ট্রাফিক পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে- সোহেলের বিরুদ্ধে
- আপডেট টাইম : ০২:০২:৪০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩
- / ১৯১ ৫০০০.০ বার পাঠক
চট্টগ্রাম নগরীর সল্টগোলা ক্রোসিং বন্দর থানা এলাকা জুড়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার ছড়াছড়ি। এলাকা সুত্রে জানা যায় যে, এ সকল গাড়ী পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে চাঁদাবাজ সোহেল।
ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা মানেই সোহেল, সল্টগোলা ক্রোসিং থেকে টেকের মোড়, কলসী দীঘি রোড, আনন্দ বাজার, বড়পোল রোড, এমনকি বন্দর এলাকার সকল অলিগলিতে
ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার কারণে,
যেন পা রাখার জায়গাটুকু পাওয়া যাচ্ছে না, ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার কারণে।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায় যে, প্রায়ই এসব ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার কারণে/অকারণে দূর্ঘটনার স্বীকার হতে হয়,বর্তমানে বেশিরভাগ চালকরা অশিক্ষিত এবং অনেক চালাকরা শিশু কিশোর,এতে দূর্ঘটনার সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে,এসবের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সল্টগোলা ক্রোসিং, ধুপপুল, এলাকার সোহেল।
স্হানীয় প্রশাসন এবং টেকের মোড় পুলিশ ফাঁড়ি এবং থানা পুলিশকে ফাঁকি দিয়েই নিয়মিত চাঁদাবাজ সোহেলের পরিচালনায় চলছে এসব ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা।
বিশেষ অনুসন্ধানে জানা যায় সল্টগোলা ক্রোসিং থেকে এই আটোরিক্সার লাইনে সোহেলর নেতৃত্ব প্রায় ৬ (ছয়)শতাধিক ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চলাচল করছে,এসব ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা চালাতে হলে সোহেলকে দৈনিক দিতে হয়, গাড়ি প্রতি ১৫০ টাকা,প্রতিমাসে দিতে হয়, গাড়ি প্রতি ০৩ (তিন হাজার) টাকা।
সোহেলের টোকেন ছাড়া সল্টগোলা ক্রোসিং এলাকায় কোন ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার চালানো নিষিদ্ধ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় ড্রাইভার জানিয়েছেন “সোহেল” ট্রাফিক পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে ড্রাইভারদেরকে জিম্মি করে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে ।আর এক লাইনম্যান নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান সোহেলকে ছাড়া এই লাইনে কোন অটোরিক্সা চালানো যাবে না, প্রশাসন থেকে শুরু করে সবকিছুই ম্যানেজ করেন এই চাঁদাবাজ সোহেল।
সোহেলের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে দুইজন
ক্যাডার বাহীনি,এছাড়া এদের আরো পরিচয় রয়েছে, এরা ধুপপুল এলাকার নাম করা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী ছিলেন বলে এলাকা সুত্রে জানা যায়।
অভিযোগের বিষয়ে চাঁদাবাজ “সোহেল’র নিকট মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন কল গ্রহন করেননি।
সূত্রে আরও জানা যায় মাঝে মধ্যে অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখলে অভিযানে নামতে দেখা যায় ট্রাফিক পুলিশকে,তবে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আটক করলেও অভিযান শেষ হলেই আবারও চলাচল করতে দেখা যায়।
চালকদের বেপরোয়া ও বিশৃঙ্খলা অটোরিকশা চালনোর কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে, এ বিষয় পুলিশ প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।
এ বিষয়ে সল্টগোলা ক্রোসিং ট্রাফিক বক্সের দায়িত্ব প্রাপ্ত ট্রাফিক পরিদর্শক মো: মমিন’র নিকট জানতে চাইলে, তিনি জানান আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে, প্রতিদিনই অবৈধ ব্যাটারি চালিত রিক্সা আটক করা হয়, আর চাঁদার বিষয়টি আমার জানা নেই।