ঢাকা ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নিরাপদে থাকবে সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা/ দীর্ঘ সংগ্রাম আর রক্তের বিনিময়ে আমরা ডাইনি হাসিনা থেকে রেহাই পেয়েছি দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিক সুচিকিৎসা ও সেবা-পরিচর্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দলগুলোর সমর্থন না পেলে সব উদ্যোগ নিষ্ফল হবে: সিইসি ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির সিদ্ধান্ত গাজীপুরে আম ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে গর্ভের শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু আহত ৯ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে রাখাইনে করিডোরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করবে সরকার পতেঙ্গা থানা পুলিশের অভিযানে একটি সাজাপ্রাপ্ত সহ তিনটি,সিআর গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী কোরবান আলী গ্রেফতার ভারতে মুসলমানদের উপর নির্মম নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ইসলামকে যারা মানে এবং মনে প্রাণে বিশ্বাস করে তারাই শুধু মুক্তি পাবে: নজরুল ইসলাম

পীরগঞ্জে অবৈধ ইটভাঁটিতে পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০১:০৮:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১
  • / ৩৬৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

ঠাকুরগাঁও সুমন রিপোর্টার ॥

ইট প্রস্তুত ও ভাঁটি স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ এর ৫৯ নং আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি পীরগঞ্জ উপজেলায় ১৯টি লাইসেন্স বিহীন অবৈধ ইটভাঁটি স্থাপন করেছে। অবৈধ ইটভাঁটি গুলোর বিষাক্ত ও কালো ধোয়ায় মারাত্বকভাবে পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। সরকারী প্রশাসনকে অর্থনৈতিক সুবিধা দিয়ে প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা তাদের ইটভাঁটির কার্যক্রম বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে। ইটভাঁটি গুলো কৃষি জমিতে অবস্থিত এবং ভাঁটিগুলোর চতুর পার্শ্বে ফসলি জমি ও গাছপালা রয়েছে। জ্বালানি হিসেবে ব্যাপক ভাবে কাঠ পোড়ানোর কারণে বনভূমি উজার হচ্ছে এবং ইটভাঁটিগুলোর আশেপাশে ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বলে সরেজমিন খোজ নিয়ে ও একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। অপর দিকে ইটভাঁটি গুলোর সামনে লোক দেখানো কিছু কয়লা মওজুদ থাকলেও ওই সব কয়লার নির্ধারিত মান মাত্রার অতিরিক্ত সালফার, অ্যাশ ও মারকারী রয়েছে। ফলে উক্ত কয়লাগুলো ইট পোড়ানোর কাজের অনুপযোগী ও উক্ত আইনের ৭ ধারার পরিপন্থি। চলতি মৌসুমে পীরগঞ্জে ইটভাঁটি গুলোর মালিকরা ইট পোড়ানোর কাজ শুরু করেছে। জেলা প্রশাসক ঠাকুরগাঁও তথ্য মতে পীরগঞ্জে কোন বৈধ ইটভাঁটি নেই। অথচ ইটভাঁটিতে ইট পোড়ানোর পূর্বে জেলা প্রশাসক কার্যালয় হতে ইট পোড়ানোর ব্যাপারে ফায়ারিং সার্টিফিকেট নেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও সনদপত্র ছাড়াই নিজ খেয়াল খুশিমত ইটভাঁটির মালিকরা ইট পোড়ানোর কাজ শুরু করেছে। যা প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো ও দন্ডনীয় অপরাধ। পীরগঞ্জ উপজেলায় ১৯টি অবৈধ ইটভাঁটি রয়েছে। এদের মধ্যে মিসেস নিপা ব্রিক-২ (শিমুলবাড়ি) প্রোঃ মোঃ লিয়াকত আলী মন্ডল, এন.বি ব্রিক (আরাজী উজ্জ্বলকোঠা) প্রোঃ নরেশ চন্দ্র রায়, সেভেন ব্রাদার্স ব্রিক (পাড়িয়া) প্রোঃ জাহিদুল ইসলাম (জাহিদ), এস.বি ব্রিক (গুয়াগাঁও) প্রোঃ মিজানুর রহমান, এম.বি ব্রিক (গুয়াগাঁও) প্রোঃ শাহাজাহান আলী, ডি.আর ব্রিক (গুয়াগাঁও) প্রোঃ আবিদ আকবর, এস.বি.এস ব্রিক (গুয়াগাঁও) বেলাল হোসেন, বি.বি.এস ব্রিক (ভেলাতৈড়) প্রোঃ বাবলা/বাদল, এবি.এস ব্রিক (ভেলাতৈড়) প্রোঃ বজলার রহমান, এস.বি.বি ব্রিক (ভেলাতৈড়) প্রোঃ শাহাজাহান, এম.এল ব্রিক (গড়গাঁও) প্রোঃ মতিউর রহমান, এম.এ.এস ব্রিক (দক্ষিণ মাধবপুর) প্রোঃ আব্দুল মান্নান, এ ব্রিক (বৈরচুনা) প্রোঃ রেজা করিম চৌধুরী ও মহসিন আলী, এস.আর.বি ব্রিক (বৈরচুনা) প্রোঃ খাইরুল ইসলাম, জে.আর ব্রিক (সিন্দুর্না) প্রোঃ জয়নাল আবেদীন, এম.এন.এস ব্রিক (সিন্দুর্না) প্রোঃ কশিরুল আলম, এস.বি.এস ব্রিক (সিন্দুর্না) প্রোঃ বেলাল হোসেন, এস.এস.বি ব্রিক (দৈলতপুর) প্রোঃ রেজওয়ানুল হক (বিপ্লব) ও এস.বি ব্রিক (নানুহার) প্রোঃ মামুনুর রশিদ। এসব ইটভাঁটি গুলোতে প্রতি বছরই ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে ইটভাঁটিতে এনে ইট প্রস্তুত করে থাকে। ফলে দিন দিন কৃষি জমি হুমকির মুখে পতিত হচ্ছে। বিষয়গুলো সরেজমিন তদন্ত করে ইটভাঁটি মালিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে পীরগঞ্জের আম জনতা মতামত ব্যক্ত করেন। এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কামরুজ্জামান সেলিম জানান অবৈধ ইটভাঁটার বিরুদ্ধে জরুরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পীরগঞ্জে অবৈধ ইটভাঁটিতে পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে

আপডেট টাইম : ০১:০৮:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১

ঠাকুরগাঁও সুমন রিপোর্টার ॥

ইট প্রস্তুত ও ভাঁটি স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ এর ৫৯ নং আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি পীরগঞ্জ উপজেলায় ১৯টি লাইসেন্স বিহীন অবৈধ ইটভাঁটি স্থাপন করেছে। অবৈধ ইটভাঁটি গুলোর বিষাক্ত ও কালো ধোয়ায় মারাত্বকভাবে পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। সরকারী প্রশাসনকে অর্থনৈতিক সুবিধা দিয়ে প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা তাদের ইটভাঁটির কার্যক্রম বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে। ইটভাঁটি গুলো কৃষি জমিতে অবস্থিত এবং ভাঁটিগুলোর চতুর পার্শ্বে ফসলি জমি ও গাছপালা রয়েছে। জ্বালানি হিসেবে ব্যাপক ভাবে কাঠ পোড়ানোর কারণে বনভূমি উজার হচ্ছে এবং ইটভাঁটিগুলোর আশেপাশে ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বলে সরেজমিন খোজ নিয়ে ও একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। অপর দিকে ইটভাঁটি গুলোর সামনে লোক দেখানো কিছু কয়লা মওজুদ থাকলেও ওই সব কয়লার নির্ধারিত মান মাত্রার অতিরিক্ত সালফার, অ্যাশ ও মারকারী রয়েছে। ফলে উক্ত কয়লাগুলো ইট পোড়ানোর কাজের অনুপযোগী ও উক্ত আইনের ৭ ধারার পরিপন্থি। চলতি মৌসুমে পীরগঞ্জে ইটভাঁটি গুলোর মালিকরা ইট পোড়ানোর কাজ শুরু করেছে। জেলা প্রশাসক ঠাকুরগাঁও তথ্য মতে পীরগঞ্জে কোন বৈধ ইটভাঁটি নেই। অথচ ইটভাঁটিতে ইট পোড়ানোর পূর্বে জেলা প্রশাসক কার্যালয় হতে ইট পোড়ানোর ব্যাপারে ফায়ারিং সার্টিফিকেট নেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও সনদপত্র ছাড়াই নিজ খেয়াল খুশিমত ইটভাঁটির মালিকরা ইট পোড়ানোর কাজ শুরু করেছে। যা প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো ও দন্ডনীয় অপরাধ। পীরগঞ্জ উপজেলায় ১৯টি অবৈধ ইটভাঁটি রয়েছে। এদের মধ্যে মিসেস নিপা ব্রিক-২ (শিমুলবাড়ি) প্রোঃ মোঃ লিয়াকত আলী মন্ডল, এন.বি ব্রিক (আরাজী উজ্জ্বলকোঠা) প্রোঃ নরেশ চন্দ্র রায়, সেভেন ব্রাদার্স ব্রিক (পাড়িয়া) প্রোঃ জাহিদুল ইসলাম (জাহিদ), এস.বি ব্রিক (গুয়াগাঁও) প্রোঃ মিজানুর রহমান, এম.বি ব্রিক (গুয়াগাঁও) প্রোঃ শাহাজাহান আলী, ডি.আর ব্রিক (গুয়াগাঁও) প্রোঃ আবিদ আকবর, এস.বি.এস ব্রিক (গুয়াগাঁও) বেলাল হোসেন, বি.বি.এস ব্রিক (ভেলাতৈড়) প্রোঃ বাবলা/বাদল, এবি.এস ব্রিক (ভেলাতৈড়) প্রোঃ বজলার রহমান, এস.বি.বি ব্রিক (ভেলাতৈড়) প্রোঃ শাহাজাহান, এম.এল ব্রিক (গড়গাঁও) প্রোঃ মতিউর রহমান, এম.এ.এস ব্রিক (দক্ষিণ মাধবপুর) প্রোঃ আব্দুল মান্নান, এ ব্রিক (বৈরচুনা) প্রোঃ রেজা করিম চৌধুরী ও মহসিন আলী, এস.আর.বি ব্রিক (বৈরচুনা) প্রোঃ খাইরুল ইসলাম, জে.আর ব্রিক (সিন্দুর্না) প্রোঃ জয়নাল আবেদীন, এম.এন.এস ব্রিক (সিন্দুর্না) প্রোঃ কশিরুল আলম, এস.বি.এস ব্রিক (সিন্দুর্না) প্রোঃ বেলাল হোসেন, এস.এস.বি ব্রিক (দৈলতপুর) প্রোঃ রেজওয়ানুল হক (বিপ্লব) ও এস.বি ব্রিক (নানুহার) প্রোঃ মামুনুর রশিদ। এসব ইটভাঁটি গুলোতে প্রতি বছরই ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে ইটভাঁটিতে এনে ইট প্রস্তুত করে থাকে। ফলে দিন দিন কৃষি জমি হুমকির মুখে পতিত হচ্ছে। বিষয়গুলো সরেজমিন তদন্ত করে ইটভাঁটি মালিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে পীরগঞ্জের আম জনতা মতামত ব্যক্ত করেন। এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কামরুজ্জামান সেলিম জানান অবৈধ ইটভাঁটার বিরুদ্ধে জরুরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।