গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর প্রেসক্লাব এর সভাপতি আমজাদ এর সৈরাচারীর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন একই ক্লাব এর সদস্য ও বিভিন্ন জেলা থেকে আগত সংবাদকর্মীরা।

রবিবার ২৪ শে সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ টায় গাজীপুর ডিসি অফিসের সামনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।

মানববন্ধনে সাংবাদিকদের বক্তব্য মতে জানা যায়,,বিগত ১৭ ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ গাজীপুর মহানগর ২নং ওয়ার্ড এর লোহাকৈর মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করেন সংবাদকর্মীরা।

এ সময় সংবাদকর্মীরা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও পাষান্ড শিক্ষক শামীমের অমানবিক নির্যাতনে শিশু শিক্ষার্থী হাসপাতালে আছেন এটা নিশ্চিত হয়ে কাশিমপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবিহিত করলে,, কাশিমপুর থানা পুলিশ মাদ্রাসা থেকে পাষান্ড শিক্ষক কে গ্রেফতার পূর্বক জেল হাজতে প্রেরন করেন।

তবে সত্য ঘটনা ধামাচাপা দিতে কাশিমপুর প্রেসক্লাব এর স্বৈরাচারী সভাপতি আমজাদ ক্লাবের সদস্য ও বিভিন্ন সাংবাদকর্মীদের তথ্য সংগ্রহের ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার করে বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার মাস্টার প্লান করেন।

তারই সুত্রে ধরে গাজীপুর কাশিমপুর কোনাবাড়ী কালিয়াকৈর ও আশুলিয়ার সংবাদকর্মীরা সম্মিলিত ভাবে সাংবাদিক সমাজের সম্মান রক্ষার্থে এ মানববন্ধন করেন।

এসময় মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী সংবাদকর্মীরা বলেন,কাশিমপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আমজাদ হোসেন কাশিমপুর প্রেসক্লাবে একক আধিপত্য বিস্তার করার জন্য ও নিজের অপকর্ম ঢাকার জন্য ক্লাবের সদস্য ও বিভিন্ন সাংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে তার নিজ আইডি থেকে সংবাদকর্মীদের তথ্য সংগ্রহের চিত্র বিভিন্ন ভাবে এডিট করে প্রচার করে চলেছে,একজন সাংবাদিক নেতা এমন অপকর্মের সাথে সামীল হওয়ায়,,সংবাদকর্মী ও সুশীল সমাজ দানব সাংবাদিক আমজাদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন এ সময় সকলে একযোগে বলেন স্বৈরাচারী আমজাদ এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।

কাশিমপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাংলা টিভির কাশিমপুর প্রতিনিধি হাসান সরকার বলেন,গত ১৭ সেপ্টেম্বর কাশিমপুর ২ নং ওয়ার্ড এর লোহাকৈর এলাকার মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক একটি সাত বছরের শিশুকে নির্মম ভাবে শারীরিক নির্যাতন করে মাথায় তুলে আছাড় মারেন।তাৎক্ষণিক বাচ্চাটি মারাত্মক ভাবে আহত হলে তাকে গাজীপুর শহিদ তাজ উদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।

সে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে শিক্ষক শামীম পুলিশের কথা শুনে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধমক দিয়ে বাসানো হয়।অতপর কাশিমপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করেন।উক্ত ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগসাজশে কাশিমপুর প্রেসক্লাবের দানব সাংবাদিক আমজাদ তার ক্লাব এর সদস্য ও অন্যান্য সাংবাদিকদের নামে তার নিজস্ব ফেসবুক আইডি থেকে অপপ্রচার চালায়।

তার এধরণের স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই,এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৈরাচারী আমজাদ সংবাদকর্মীদের মান সম্মান নষ্ট করতে আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে ধারনা।

তার এধরণের স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ডের জন্য আমি বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে অনুরোধ করবো ঘটনার সত্যতা যাচাই করে দোষীব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করুন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কাশিমপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসান সরকার, বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম শাহীন, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক মোত্তাকিম সিকদার রাজীব, কার্যকরী সদস্য মানসুরা আক্তার কাকলি, সদস্য মোঃ আসিফ, মোঃ ইউসুফ আলী খান, সাংবাদিক বিল্লাল হোসেন সাজু, নুরে আলম সিদ্দিক মানু, জামাল আহমেদ, শাহাজুদ্দিন আহমেদ সুমন, রবিউল হোসেন,সেকেন্দার আলী,এম এ আজিজ,নাসির উদ্দিন,বিপ্লব হোসেন ফারুক সহ গাজীপুর জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।