সেক্স কুইন তাসলি`র নিয়ন্ত্রণে কড়াইল বস্তির দখলবাজি, মাদক কারবার

- আপডেট টাইম : ০৩:০৪:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
- / ১৯ ৫০০০.০ বার পাঠক
ছবি – সংগৃহীত
গত ২০ বছর আগে নরসিংদী থেকে ঢাকায় এসে কড়াইল বস্তিতে বসবাস করেছিলেন তাসলিমা। শুরুতে পার্ক বনানীর আবাসিক একটি হোটেলে এবং তরকারি কোটার কাজ করতেন তিনি। একসময় হোটেলের কাজ ছেড়ে বস্তিতে মাদক বিক্রি শুরু করেন। মাদকসহ একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছেন। জামিনে বেরিয়ে আবারও জড়িয়েছেন মাদক কারবারে। একপর্যায়ে মাদক কেনাবেচার জন্য নিজস্ব বাহিনী গড়ে তোলেন। তিন বোন ছাড়াও তাঁর বাহিনীতে রয়েছে আরও ছয়জন, যাঁরা মাদকসহ হত্যা মামলার আসামি। বর্তমানে তাঁর নামে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান স্থানীয় লোকজন।
অনুসন্ধানের তথ্য বলছে, বস্তিতে মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণ করেন তাসলিমা। তিনি কাউন্সিলর মফিজুরের ঘনিষ্ঠ। নিজেকে যুব মহিলা লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে পরিচয় দেন তাসলিমা। মফিজুরের ঘনিষ্ঠ হলেও মাদক কারবার চালাতে আরেক কাউন্সিলর কেউ টাকার ভাগ দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের ভাষ্য, কড়াইল বস্তিতে মাদক কারবার চালাতে তাসলিমা স্থানীয় কাউন্সিলর মফিজুরকে প্রতি মাসে দেন ৭ লাখ।
তাসলিমা মাদক ব্যবসা করে গুলশান ও বাড্ডা এলাকায় ফ্ল্যাট কিনেছেন।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটির ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মফিজুর রহমান বলেন,
‘তাসলিমার মাদক–সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি আগে শোনা যেত। এখন তিনি এসবের সঙ্গে জড়িত নন।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় মহিলা যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তাসলিমা। তাঁকে আমি চিনি।’
তাসলিমার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা প্রসঙ্গে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. নাছির বলেন, তাসলিমা ইয়াবা কারবারসহ নানা অপরাধে জড়িত।
বস্তিতে তাঁর পাঁচ শর মতো ঘর রয়েছে।
তিনি সব সময় তাসলিমার কাজের বিরোধিতা করে এসেছেন।
তাসলি অন্ধকার জগতের এক পরিচিত নাম বনানী থানার ১৯ নং ওয়ার্ড টিএনটি,স্যাটেলাইট,আদর্শ নগর বস্তির সাধারন মানুষের কাছে এক আতংক,যুব মহিলা লীগের পদ পদবী পুঁজি করে গড়ে তুলেছে তার একক রাজত্ব, দখলবাজী, চাঁদাবাজি, ধান্ধাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ অবৈধ বিদুৎ, গ্যাস,পানি সরবরাহ করে প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে, একাধিক মামলায় জেল খাটা আসামী তাসলির বিরুদ্ধে।
তাসলি’র কাছে অসহায় বস্তির বাসিন্দারা তাসলি’র কথা না শুনলেই বন্ধ করে দেওয়া হয় জরুরী সেবা গ্যাস,বিদ্যুৎ,পানি এমন কি শারীরিক নির্যাতন ও মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করার ও অভিযোগ রয়েছে।
বেশ কিছু দিন আগে বস্তিবাসীরা তাসলিমার সিন্ডিকেটের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে তাসলি হঠাও বস্তি বাঁচাও।
বেশ কয়েকটি সরকারী দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করে ও লাভ হয়নি, বস্তিবাসীদের চাপে কিছুদিন গা ঢাকা দিলেও বনানী থানা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের শেল্টারে ফের সক্রীয় তাসলিমা, গুঞ্জন উঠেছে বনানী থানা ১৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ৩ নং ইউনিট সভাপতি পদপ্রার্থী তাসলিমা।
গুলশান,বনানী,এবং মহাখালীর মাঝে উপশহরের মত গড়ে উঠেছে কড়াইল বস্তি।
রাজধানীর দরিদ্র মানুষদের আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে এই বস্তি।
গার্মেন্টস শ্রমিক, দিনমজুর, গৃহপরিচারিকা, রিকশাওয়ালা সহ কায়িক শ্রমজীবী। বস্তিটি নগরীর শ্রমজীবী বহু মানুষকে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিলেও কড়াইল বস্তিতে নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখার জন্য বেশ কয়েকটি গ্রুপ সক্রিয়।
তারা তাদের আধিপত্য জানান দেওয়া এবং ভাগবাটোয়ারা নিয়েই বিভিন্ন সময় মারামারি সংঘর্ষ হয়ে থাকে। আর সংঘর্ষের কারণেই হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটে। আগেও যেসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সেসব বিষয়গুলোর মামলা চলমান রয়েছে।
সব বিষয়ে মাথায় রেখেই বস্তি এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানায় ডিএমপি।অনুসন্ধান চলছে।