোঃ শাহাজাহান আলী, ডি.আর ব্রিক (গুয়াগাঁও) প্রোঃ আবিদ আকবর, এস.বি.এস ব্রিক (গুয়াগাঁও) বেলাল হোসেন, বি.বি.এস ব্রিক (ভেলাতৈড়) প্রোঃ বাবলা/বাদল, এবি.এস ব্রিক (ভেলাতৈড়) প্রোঃ বজলার রহমান, এস.বি.বি ব্রিক (ভেলাতৈড়) প্রোঃ শাহাজাহান, এম.এল ব্রিক (গড়গাঁও) প্রোঃ মতিউর রহমান, এম.এ.এস ব্রিক (দক্ষিণ মাধবপুর) প্রোঃ আব্দুল মান্নান, এ ব্রিক (বৈরচুনা) প্রোঃ রেজা করিম চৌধুরী ও মহসিন আলী, এস.আর.বি ব্রিক (বৈরচুনা) প্রোঃ খাইরুল ইসলাম, জে.আর ব্রিক (সিন্দুর্না) প্রোঃ জয়নাল আবেদীন, এম.এন.এস ব্রিক (সিন্দুর্না) প্রোঃ কশিরুল আলম, এস.বি.এস ব্রিক (সিন্দুর্না) প্রোঃ বেলাল হোসেন, এস.এস.বি ব্রিক (দৈলতপুর) প্রোঃ রেজওয়ানুল হক (বিপ্লব) ও এস.বি ব্রিক (নানুহার) প্রোঃ মামুনুর রশিদ। এসব ইটভাঁটি গুলোতে প্রতি বছরই ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে ইটভাঁটিতে এনে ইট প্রস্তুত করে থাকে। ফলে দিন দিন কৃষি জমি হুমকির মুখে পতিত হচ্ছে। বিষয়গুলো সরেজমিন তদন্ত করে ইটভাঁটি মালিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে পীরগঞ্জের আম জনতা মতামত ব্যক্ত করেন। এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কামরুজ্জামান সেলিম জানান অবৈধ ইটভাঁটার বিরুদ্ধে জরুরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পীরগঞ্জে অবৈধ ইটভাঁটিতে পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে

আপডেট টাইম : ০১:০৮:১৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১

ঠাকুরগাঁও সুমন রিপোর্টার ॥

ইট প্রস্তুত ও ভাঁটি স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ এর ৫৯ নং আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি পীরগঞ্জ উপজেলায় ১৯টি লাইসেন্স বিহীন অবৈধ ইটভাঁটি স্থাপন করেছে। অবৈধ ইটভাঁটি গুলোর বিষাক্ত ও কালো ধোয়ায় মারাত্বকভাবে পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। সরকারী প্রশাসনকে অর্থনৈতিক সুবিধা দিয়ে প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা তাদের ইটভাঁটির কার্যক্রম বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে। ইটভাঁটি গুলো কৃষি জমিতে অবস্থিত এবং ভাঁটিগুলোর চতুর পার্শ্বে ফসলি জমি ও গাছপালা রয়েছে। জ্বালানি হিসেবে ব্যাপক ভাবে কাঠ পোড়ানোর কারণে বনভূমি উজার হচ্ছে এবং ইটভাঁটিগুলোর আশেপাশে ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বলে সরেজমিন খোজ নিয়ে ও একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। অপর দিকে ইটভাঁটি গুলোর সামনে লোক দেখানো কিছু কয়লা মওজুদ থাকলেও ওই সব কয়লার নির্ধারিত মান মাত্রার অতিরিক্ত সালফার, অ্যাশ ও মারকারী রয়েছে। ফলে উক্ত কয়লাগুলো ইট পোড়ানোর কাজের অনুপযোগী ও উক্ত আইনের ৭ ধারার পরিপন্থি। চলতি মৌসুমে পীরগঞ্জে ইটভাঁটি গুলোর মালিকরা ইট পোড়ানোর কাজ শুরু করেছে। জেলা প্রশাসক ঠাকুরগাঁও তথ্য মতে পীরগঞ্জে কোন বৈধ ইটভাঁটি নেই। অথচ ইটভাঁটিতে ইট পোড়ানোর পূর্বে জেলা প্রশাসক কার্যালয় হতে ইট পোড়ানোর ব্যাপারে ফায়ারিং সার্টিফিকেট নেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও সনদপত্র ছাড়াই নিজ খেয়াল খুশিমত ইটভাঁটির মালিকরা ইট পোড়ানোর কাজ শুরু করেছে। যা প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো ও দন্ডনীয় অপরাধ। পীরগঞ্জ উপজেলায় ১৯টি অবৈধ ইটভাঁটি রয়েছে। এদের মধ্যে মিসেস নিপা ব্রিক-২ (শিমুলবাড়ি) প্রোঃ মোঃ লিয়াকত আলী মন্ডল, এন.বি ব্রিক (আরাজী উজ্জ্বলকোঠা) প্রোঃ নরেশ চন্দ্র রায়, সেভেন ব্রাদার্স ব্রিক (পাড়িয়া) প্রোঃ জাহিদুল ইসলাম (জাহিদ), এস.বি ব্রিক (গুয়াগাঁও) প্রোঃ মিজানুর রহমান, এম.বি ব্রিক (গুয়াগাঁও) প্রোঃ শাহাজাহান আলী, ডি.আর ব্রিক (গুয়াগাঁও) প্রোঃ আবিদ আকবর, এস.বি.এস ব্রিক (গুয়াগাঁও) বেলাল হোসেন, বি.বি.এস ব্রিক (ভেলাতৈড়) প্রোঃ বাবলা/বাদল, এবি.এস ব্রিক (ভেলাতৈড়) প্রোঃ বজলার রহমান, এস.বি.বি ব্রিক (ভেলাতৈড়) প্রোঃ শাহাজাহান, এম.এল ব্রিক (গড়গাঁও) প্রোঃ মতিউর রহমান, এম.এ.এস ব্রিক (দক্ষিণ মাধবপুর) প্রোঃ আব্দুল মান্নান, এ ব্রিক (বৈরচুনা) প্রোঃ রেজা করিম চৌধুরী ও মহসিন আলী, এস.আর.বি ব্রিক (বৈরচুনা) প্রোঃ খাইরুল ইসলাম, জে.আর ব্রিক (সিন্দুর্না) প্রোঃ জয়নাল আবেদীন, এম.এন.এস ব্রিক (সিন্দুর্না) প্রোঃ কশিরুল আলম, এস.বি.এস ব্রিক (সিন্দুর্না) প্রোঃ বেলাল হোসেন, এস.এস.বি ব্রিক (দৈলতপুর) প্রোঃ রেজওয়ানুল হক (বিপ্লব) ও এস.বি ব্রিক (নানুহার) প্রোঃ মামুনুর রশিদ। এসব ইটভাঁটি গুলোতে প্রতি বছরই ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে ইটভাঁটিতে এনে ইট প্রস্তুত করে থাকে। ফলে দিন দিন কৃষি জমি হুমকির মুখে পতিত হচ্ছে। বিষয়গুলো সরেজমিন তদন্ত করে ইটভাঁটি মালিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে পীরগঞ্জের আম জনতা মতামত ব্যক্ত করেন। এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কামরুজ্জামান সেলিম জানান অবৈধ ইটভাঁটার বিরুদ্ধে জরুরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।